a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ হাজার ৮৪৬ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৩,৫২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৩ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬,৪৮৫ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৪ হাজার ৩৭০ জন।
৬০তম ফার্মেসী কাউন্সিল সার্টিফিকেট রেজি. কোর্স ৯ এপ্রিল পরীক্ষার স্থগিত নোটিশ
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনিবার্য কারণে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত ৬০তম ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজি. কোর্সের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার তারিখ ০৯ এপ্রিল ২০২১ অবশেষে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। (নোটিশটি সংযুক্ত)
সারাদেশে ফার্মেসী কোর্সের শিক্ষার্থীরা গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় থাকার পর ০৪ এপ্রিল ২০২১ইং তারিখ সম্বলিত নোটিশটি প্রদান করা হয়। যদিও শিক্ষার্থীরা উক্ত তারিখে বিকাল পর্যন্ত প্রবেশপত্র সংগ্রহকালে কোন ধরণের নোটিশ পাননি বলে অভিযোগ করেন।
তবে প্রবেশপত্র বিতরণকালে মাহমুদ আলম নামে একজন অফিস স্টাফ তিনি তার মোবাইল নম্বর শিক্ষার্থীদের প্রদান করে পরবর্তীতে যোগাযোগ করার কথা বলে অনেককে আশ্বস্থ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল শনিবার সরকারীভাবে দেশে লকডাউন সংক্রান্ত পরিপত্র ঘোষণা করা হয় যে, আগামী ৫ এপ্রিল সোমবার থেকে ১ সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হবে এবং তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে দেশে সব ধরণের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল পরীক্ষা স্থগিতের ব্যাপারে গড়িমসি করেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
গণমাধ্যমের দ্বারা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের নিকট অনুরোধ জানান যে, পরবর্তীতে স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা যেন কমপক্ষে ২ সপ্তাহ আগে প্রদান করা হয়। কারন তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির পাশাপাশি অধিকাংশ শিক্ষার্থী তাদের কেন্দ্র থেকে বাসা বা বাড়ি অনেক দূরে। তারা এটাও দাবি করেন, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল অফিসে সংরক্ষিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মোবাইলে যেন ফোন ও ম্যাসেজ প্রদান করা হয়।
[বি.দ্র. ২০২০-২১ ছাত্র/ছাত্রীরা গুরত্বপূর্ণ তথ্য জানতে/জানাতে নিম্নের লিংকগুলোতে সংযুক্ত থাকুন: ফেজবুক পেজ: https://www.facebook.com এবং https://www.facebook.com/profile.php?id=100011160244099
ফার্মাসিস্ট গ্রুপ পেজ: Pharmacist-c-Students-Forum-102024211981313]
ছবি সংগৃহীত
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫৪তম বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশ। একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ অবস্থায় ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ, মহান মুক্তিযুদ্ধ।
পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশের) জনগণের স্বাধিকারের দাবি কখনো মেনে নিতে পারেনি। ব্রিটিশ শাসনের অবসানে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিতর দিয়ে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয় পাকিস্তান রাষ্ট্র। শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর শোষণ ও দমনপীড়ন চালাতে থাকে। তাদের নীলনকশার প্রথম আঘাত আসে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলার ওপর। ১৯৫২ সালে বুকের রক্ত দিয়ে জাতির বীরসন্তানরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁদের এ আত্মদানের ভিতর দিয়ে জাতি উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে স্বাধিকারের চেতনায়। ক্রমে ক্রমে তা রূপ নেয় স্বাধীনতাসংগ্রামে।
মুক্তিকামী বাঙালিকে চিরতরে দমনের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনী। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে ছলচাতুরী করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। এর প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের মার্চে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশের মানুষ। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। লাখো শহীদের আত্মদানের পথ ধরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করি কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।
আজ জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি কাঙ্খিত স্বাধীনতা। এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপন করা হচ্ছে মহান স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী। গত বছর জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বীরত্বে জাতি স্বৈরাচারের অত্যাচার-নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। জাতি একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্পে উদ্যাপন করছে স্বাধীনতা দিবস।
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের লগ্নে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি জাতির পক্ষে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রদ্ধা জানাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, বিদেশি কূটনীতি রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর পরই জাতির গৌরব আর অহংকারের এ দিনটিতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।