a
ফাইল ছবি
শান্তিকে টেকসই রাখতে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ অতিমারীর মধ্যেও আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) পৃথিবীর দেশে দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস।
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো ১৯৮২ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালন করে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় কোভিডকালে বিশ্বের সকল দেশ কাঁধে কাঁধ মিলে করোনা থেকে মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার শপথ নিয়েছে।
এ বছরের শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘রিকভারিং বেটার ফর ইকুইট্যাবল এ্যান্ড সাসটেইন্যাবল ওয়ার্ল্ড (সমতার সঙ্গে ভালো কিছু পুনরুদ্ধারকে টেকসই করে রাখা)’। টেকসই শান্তি অর্জনে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ খুঁজে নিতে বিশ্বের সকল দেশকে আহ্বান জনিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত নম্বর ৩৬/৬৭ প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ‘তৃতীয় মঙ্গলবার’ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃতীত হয়।
সংগৃহীত ছবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত সাক্ষাতে মিলিত হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার সাক্ষাৎ শেষে দুই প্রেসিডেন্ট এক যৌথ বিবৃতিতে শিগগিরই পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত সংলাপ শুরু করতে নিজেদের সম্মতির কথা ঘোষণা করেছেন।
বাইডেন ও পুতিনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা ও রাশিয়া এ পর্যন্ত একথা প্রমাণ করেছে যে, তারা চরম উত্তেজনাকর মুহূর্তেও সামরিক সংঘাত ও পরমাণু যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে সক্ষম। বিবৃতিতে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় স্টার্ট চুক্তি নবায়নের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, এ থেকে বোঝা যায়, দু’দেশ পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমেরিকা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টদের যৌথ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “পরমাণু যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হতে পারবে না কাজেই যে কোনো মূল্যে এ ধরনের যুদ্ধ এড়িয়ে চলা উচিত।”
এদিকে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতার উন্নয়ন শুধু দু’টি দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না সেইসঙ্গে তা গোটা বিশ্বের কল্যাণ বয়ে আনবে। তিনি ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়েও রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করেছেন বলে জানান।
তবে এই সমঝোতা থেকে আমেরিকা একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে যে চলমান অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে সে বিষয়টি সম্পূর্নভাবে এড়িয়ে যান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, আমেরিকা ও রাশিয়ার যৌথ স্বার্থে দু’টি দেশ এই নিশ্চয়তা অর্জন করতে চায় যে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে বিরজমান সীমাহীন দুর্নীতির মহাতাণ্ডব দুদকের চোখে পড়ে না। আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী, আমলা এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দুদক নেয় না। জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্ত্রের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আওয়ামী সরকারের নির্মম প্রতিহিংসায় দেশ পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশপ্রেমিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক কাউকেই রেহাই দিচ্ছে না। চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার করে সকলের জীবন অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। বিএনপি এবং চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করতে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগে মামলা ও রায় দিয়ে গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, যেসব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিল বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম-স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নেই, তাকে সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমন এক সময়ে তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হলো, যখন বিএনপির তারেক রহমানের নেতৃত্বে ব্যর্থ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলন চলছে। ব্যাপক জনসম্পৃক্ত এই আন্দোলনে সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দমন করার জন্য গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করছে। বাধা, প্রতিবদ্ধকতা, গ্রেফতার মিথ্যা মামলা দিয়ে নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়ন চালিয়েও আন্দোলন নসাৎ করতে পারছে না, জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না। তাই তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতে সরকারের ইঙ্গিতে এই মামলা অব্যাহত আছে। সূত্র: ইত্তেফাক