a আফগানিস্তান ত্যাগের আগে সব সামরিক বিমান ধ্বংস করে গেল মার্কিন বাহিনী
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আফগানিস্তান ত্যাগের আগে সব সামরিক বিমান ধ্বংস করে গেল মার্কিন বাহিনী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:০৭
আফগানিস্তান ত্যাগের আগে সব সামরিক বিমান ধ্বংস করে গেল মার্কিন বাহিনী

ফাইল ছবি

সোমবার আফগানিস্তানে চূড়ান্তভাবে শেষ হয় মার্কিন অধ্যায়। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় সব শেষ মার্কিন বিমান ছেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দর।

এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় দেশটিতে আমেরিকার দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক অভিযান।

এদিকে, তালেবানের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়া করে কাবুল ত্যাগের ফলে সব সামরিক বিমান নিজ দেশে ফেরত নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর ত্যাগের আগে সেখানে থাকা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৭৩টি সামবিক বিমান মার্কিন বাহিনী এমনভাবে নষ্ট করে রেখেছে, যাতে তালেবানরা আর এগুলো ব্যবহার করতে না পারে। 

মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য যেসব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা ছিল, সামরিক বিমানগুলোর মতো সেগুলোও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

কেনেথ ম্যাকেঞ্জি আরও বলেন, ফেলে আসা মার্কিন সামরিক বিমানগুলো আর কখনও আকাশে উড়বে না।

এছাড়া ৭০টি সামরিক যান এবং ২৭টি হামরি টহল যান নষ্ট করা হয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য এক মিলিয়ন ডলার।

৩০ আগস্ট মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ ফ্লাইটটি আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মাধ্যমে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তারা ছয় হাজার মার্কিন নাগরিকসহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছেন। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ২৩ হাজার সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এক ব্রিফিংয়ে কেনেথ ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে ঘোষণা করতে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।

তিনি বলেন, আজ রাতের এ প্রত্যাহার শুধু সেনা প্রত্যাহারই নয়, বরং এটি প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধেরও সমাপ্তি, যে যুদ্ধ আফগানিস্তানে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মা-বাবা-নানিকে গুলি করে হত্যার পর দু’ভাইয়েরও আত্মহত্যা


নিউজ ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:৫৬
মা-বাবা-নানিকে গুলি করে হত্যার পর দু’ভাইয়েরও আত্মহত্যা

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেটের ডালাস সংলগ্ন এলেন সিটির এক বাংলাদেশি পরিবারের ৬ সদস্যই খুন হয়েছেন। সোমবার ভোর রাতে এলেন সিটির পুলিশ টেলিফোন পেয়ে ঐ বাসায় গেলে নৃশংসভাবে হত্যার শিকারদের লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিক বর্ণনায় পুলিশ জানায়, দু’ভাই মিলে তাদের মা-বাবা, নানি এবং একমাত্র বোনকে হত্যার পর নিজেরাও আত্মহত্যা করেছে।

এলেন সিটি পুলিশের সার্জেন্ট জন ফেলী গণমাধ্যমকে জানান, সম্ভবত, গত শনিবার এমন নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে। ১৯ বছর বয়সী একজনের ফেসবুকের স্ট্যাটাসে এই পরিস্থিতির বর্ণনা করা হয়েছে। পুলিশের মতে ‘আত্মহত্যার প্রসঙ্গ’-তে রয়েছে, হতাশার ধারাবিবরণী। 

ক্যারেন ফেল্লা নামের ওই পরিবারের এক প্রতিবেশী বলেন, যথারীতি আমরা রবিবার কাজে গেছি। কিছুই বুঝিনি যে, ওরা কেউ আর বেঁচে নেই। এই পরিবারের ব্যাপারে তাদের বেশি ধারণা নেই। ফেল্লা নিহত পরিবারের একমাত্র তরুণীর ব্যাপারে বলেন, সে খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিল। আমার মেয়ের স্কুলেই পড়তো।

কেভিন পাটেল (২৮) নামক আরেক প্রতিবেশী জানান, তাদের বিষয়ে খুব বেশি জানতাম না। তবে তারা সুখী পরিবার ছিল বলেই মনে হতো। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় কাজ থেকে ফিরেই দেখি পুলিশের উপস্থিতি। অবাক হয়েছি ঘটনা জেনে।

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাসের সেক্রেটারি নাহিদা আলী হতাশার সাথে জানান, এমন সংবাদে সকলেই হতভম্ব। শোকাচ্ছন্ন গোটা কমিউনিটি। তৌহিদুল ইসলাম (৫৬)  খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তার স্ত্রী আইরিন ইসলাম নীলাও (৫৫) আসতেন কমিউনিটির অনুষ্ঠানে। সব সময় তারা দুই পুত্র তানভির তৌহিদ (২১) এবং ফারহান তৌহিদ (১৯) কে নিয়ে উচ্ছ্বাস করতেন। একইভাবে মেধাবী কন্যা পারভিন তৌহিদকে (১৯) নিয়েও তার অহংকারের শেষ ছিল না। পারভিন পড়তেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে। সপ্তাহখানেক আগে তাকে নিউইয়র্ক থেকে বাসায় নেয়া হয়। ফারহান গত বছর ভর্তি হয়েছিলেন অস্টিনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে। তানভিরও  পড়তেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের অস্টিনে। তার এবারই গ্র্যাজুয়েশনের কথা। তবে ফারহান আর পারভিন ছিলো যমজ। এমন একটি পরিবারের সকলেই একইসাথে নিঃশেষ হয়ে যাবে-এটি কল্পনারও অতীত ছিল। সাথে তৌফিকের শাশুড়ি আলতাফুন্নেসাকেও (৭৭) মৃত্যুবরণ করতে হলো।

