a আয়কর রিটার্ন ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে অনলাইনে দাখিল করতে পারবে
ঢাকা বুধবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আয়কর রিটার্ন ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে অনলাইনে দাখিল করতে পারবে


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৮
আয়কর রিটার্ন ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে অনলাইনে দাখিল করতে পারবে

ফাইল ছবি


আয়কর রিটার্ন এখন থেকে অনলাইনে দাখিল করা যাবে। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রিটার্ন দাখিল করার জন্য ‘অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম’ আপডেট করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল রোববার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ মুমেন।

তিনি বলেন, করদাতাবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কর ব্যবস্থাপনা গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইনের আলোকে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের অনলাইন রিটার্ন দাখিলের জন্য ই-রিটার্ন সিস্টেম আপডেট করা হয়েছে। সোমবার থেকে করদাতাদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।

এনবিআর আরও জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে করদাতারা নিজের রিটার্ন তৈরি, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অথবা অফলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রিন্ট গ্রহণ, অনলাইন ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) এর মাধ্যমে কর পরিশোধ, রিটার্ন দাখিলের তাৎক্ষণিক প্রমাণ প্রাপ্তি, আয়কর পরিশোধ সনদ ও টিআইএন সনদ প্রাপ্তি, পূর্ববর্তী কর বছরের দাখিল করা ই-রিটার্নের কপি ও রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ ডাউনলোডের সুবিধা পাবেন।

এই সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে টিআইএন ও করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে।

উল্লেখ্য, এনবিআর ২০২১ সালে এই সিস্টেম চালু করার পর ২০২১-২০২২ কর বছরে ৬১ হাজার ৪৯১ জন, ২০২২-২০২৩ কর বছরে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ জন এবং ২০২৩-২০২৪ কর বছরে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জুম-এর উত্থান ও একটি ইতিহাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:২৭
জুম-এর উত্থান ও একটি ইতিহাস

ফাইল ছবি

চীনে উৎপত্তি হ্ওয়া করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারী রোগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ কোভিড-১৯ নামে। এই ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের মার্চে থেকেই পুরো বিশ্বে আতঙ্ক চরমে ওঠে। অফিস, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান এক এক করে বন্ধ হয়ে যায়। করোনার ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে ব্যবসা, পড়াশোনা, যোগাযোগ সব বন্ধ হয়ে গেলো। তখন মানুষ ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হতে লাগলো। 

আর মানুষের সেই কাজকে সহজ করে দিয়েছে অডিও-ভিডিও কনফারেন্সিং মাধ্যম জুম। ইন্টারনেটের সাহায্যে ডিভাইসে (যেমন, মোবাইল, কম্পিউটার) অ্যাপ ব্যবহার করে এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে কয়েকজন ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হতে পারেন। বলতে গেলে যোগাযোগকে সহজ এবং আরও বাস্তব করে তুলেছে জুম।

করোনাকালীন জুমের জনপ্রিয়তা:
মানুষ যখন করোনার কারনে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে তখন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জুমের উপর নির্ভর হচ্ছিলো। লকডাউন শুরুর পর এই অ্যাপের ব্যবহার জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জুমে কী না করেছে মানুষ? অনলাইন ক্লাস, ক্লাসপার্টি, অফিসের কাজ, মিটিং, আদালতের বিচারকাজ, সরকারি মিটিং, এমনকি বিয়ের আয়োজনও হয়েছে জুমে। 

কতক ক্ষেত্রে যে জুম মানুষকে পথ দেখিয়েছে, তা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে জুম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২ দশমিক ২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২২ লাখ। যার পরিমান ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ছিল প্রতিদিনের ব্যবহারকারীর প্রায় ১০ মিলিয়নের মতো। সেখান থেকে ২০২১ সালের এপ্রিলে দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০০ মিলিয়নে।

জুমের জনপ্রিয়তার রহস্য :
অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে অন্যান্য অ্যাপ থাকতে জুম এত জনপ্রিয় কেন? কারন হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, জুমের ফ্রি ভার্সনে একসঙ্গে ১০০ জন ব্যবহারকারী একসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং এ যুক্ত হতে পারেন। যেখানে মাইক্রোসফটের ফ্রি ভার্সনে মাত্র ৫০ জন এর বেশি ব্যবহারকারী একসাথে  যুক্ত হতে পারেন না। 

