a আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জটিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র: পাক প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জটিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র: পাক প্রধানমন্ত্রী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১, ১১:১৩
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জটিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র: পাক প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি । ইমরান খান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আফগানিস্তানের বর্তমান জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নিউজ চ্যানেল পিবিএসকে বুধবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ওই মন্তব্য করেন। খবর দ্য ডনের।

ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে যখন ন্যাটো জোটের দেড় লাখ সেনা মোতায়েন করা হচ্ছিল, তখনই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।

তিনি বলেন, এখন যখন ১০ হাজারেরও কম সেনা রয়েছে এবং তাদেরও চলে যাওয়ার তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে তখন তালেবানকে রাজনৈতিক সমঝোতায় বাধ্য করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তালেবান বর্তমানে এ যুদ্ধে নিজেদেরকে বিজয়ী ভাবছে।

আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ আশরাফ গনি অভিযোগ করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান থেকে প্রায় ১০ হাজার জঙ্গি আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছে।

এই প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানে প্রায় ৩০ লাখ আফগান নাগরিক বসবাস করছে, যাদের অনেকেই তালেবানের জাতিগোষ্ঠীর লোক, বিশেষ করে পশতুন জনগোষ্ঠী।

আফগানরা পাকিস্তানের যেসব ক্যাম্পে বসবাস করে সেগুলোতে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত মানুষের বসবাস। পাকিস্তানের পক্ষে কীভাবে তাদের খোঁজখবর রাখা সম্ভব?

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আফগান সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে তালেবানের একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় উপনীত হওয়া।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানে যুদ্ধ চলতে থাকলে পাকিস্তানকে দু’টি বিষয়ের মোকাবিলা করতে হবে।

প্রথমটা হলো, আবার পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের ঢল নামবে কিন্তু সেরকম পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পাকিস্তানের নেই।

দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, পাকিস্তানে আফগানিস্তানের চেয়ে বেশি পশতুন বসবাস করে। যুদ্ধ চলতে থাকলে পাকিস্তানি পশতুনরা বসে থাকবে না বরং তাদের এ যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আফগান সরকার অভিযোগ করছে যে, দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তালেবানকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে পাকিস্তান কিন্তু এই অভিযোগ কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ক্রিমিয়া সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আবারও খুলে দেওয়া হলো


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২২, ১১:০০
ক্রিমিয়া সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আবারও খুলে দেওয়া হলো

ফাইল ছবি

রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে একমাত্র যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতুটিতে গতকাল শনিবার (৮ অক্টোবর) ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শনিবার এ ঘটনার কয়েকঘণ্টা পরই সেতুটিতে হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির

ইউরোপের দীর্ঘতম এ সেতুটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায়।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, লরি বিস্ফোরণের সময় নিহত তিনজন ওই সময়ে একটি গাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেতুটিতে রেল সংযোগও রয়েছে। যেখানে দেখা যায় ওই রেল সংযোগ দিয়ে একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার যাওয়ার সময় তাতে আগুন ধরে যায় এবং পরবর্তীতে এটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।

গতকাল বিকেলে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খুলে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যেখানে সেতু দিয়ে যান চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।

রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় এবং ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি রাশিয়ার পরিবহন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে সেতুটি রুশ বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না ভারতে করোনা আক্রান্তদের!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪০
অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না ভারতে করোনা আক্রান্তদের

ফাইল ছবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ইউরোপ-আমেরিকার পর এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মহাবিপর্যয়ে নামিয়ে এনেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে। দেশটিতে ইতোমধ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ গিয়ে পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬৩ হাজারে, যা বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে বেশি।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে ফিরে আসাদের প্রত্যেকেই সুস্থ হওয়ার নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে অ্যান্টিবডি। তবে ব্যতিক্রম ঘটছে, সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও অনেকের শরীরেই গড়ে ওঠেনি স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আর এ জন্যই রোগটি ফিরে আসছে বারবার। সমীক্ষা জানা গেছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হল কোভিড-১৯ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অনুপস্থিতি। খবর আনন্দবাজারের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর)-এর মার্চ মাসের ওই সমীক্ষা জানিয়েছে, মোট ১০,৪২৭ লোকের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে (সেরো পজিটিভিটি) মাত্র ১০.১৪ শতাংশের শরীরে। দেশের ১৭টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিএসআইআর-এর কর্মীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়।

খবরে আরও বলা হয়, ওই সমীক্ষার ফল দেখে উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও। কারণ, তাদের মতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে শুধুমাত্র টিকা আর ওষুধের সাহায্যে কোভিড-দমন করা খুবই কঠিন।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির ‘সক্রিয়তার মেয়াদ’ নিয়েও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবডিগুলো তৈরি হওয়ার ৫-৬ মাসের মধ্যেই সেগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবারও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। [সূত্র:বিডিপ্রতিদিন]

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক