a
ফাইল ছবি
আজারবাইজানে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাসে হামলার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে তেহরান। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরানি দূতাবাসের ওপর দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়।
আজারবাইজানের নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আব্বাস মুসাভি শুক্রবার বাকুতে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে হামলার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে কাঙিক্ষত ফলাফল না আসা পর্যন্ত তেহরান হাল ছাড়বে না।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আজারবাইজানের কূটনৈতিক পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চার ব্যক্তিকে চিহ্নিত ও আটক করেছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ অঞ্চল নিয়ে যে আশা করছে তা কখনো বাস্তবায়ন হবে না। আজারবাইজানে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত যে দাবি করেছেন তাও আব্বাস মুসাভি প্রত্যাখ্যান করেন।
বাকুতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জর্জ ডিক দাবি করেছেন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইরান এবং অন্য দেশের ইহুদি সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
জবাবে আব্বাস মুসাভি বলেন, ‘ইহুদি, খ্রিস্টান এবং অন্য সমস্ত ঐশী কিতাবধারী সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের বিশেষ সম্মান রয়েছেন।
তবে তিনি জানান, আজারবাইজান ও ফিলিস্তিন সবসময় মুসলিম দেশ হিসেবে বিশ্বে টিকে থাকবে। ইসরায়েল এদেশে যে স্বপ্ন দেখছে তা কখনো বাস্তবায়িত হবে না।’ সূত্র: পার্সটুডে, ইরান প্রেস
সংগৃহীত ছবি
নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ১১ দিনের বর্বর হামলার কারণে ব্রিটেনের সাধারণ মানুষের মধ্যে ইহুদিবিরোধী মনোভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বিগত ১ মাসে দেশটিতে ইসরাইলের দূতাবাস ঘেরাও, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসহ ইহুদিবিরোধী বহু সভা-সমাবেশ হয়েছে। খবর বিবিসি
এ সব ঘটনার কারণে ব্রিটেনে বসবাসকারী ইহুদিদের আতঙ্কে দিন কাটছে। সম্প্রতি ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানেও হামলা হয়েছে।
দক্ষিণ লন্ডনের একটি সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) গত মাসে জনরোষের ভয়ে এর রাব্বি (ইহুদি ধর্মযাজক) নিকি লিস মধ্যরাতে এসে উপাসনালয়ে প্রবেশ করেন।
১৩ বছর ধরে তিনি এ উপাসনালয়ে ধর্ম যাজকের কাজ করছেন। কিন্তু বর্তমানে এখানে ইহুদিদের বসবাস করাটা অনেকটা কঠিন বলে মনে করছেন তিনি।
কারণ কিছুদিন আগে শহরটির একটি সিনাগগের বাইরে রাফি গুডউইন নামে এক রাব্বিকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে দক্ষিণ লন্ডনের সেইন্ট জনস উড এলাকায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এর আগে কখনো দখলদার ইসরাইলের বর্বতার বিরুদ্ধে এধরনের প্রতিবাদ হয়নি ব্রিটেনে। এ কারণে অনেক আতঙ্কে আছে ব্রিটেনের ইহুদিরা।
ফাইল ফটো: আল্লামা বাবুনগরী
হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনাইদ আহমদ বাবুনগরী বলেছেন, ইসলামের বিরোধিতাকারীরা কখনও টিকে থাকতে পারেনি। নমরুদ, ফেরাউন ইসলামের বিরোধিতা করে উৎখাত হয়েছে, ইসলামের দুশমন আবু জাহেল নবীজীর বিরোধিতা করে টিকতে পারে নাই, আবু জাহেলের খালাতো ভাই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো নবীজীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন, ভারতের কসাই মোদি মুসলমানদের গাজরের মতো কেটে কেটে হত্যা করেছেন। তারাও টিকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, কসাই মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। যারা নবীর নামে কুৎসা রটনা করে বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের বিরুদ্ধে সংসদে আইন পাসের মধ্য দিয়ে শাস্তির বিধান করতে হবে।
সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের স্টেডিয়াম মাঠে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত শানে রিসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী এসব কথা বলেন। হেফাজতে ইসলাম দিরাই উপজেলার শাখার আয়োজনে শানে রিসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে হেলিকপ্টার যোগে দুপুর ১টায় মজলিশপুরস্থ হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে সমাবেশস্থলে পাশে হাফিজিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় পৌঁছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনাইদ আহমদ বাবনগরী।
এ সময় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল-হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনিরসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা। উৎস: যুগান্তর