গত সপ্তাহেই আলতাফুন্নেসার বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল। করোনা জটিলতায় তিনি সফর স্থগিত করেছিলেন। নাহিদা জানান, পুলিশী তদন্ত শেষে লাশগুলো পেলে যদি ঐ হতভাগা পরিবারের কোন স্বজন দায়িত্ব না নেন তাহলে আমরা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দাফনের পদক্ষেপ নেব। এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

জানা গেছে, তৌহিদুল ৮ বছর আগে টেক্সাসের এই সিটিতে বসতি গড়ার আগে নিউইয়র্কে বাস করতেন। তার দেশের বাড়ি ছিল পুরনো ঢাকায়। সর্বশেষ তিনি টেক্সাসে সিটি ব্যাংকে চাকরি করতেন।

পরিবারের প্রধান তৌহিদের পরিচিত ট্র্যাভেল ব্যবসায়ী শাহীন হাসান জানান, কোনো কারণে তৌহিদের দুই পুত্রই বিষন্নতায় আক্রান্ত ছিল। আত্মহত্যার সেই নোটে সে (ফারহান) উল্লেখ করেছে, ২০১৬ সালে  নবম গ্রেডে পড়াবস্থায় আমি বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়েছি বলে চিকিৎসক জানায়। এজন্যে আমি পরীক্ষায় ফেল করেছি। আজ আমি নিজের শরীর দু’বার কেটেছি। খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমার মনে আছে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট, কাঁচির মত ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে কেটেছিলাম। অনুভব করেছি কতটা অসহনীয় যন্ত্রণা। এরপর প্রায় দিনই শরীরে রান্নাঘরের চাকু দিয়ে কেটেছি। বিষন্নতার দুঃখবোধ লাঘবের পথ খুঁজেছি। এ অবস্থায় আমার ঘনিষ্ঠ তিন বন্ধু আমাকে ত্যাগ করেছে।

এমনি হতাশার মধ্যেই আমাকে ভর্তি করা হয় ইউনিভার্সিটি অব অস্টিনে কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে। এরপর আমি ভেবেছি যে, এবার জীবনটা সঠিক ট্র্যাকে উঠেছে। বাস্তবে তা ঘটেনি। বিষন্নতায় জর্জরিত হয়ে পুনরায় আমি নিজের শরীর রক্তাক্ত করি এবং কাঁদতে কাঁদতে বিছানায় ঘুমাতে যাই। সান্ত্বনা খুঁজি যে, আমি সুস্থ হয়েছি। অন্যদের মতই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটি সত্য বলে কখনোই মনে হয়নি।

এক পর্যায়ে সে লিখেছে, আমি যদি আত্মহত্যা করি তাহলে গোটা পরিবার সারাটি জীবন কষ্ট পাবে। সেটি চাই না। সেজন্যে পরিবারের সকলকে নিয়ে মারা যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বড়ভাইকে সামিল করলাম। দু’ভাই গেলাম বন্দুক ক্রয় করতে।  আমি হত্যা করবো ছোটবোন আর নানীকে। আমার ভাই করবে মা-বাবাকে। এরপর উভয়ে আত্মহত্যা করবো। কেউ থাকবে না কষ্ট পাবার।

আত্মহত্যার প্রাক্কােলে লেখা ওই নোটে সে আরও উল্লেখ করেছে, বন্দুক ক্রয়ের ব্যাপারটি খুবই মামুলি। বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের নামে তামাশা চলছে সর্বত্র। বড়ভাই গেলেন দোকানে। বললেন যে, বাড়ির নিরাপত্তার জন্যে বন্দুক দরকার। দোকানি কয়েকটি ফরম ধরিয়ে দিলে সেখানে স্বাক্ষর করলেন ভাই। এরপর হাতে পেলাম কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি, যা দিয়ে নিজের কষ্ট এবং পরিবারের কষ্ট সহজে লাঘব করা যাবে।

এদিকে, ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান  ও ক্যানসাসের ডেমোক্র্যাটিক ককাসের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারপার্সন রেহান রেজা এ সংবাদদাতাকে বলেন, এমন নিষ্ঠুর পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া দরকার। সময় মতো যথাযথ চিকিৎসার পদক্ষেপ নিলে হয়তো এমন দুঃখজনক পরিস্থিতির অবতারণা হতো না। তিনি অবিলম্বে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিও জানিয়েছেন। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কালজয়ী জননেতা মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৫৭
কালজয়ী জননেতা মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী 

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়া স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে গণতন্ত্রের মানসপুত্র, বলিষ্ঠ দেশ প্রেমিক, সাবেক সিনিয়র মন্ত্রী, কালজয়ী জননেতা মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। 

আজ ১২ এপ্রিল ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলা এই চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন, মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার সুযোগ্য কন্যা ন্যান্সি রহমান। ন্যান্সি রহমানের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা ভাসানী ও যাদু মিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর, ছাত্রনেতা, যুব নেতা, ভাসানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি জনাব জিয়াউল হক মিলু ফিতা কেটে এই চিত্র প্রদর্শনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। 

এই সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন মসিয়ুর রহমান যাদু মিয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম চৌধুরী। সার্বিক ব্যবস্থাপনার ছিলেন তারেকুল গণি, ড. যোয়েবুর রহমান, ব্যারিস্টার মারজিয়া কবির, পন্সি রহমান, আনিসুল গনি। মাসিয়ার সাইফ, মালিয়াত সাইফ, রফিক আসাদ, প্রকৌশলী আমিন, জামাল হোসেন, আল-আমিন, শাহজালাল, মাহবুব ফাসিয়ুল আলম, নূর মোহাম্মদ শরফুদ্দিনসহ আরো অনেকেই।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক