a সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকোপ আকার ধারণ করছে; স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকোপ আকার ধারণ করছে; স্বাস্থ্যমন্ত্রী


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩, ০৭:৪২
সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকোপ আকার ধারণ করছে; স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি

সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকোপ আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। রোববার (৩০ জুলাই) সকালে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকোপ আকার ধারণ করেছে। এখন পর্যন্ত দেশে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এবং ৪৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সরকার ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। 

হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আলাদা রুম রাখা হয়েছে। ডাক্তার-নার্সদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ৫০ টাকা দিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ আপনারা বাড়িঘর পরিষ্কার রাখবেন। মশা কমে গেলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাবে।

এ সময় সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যে সমস্ত খাবার প্রচুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২১, ১১:১০
যে সমস্ত খাবার প্রচুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

সংগৃহীত ছবি

সুস্থতার জন্য সুষম খাবার খাওয়াটা জরুরি। অনেকে না বুঝে কম-বেশি খাবার খেয়ে শরীরকে রোগাক্রান্ত করে ফেলেন। সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ না করলে শরীর ভেঙে যায় এবং বাসা বাধে নানা রোগ ব্যাধি। 

খাবার সঠিকভাবে না খেলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। সঠিক ঘুম হয় না। অবসাদ ক্লান্তি বাসা বাধে শরীরে। মেজাজ হয়ে উঠে খিটখিটে। এর প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে।
 
শরীরে রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধে সঠিক খাবার খাওয়াটা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

আমরা যা-ই খাই তা যদি শোষিত হয়ে শরীরের ক্ষয় পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি সাধন করে তবেই তাকে খাদ্য বলে। ১০ ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধ করে।  সে বিষয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

* রুটি, ময়দা, আটা, চাপাতির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন আছে যা কিনা প্লিহা ও থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুটি রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্য ‘বি’ ভিটামিনের গুরুত্বও আছে। ফলিক অ্যাসিড টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়, ভিটামিন বি-১২, লিভার, মাছ, ডিম, ছত্রাক ও শস্যজাতীয় খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায়।

* ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার যা কিনা লালশাক, পুঁইশাক টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়।  গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে। মলাঢেলা মাছ, গোশত, দুধ, ডিম তো আছেই। ভিটামিন ‘এ’-তে বিটাক্যারোটিন থাকে যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে। অ্যান্টিবডি রেসপন্ডে সাহায্য করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ইত্যাদি।

* ঘি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া শাকসবজি, মাছ, চীনাবাদাম ও ডালের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমিউন কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

* চকলেট, আইসক্রিম, কোকো গুঁড়া করে তৈরি মন্ড, গোশত, ডিমের কুসুম, শিলমাছ, সুগন্ধী মসলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্তকণিকার সমতা রক্ষা করে যা ইমিউনিটি সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

* সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম শস্যজাতীয় খাবার, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে সেলেনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে যা শ্বেত রক্তকণিকা ও ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

* ম্যাগনেসিয়াম- টাটকা শাকসবজি, চীনাবাদাম, সামুদ্রিক খাদ্য ও শস্যজাতীয় খাবারে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এগুলো ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

* ভিটামিন ‘ই’ উদ্ভিদজাতীয় খাবার, শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেলে পাওয়া যায়। শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রাণিজ খাদ্য, ডিম, ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ও দুধে থাকে। এগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

* আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি।  এগুলো কেমিক্যাল মেসেঞ্জার নাম্বার বৃদ্ধি করে।  বিশেষ করে ইন্টারফেরন যা ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

* জিংক: সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, গোশত, সেরিয়াল, চিংড়ি, সামুদ্রিক খাদ্যে জিংক প্রচুর পরিমাণে রয়েছে-যা ফ্রি রেডিক্যালের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জঞ্জাল কোষকে (জীবাণু ধ্বংস করার পর যেগুলোর মৃত্যু ঘটে) মুক্ত করতে সাহায্য করে। জিংক আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। জিংক শরীরের বিভিন্ন এনজাইমের একটি অংশ এবং সব টিস্যুতেই এটি আছে।

* গ্রিন টি, শস্যজাতীয় খাদ্য, টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে মাংগানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে

প্রতিদিন খেতে যা অভ্যাস করতে হবে: আঁশযুক্ত খাবার।  টাটকা সবুজ শাকসবজি। কলা, লেবু, টমেটো ও শসা। পেঁয়াজ, রসুন, কালিজিরা। সামুদ্রিক মাছ। তথ্যসূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

২০ দফা দাবি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো "জনতার বাংলাদেশ পার্টি"


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৪৬
২০ দফা দাবি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো জনতার বাংলাদেশ পার্টি

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  তারুণ্যের শক্তিতে আইনজীবীদের উদ্যোগে- জনতার বাংলাদেশ পার্টি হোক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে - এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণ বয়ে আনার জন্য ২০ দফা দাবি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো নতুন রাজনৈতিক দল "জনতার বাংলাদেশ পার্টি"।

দলের সভাপতি - এ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম সবুজ খানের সভাপতিত্বে আইনজীবীদের উদ্যোগে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয় আজ ১৩ই মার্চ ২০২৫, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকার আব্দুস সালাম হলে। দলের সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান এর বলিষ্ঠ ও গঠনমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

নতুন এই দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম সবুজ খান তার মূল বক্তব্যে বলেন, আজ জনতার বাংলাদেশ পার্টির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ আনুষ্ঠানিক বীজ রোপণ করা হলো। একদিন ফুলে ফুলে ছেয়ে যাবে পুরো দেশ। তার সৌরভ উপলব্ধি করবে মানুষ। তার মূল উদ্দেশ্য একটি সুস্থ, সুন্দর, মানবিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আজন্ম বিপ্লবী ভূমিকায় থাকবে। এই দেশ সকলের, কৃষকের, শ্রমিকের, ছাত্র ও জনতার, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীর সকল মানুষের বাংলাদেশ এই ধারণাটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশ হবে জনতার, কোন ফ্যাসিবাদের নয়। যখনই বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে '৭১ থেকে ২০২৪ এই ছাত্র-জনতা বাংলাদেশকে প্রকৃত বাংলাদেশে '৭১-এর চেতনা ফিরিয়ে দিতে জীবন দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করেছে।

আগামী প্রজন্ম কোন বাংলাদেশে বাস করবে? ক্ষমতার না জনতার, দিন দিন অনিরাপদ বদ্ধভূমিতে পরিণত হচ্ছে। ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে যতক্ষণ না জনতার কাতারে দাঁড়াবে ততক্ষণ দেশ উন্নত হবে না। সবাই চায় ক্ষমতা। আর জনতার বাংলাদেশ পার্টি চায় জনতা, জনতা ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।

আজ পুলিশের গায়ে মানুষ হাত তোলে। পুলিশ জনতার না হয়ে ক্ষমতার হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ হবে রাষ্ট্রের, কোন দলের নয়। পুলিশ হবে জনতার, নেতাদের নয়। পুলিশ আজ বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ? সারা দেশে হাসিনার ছাত্রলীগের পুলিশ ছেয়ে আছে। বর্তমানে পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় নিজেদের অবস্থান ও হাসিনার শোকে এখনও কেঁদে চলছে, তাই অপরাধীরা দেশটাকে অস্থির করে তুলছে। পুলিশ হয় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, অন্যথায় দ্রুত নিরপেক্ষ পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হোক। দেশকে তো আর সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। জনতার বাংলাদেশ পার্টি রাজনীতিতে টাকার প্রভাবকে ঘৃণা করে, সততা, আদর্শ ও যোগ্যতাকে সম্মান করে।

রাজনীতি হয়ে উঠেছে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের দাবার খেলা। এই রাস্তা আমাদের বদলাতে হবে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ (Invest) করবে, মনোনয়ন নিবে, তারপর এমপি-এর পর হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করবে, এটা আর হতে দেওয়া যায় না। এই লোভের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণ থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। এখনি ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের শপথ নিতে হবে, অন্যথায় দেশ আরও পিছিয়ে যাবে। যে মানুষ আল্লাহকে ভয় পায় না, নবী-রাসুলের নিয়ম-কানুন মানে না সে কখনও আদর্শ নেতা হতে পারে না। তার দ্বারা নিজের লাভ হতে পারে কিন্তু দেশের লাভ হয় নাই। আমরা মানুষকে মূল্যায়ন না করে টাকাকে মূল্যায়ন করি। আর কত বছর গেলে আমরা ব্যক্তিত্ববান হবো? আমাদের চরিত্র ক্যানভাসারের মতো হয়ে গেছে।

আমরা আগামি নির্বাচনে যদি নিবন্ধন লাভ করি তাহলে ২০০ আসনে আইনজীবী প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাকি ১০০ আসন হবে অন্যান্য পেশাজীবীর। দেশের রাজনীতিতে নির্মূল হোক টাকার প্রভাব। সততা আর যোগ্যতা হোক প্রশংসিত। ফিরে আসুক সত্যের উদ্ভাসিত সূর্য ও
তারুণ্যের জয়গান।

জনতার বাংলাদেশ টাকার রাজনীতি নয়, যোগ্যতার রাজনীতি করতে চায়, দেশের সেবা করতে চায়। মিথ্যার বদ্ধভূমিতে দাঁড়িয়ে সত্যের জয়গান করতে চায়।

জনতার বাংলাদেশ পার্টি ২০ দফা নিম্নরূপ :
১। যানজট নিরসন ।
২। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ।
৩। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা ।
৪। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ।
৫। মাদকদ্রব্য নির্মূল করা।
৬। সুশিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষার প্রসার ।
৭। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ।
৮। দুর্নীতি রোধ।
৯। মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক হিসাবে সর্বোচ্চ জীবনযাপন করা।
১০। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
১১। নিরাপদ বাসযোগ্য ভূমি ।
১২। রাজনীতিতে টাকার প্রভাব ও পেশিশক্তি কমিয়ে মেধাবিদের অগ্রাধিকার ।
১৩। মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা।
১৪ । কৃষিকে উৎসাহিত করা বা কৃষি বিপ্লব ঘটানো ।
১৫। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও সুস্থ মালিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।
১৬। ইসলামি ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
১৭। জনসংখ্যাকে প্রকৃত মানব সম্পদে রূপান্তরিত করা।
১৮। দেশকে উৎপাদনমুখী করা ।
১৯ । প্রশাসনকে শক্ত করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া।
২০। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা।

সভাপতি আরো বলেন, এই অসুস্থ সমাজকে ৭ মাসে বদলে দেওয়া যায়, যেটি যুগ যুগ ধরে নষ্ট হয়ে আছে। এই আইন- আদালত ও আইন-শৃঙ্খলার প্রতি কি মানুষের আস্থা থাকবে? মানুষ কোথায় যাবে?
জনতার বাংলাদেশ পার্টির স্লোগান ও উদ্দেশ্য :
২৬ মে ২০২১ সালে জনতার বাংলাদেশ পার্টির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষ হিসাবে মানুষের সেবা করা, করোনা, বন্যায়, দুর্যোগে, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের পাশে থেকে সেবা ও কথা বলে আসছে। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করায়, দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলায় পুলিশ অসংখ্যবার আমার উপর আক্রমণ করে। আমাকে ২ বার গ্রেফতার করে ও আমার বিরুদ্ধে ২২টি রাষ্ট্র বিরোধী মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু জনতার বাংলাদেশ সকল বাধাকে অতিক্রম করে অনলাইন, অফলাইনে মিছিলে সরকার বিরোধী প্রোগ্রামে সরব অবস্থানে নিজেকে জানান দিয়ে গেছে। এখন জুলাই-২০২৪ বিপ্লবের পরে ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নেওয়ায় সকলের জন্য রাজনীতি করার একটি উন্মুক্ত প্লাটফার্ম তৈরি হয়েছে। তাই জনতার বাংলাদেশ পার্টি সেই প্লাটফর্ম থেকে সারা বাংলাদেশকে জানান দিচ্ছে এবং সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান করছে।

বাংলাদেশে আমাদের ইতিহাস মৃত্যুর '৭১-এ জীবন দিতে হয়েছে। বিভিন্ন ধাপে ধাপে জীবন দিতে হয়েছে, আর '২৪ সালেও হাজার হাজার ছাত্র-জনতার জীবন দিতে হয়েছে। বার বার আমরা মরে জেগে উঠি। দেশের প্রয়োজনে রেড়ে উঠি। এভাবে আর কত মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হবে? প্রাণঘাতি শূন্যে নামিয়ে আনা উচিত। জনতার বাংলাদেশ আপনাকে স্পষ্ট বার্তা দিতে এসেছে, বাস্তবতা তুলে ধরবে, সত্য তুলে ধরবে, রাজনীতিতে টাকার প্রভাবকে নির্মূল করার চেষ্টা করবে, যতই কঠিন পরিস্থিতি হোক।

আইনজীবীরা সমাজের দর্পণ। A Natural Leader of Society সকল পেশার মানুষের অনুভূতি অনুধাবন করে আইনজীবীরা, মেধা আর যোগ্যতার বদৌলতে রাজনৈতিক হয়ে উঠছে পেশিশক্তি আর টাকার বাহার, এখন থেকে আর না। রাজনীতি হবে সৎ, একজন স্কুল শিক্ষকের জন্য, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, মেধাবিদের জন্য, সাংবাদিকদের জন্য, আইনজীবীদের জন্য ও আদর্শ ছাত্র নেতাদের জন্য । টাকার ছড়াছড়ি রাজনীতি বন্ধ হোক।

আমরা যদি সুযোগ পাই, বাংলার মাটিতে কোন ভাড়াটিয়া থাকবে না। আমি বাংলাদেশী, আমি সরকারকে ট্যাক্স দেই। আমার দেওয়া ভোটে সরকার হয়। তাহলে আমি ভাড়া থাকব কেন? আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে প্রত্যেক পরিবারকে ধাপে ধাপে একটি করে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দিব ইনশাল্লাহ। কেহ গৃহহীন থাকবে না। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। গুলিস্তান থেকে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল ফ্লাই ওভার পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ করা, গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর পর্যন্ত ফ্লাই ওভার নির্মাণ করা। যদি আপনারা আমাদেরকে সুযোগ দেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য