আবার ৪০ মিনিটের বেশি সময় কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত থাকতে হলে মাসে খরচ করতে হয় ১৪ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার। তবে এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের খরচ করতে হয় ১৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার। জুমে রয়েছে, প্রাইভেট কল, সরাসরি মেসেজ পাঠানোর সুবিধা এবং পারসোনালাইজড টুলসহ নানা ফিচার।

জুমের যাত্রা:
২০১১ সালের শুরুরদিকে ৪০ জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে নতুন একটি কোম্পানি চালু করেন এরিক ইউয়ান। শুরুতে এর নাম ছিল ‘সাসবি’। কোম্পানিটি প্রথমদিকে  বিনিয়োগ অভাবে কাজ করতে পারেনি। সকলের মত ছিল বর্তমানে ভিডিও টেলিফোনোর বাজার পড়ে গেছে। এ কারণেই কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এর পেছনে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল না। ভাগ্যক্রমে সে বছরই বছরের জুন মাসে বেশ কিছু পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ পায় কোম্পানিটি। পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে ‘সাসবি’ জুম নামটি ধারণ করে। 

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটি একটি বেটা ভার্সন চালু করে যেটির মাধ্যমে ১৫ জন ব্যবহারকারী ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হতে পারতেন। একই বছরের নভেম্বরে প্রথম গ্রাহক হিসেবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আরও কোম্পানিটি আরও বিনিয়োগ পায়। সেসময় জুম ১.১ ভার্সন চালু করে। এতে ২৫ জন ব্যবহারকারী একসঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন। চালুর এক মাসের মধ্যে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লাখ। এরপর মে মাসের মধ্যেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছে ১ মিলিয়নে।  

তবে মজার ইতিহাস হলো, জুমের আবিস্কার হয়েছে এরিক ইউয়ান এর একান্ত এক ব্যক্তিগত এক সম্পর্ক থেকে। কলেজে পড়ার সময় তার এক বান্ধবি ছিল তার সাথে দেখা করতে তাকে অনেকটা পথ পেরিয়ে যেতে হতো। সময় লেগে যেত প্রায় ১০ ঘণ্টা। তখন থেকেই চিন্তা করতেন যদি এমন কোনো মাধ্যম থাকতো, যার সাহায্যে দূর থেকেও একে অপরকে মূহুর্তেই মন চাইলে দেখে দেখে কথা বলা যেত। তখন হয়তো চিন্তাও করেন নাই তিনিই একদিন সেই মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষকে যুক্ত করে সেবা দিতে পারবেন। তার সেই ভাবনা- আজকের জুম। যা তাকে বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ ধনীর কাতারে এনে দিয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে "মার্চ ফর প্যালেস্টাইন" কর্মসূচি পালিত


মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫৬
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি : জায়নবাদী ইসরাইলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও বিশ্ব মানবতাকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫ ( বৃহস্পতিবার)  "মার্চ ফর প্যালেস্টাইন" কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ পদযাত্রা ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দূতাবাস এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে অগ্রসর হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু হওয়া এ পদযাত্রাটি নয়াবাজার পর্যন্ত যাওয়ার পর সরকার ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের অনুরোধে এবং দেশে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তীতে, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও সৌদি আরব দূতাবাসে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় প্রণীত স্মারকলিপি জমা দেন।

পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘তুমি কে আমি কে প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা, বন্ধ কর বন্ধ কর’, ‘মুসলিম উম্মাহ এক করো, ওআইসি হাল ধরো’, ‘ফ্রি ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর-ইসরাইল নো মোর’ সহ নানাবিধ স্লোগানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। এছাড়াও, তারা ইসরাইলি পণ্য বর্জন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের দাবি জানান।

পদযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্‌দীন এর সঞ্চালনায় এ সমাবেশে বক্তারা গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান। তারা ফিলিস্তিনি নিরীহ নারী-শিশু ও বেসামরিক জনগণের ওপর ইসরাইলি হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।

সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তিনদফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন:

পূর্বে ঘোষিত ইসরাইলি পণ্য আমৃত্যু পুনরায় বর্জনের আহ্বান, ফিলিস্তিনিদের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া অব্যাহত রাখা এবং স্মারকলিপি জমাদান পরবর্তী ফলোআপ প্রত্যক্ষ না করা গেলে জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস ঘেরাও করা।

 সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। শেষে গাজায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও  কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - তথ্য ও প্রযুক্তি

সর্বোচ্চ পঠিত - তথ্য ও প্রযুক্তি

তথ্য ও প্রযুক্তি এর সব খবর