a আফগানিস্তান ত্যাগের আগে সব সামরিক বিমান ধ্বংস করে গেল মার্কিন বাহিনী
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩২, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আফগানিস্তান ত্যাগের আগে সব সামরিক বিমান ধ্বংস করে গেল মার্কিন বাহিনী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:০৭
আফগানিস্তান ত্যাগের আগে সব সামরিক বিমান ধ্বংস করে গেল মার্কিন বাহিনী

ফাইল ছবি

সোমবার আফগানিস্তানে চূড়ান্তভাবে শেষ হয় মার্কিন অধ্যায়। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় সব শেষ মার্কিন বিমান ছেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দর।

এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় দেশটিতে আমেরিকার দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক অভিযান।

এদিকে, তালেবানের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়া করে কাবুল ত্যাগের ফলে সব সামরিক বিমান নিজ দেশে ফেরত নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর ত্যাগের আগে সেখানে থাকা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৭৩টি সামবিক বিমান মার্কিন বাহিনী এমনভাবে নষ্ট করে রেখেছে, যাতে তালেবানরা আর এগুলো ব্যবহার করতে না পারে। 

মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য যেসব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা ছিল, সামরিক বিমানগুলোর মতো সেগুলোও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

কেনেথ ম্যাকেঞ্জি আরও বলেন, ফেলে আসা মার্কিন সামরিক বিমানগুলো আর কখনও আকাশে উড়বে না।

এছাড়া ৭০টি সামরিক যান এবং ২৭টি হামরি টহল যান নষ্ট করা হয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য এক মিলিয়ন ডলার।

৩০ আগস্ট মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ ফ্লাইটটি আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মাধ্যমে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তারা ছয় হাজার মার্কিন নাগরিকসহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছেন। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ২৩ হাজার সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এক ব্রিফিংয়ে কেনেথ ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে ঘোষণা করতে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।

তিনি বলেন, আজ রাতের এ প্রত্যাহার শুধু সেনা প্রত্যাহারই নয়, বরং এটি প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধেরও সমাপ্তি, যে যুদ্ধ আফগানিস্তানে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজ হিটলারের দেশ জার্মানীতে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত বাহিনী


খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০২ মে, ২০২৩, ১০:২০
আজ হিটলারের দেশ জার্মানীতে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত বাহিনী

ছবি সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে হিটলারের দেশ জার্মানীতে আজ ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত বাহিনী। আজ রাশিয়ার নামে বিশাল দেশটি সোভিয়েত আমলের বিশ্বাল সামাজ্যেরই একাংশ। বর্তমানে এই রাশিয়া তার অস্তিত্ব টেকানোর নামে ইউক্রেনে আক্রমণ করে এবং সীমান্ত ঘেষা ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় তার জন্য বিভিন্ন ছলাকলা কৌশল অবলম্বন করা সত্ত্বেও, ইউক্রেন কোনভাবেই রাশিয়ার কথা না শুনলে এবং পশ্চিমামুখী দেশগুলোর সাথে একাট্রা বাধলে গত বছরে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসে। রাশিয়া তার সীমান্ত ঘেষা ৪টি প্রদেশ দখল করে তা নিজেদের সাথে একীভূত করে ডিক্রি জারি করে।

রাশিয়া মনে করেছিল আক্রমণের মাধ্যমে অল্প সময়ে তারা ইউক্রেনকে বাগে আনতে পারবে। কিন্তু ন্যাটো নামে যে বিশাল সংগঠন সে সংগঠনের অন্যতম শক্তি জার্মানী সব সময় ইউক্রেনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে আসছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝাল মেটানোর জন্য রাশিয়াকে পর্যদুস্ত করতে ক্ষেত্র বিশেষে আমেরিকার, যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি সহযোগিতা করছে ইউক্রেনকে। তাদের একটাই চাওয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে জিতিয়ে নেওয়া।

পৃথিবীর অনেক মানুষ অনেক ইতিহাস ভুলে গেলেও জার্মানী তাদের স্থায়ীভাবে দাগাঙ্কিত কালিমা আজও মলিন হয়নি বলেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে এবং ইউক্রেণকে যে কোন মূল্যে জিতিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া।

সোভিয়েত বাহিনীর নিকট জার্মানীর পরাজয়ের ইতিহাসের সেই দিনটি আজ ২ মে। উল্লেখযোগ্য কী ঘটনা ঘটেছিল আজকের এই দিনে তা জানার চেষ্টা করবো। সময়টা ১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একেবারে শেষের দিকে। জার্মানি-ইতালি-জাপানের সম্মিলিত শক্তিও চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই ১৯৪৫ সালে এ দিনে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত রেড আর্মি। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল বাহিনীর মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে পতন ঘটে জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের। আজও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সোভিয়েত বাহিনী যদি তৎকালীন সময়ে বার্লিনে না ঢুকতো, তাহলে জার্মানী তথা হিটলারের পতন সেভাবে নাও ঘটতে পারতো।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার একক পরাশক্তির আত্বপ্রকাশ বিশ্ববাসী দেখে আসছে, হয়তোবা তারও পরিবর্তন সামনের দিনগুলোতে লক্ষ্য করবো ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ পরবর্তীতে। আমরা আশা করবো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হয় যেন শান্তি আলোচনার মাধ্যমে অর্থাৎ হিরোশিমা এবং নাগাসাকির মতো কোন বড় ধরণের পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার না করে।


মোহা. খোরশেদ আলম
মহাসচিব
হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি(হিডস)

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

গুচ্ছ পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদনে ১ সেপ্টেম্বর শুরু


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২২ আগষ্ট, ২০২১, ১০:১৭
গুচ্ছ পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদনে ১ সেপ্টেম্বর শুরু

ফাইল ছবি

সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন করতে ১২শ টাকা লাগবে। শনিবার (২১ আগস্ট) গুচ্ছভুক্ত বিশ্বদ্যিালয়গুলোর উপাচার্যদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গুচ্ছ আবেদনে ফি দিগুণের বিষয়ে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে নানান কৌতূহল জন্ম নিয়েছে।

সভা শেষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোনাজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক ড.মোনাজ আহমেদ বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে। চূড়ান্ত আবেদন ফি ১২শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক আবেদনে যারা নির্বাচিত হবেন শুধুমাত্র তাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানানো হবে। রবিবার থেকে ফল প্রদান শুরু হবে। এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের পছন্দের ক্রমানুসারে কমপক্ষে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র সিলেক্ট করতে হবে। আবেদনকারী বর্তমানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থাকলে, সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও অধ্যয়নের বিষয়–সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।

অধ্যাপক মোনাজ আহমেদ নূর আরও বলেন, আমরা প্রথমে ৬০০ টাকা করে ফি নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু শনিবারের মিটিংয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আবেদনের ফি দিগুণ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ”প্রাথমিক আবেদনে ভর্তিচ্ছু সংখ্যা অনেক কম। অন্যন্যা বিশ্ববিদ্যালয়েও আবেদনকারীর সংখ্যা এবার তুলনামূলকভাবে কম। সেটার অন্য কোন কারণ থাকতে পারে।

ভর্তি প্রক্রিয়ার ওভারল বিষয়টি পরিচালনা করার বিষয়টি ফিক্সড কস্ট।। আমার ধরেছিলাম সাড়ে ৪ লাখের মতো প্রাথমিক আবেদন করবে। সেখানে বাণিজ্য ও মানবিকে প্রাথমিক আবেদন কম পড়ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজারের মতো। এজন্য আমাদের খুব ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে ফিক্সড কস্টটা চালানোর। ভর্তি প্রক্রিয়ার খরচটাতো আর কেউ বহন করবে না। এ জন্য ২০ উপাচার্যের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটির মিটিংয়ে চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষার ফি ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ১২০০ টাকা করা হয়েছে।”

জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন পড়েছে তিন লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে মোট আবেদন করেছেন এক লাখ ৯২ হাজার শিক্ষার্থী, বাণিজ্য বিভাগে মোট আবেদন করেছেন ৫৮ হাজার আর মানবিকে আবেদন করেছেন ১ লাখ সাত হাজার শিক্ষার্থী।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক