a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ আশরাফ গনি আফগানি জনগণ চাইলে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেবলমাত্র আফগানিস্তানের জনগণ তার সরকারের পরিবর্তে কাকে চায় তা নির্ধারণ করার অধিকার রাখে; কোনো প্রতিবেশী দেশ (পাকিস্তান) নয়।
শুক্রবার কাবুলে বিশ্ব যুব দিবসের এক অনুষ্ঠানে নিজের এ প্রস্তুতির কথা জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আফগানিস্তানের বার্তা সংস্থা ‘আওয়া’।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘তালেবান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পদত্যাগ চায়।’ তার প্রেক্ষিতে এমনটা জানালেন আফগান প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩ মাস আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পর থেকে সেনাবাহিনীর ওপর তালেবান হামলা জোরদার করে।
বর্তমানে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন জেলা ও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। সূত্র: পার্সটুডে।
ফাইল ছবি: শ্রীরাধা দত্ত
ভারত সরকার কখনই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত। বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকির ইস্যুতে ভারত সরকার কি বাংলাদেশে সরকারের পাশে থাকবে? এ প্রশ্ন এখন নানা জায়গায় আলোচিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সুরাহার জন্য বাংলাদেশ সরকার দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল যা তারা অস্বীকার করেনি।
ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশলগত সহযোগী দেশ এবং কোয়াডের সদস্য। খুবই ঘনিষ্ঠ একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে উঠেছে দুই দেশের মধ্যে। তাছাড়া, ভারতের বাজারও আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য খুবই লোভনীয়।
কিন্তু দিল্লি কি তাদের সেই কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে? ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দিল্লির ওপর ভরসা করে এবং এখনও করবে, কিন্তু ভারতেরও কিছু সমস্যা রয়েছে। ভারত কি আমেরিকাকে বলবে বাংলাদেশ নিয়ে তোমরা যা করছো সেটি ঠিক নয়? আমার মনে হয়না ভারত তা করবে।’
বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে ভারত সরকার দেন-দরবার করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে কূটনীতি বিভিন্ন চ্যানেলে হয়, ভারত হয়ত ট্র্যাক টু বা ট্র্যাক থ্রি চ্যানেলে একথা তুলবে, কিন্তু ভারত সরকার কখনই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চাপ থাকলেও রোহিঙ্গা সংকটে নিয়েও ভারত মিয়ানমার সরকারের ওপর কখনই খোলাখুলিভাবে কোনো চাপাচাপি করেনি। তবে মিজ দত্ত স্বীকার করেন ভারত চায় আওয়ামী লীগের সরকার বাংলাদেশে থাকুক কারণ, তার মতে, নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগগুলো সবসময় শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছেন, যা নিয়ে দিল্লি কৃতজ্ঞ।’
এ কারণে, তিনি বলেন, ‘পরপর দুটো নির্বাচন নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠলেও ভারত চোখ বুজে ফলাফলকে মেনে নিয়েছে। এটা ঠিক যে ভারত আওয়ামী লীগকে অন্ধের মত সমর্থন করেছে...কিন্তু আমেরিকা এখন যেভাবে ক্ষেপে উঠেছে সেটা ভারতের জন্য চিন্তার জায়গা তো বটেই। মনে হচ্ছেনা আমেরিকানরা পেছোবে। সেখানে ভারত কী করতে পারবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’
এর আগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও ভারত যে বাংলাদেশের হয়ে আমেরিকার সঙ্গে জোরালো কোনও দেন-দরবার করেছে তার কোনো নজির নেই বলে উল্লেখ করেন। সূত্র: ইত্তেফাক
প্রতিকী ছবি
রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্য খুনের পাঁচ নম্বর আসামি মো. মানিক র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাতে পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। শুক্রবার (২১ মে) সকালে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের একটি টহল টিম কাজ করছিল। তাদের কাছে খবর আসে, একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। টহল টিম সেখানে গেলে র্যাব সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তারা গুলি ছোড়ে। নিজেদের রক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। কিছুক্ষণ গোলাগুলি চলার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে ছিল। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, নিহত ব্যক্তির নাম মানিক। পল্লবীতে শাহীন উদ্দিন নামে এক যুবককে যে দুজন কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন, তাদের একজন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৬ মে বিকেলে জমি নিয়ে ঝামেলার সুরাহার কথা বলে শাহীন উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম গত ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয় ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালকে । অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু। আসামিরা সবাই পল্লবী থানা এলাকার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে ভৈরব এলাকায় র্যাব অভিযান চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ও হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এছাড়া এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মো. সুমন বেপারী (৩৩) এবং মো. রকি তালুকদারকে (২৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব।