a
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে মস্কোর ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শাস্তি হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, রুশ সরকারের ঋণ নিয়ে নিয়ে যারা ব্যবসা করছে এমন ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত এমন ব্যক্তিসহ ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কার এবং ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল এমন ৩২ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেনের নির্বাহী আদেশ ‘এই বার্তা দিচ্ছে যে, রাশিয়া যদি অস্থিতিশীল আন্তর্জাতিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখে বা প্ররোচনা দেওয়া অব্যাহত রাখে তাহলে দেশটির উপর যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর ব্যয় চাপিয়ে দেবে।’
এদিকে নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া বার্তা দেবে মস্কো এবং এই নিষেধাজ্ঞার উপযুক্ত জবাবও দেওয়া হবে।
ফাইল ছবি: পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার এক টুইট বার্তায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপতি নিজেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেন, ‘আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছি। আল্লাহ সকল আক্রান্তদের প্রতি দয়া বর্ষণ করুক। আমি গেল করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি। তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে। যেটা আরও এক সপ্তাহ পর নিবো। দয়া করে সবাই সতর্ক থাকুন।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল।
চলতি মাসের শুরুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীও আক্রান্ত হলেন।
আজ ২২ এপ্রিল, বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালিত হচ্ছে। পরিবেশ সম্পর্কে জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ‘রিস্টোর আওয়ার আর্থ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই বছর পালিত হচ্ছে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস।
পৃথিবীকে নিরাপদ এবং বাসযোগ্য রাখার জন্য জলবায়ু সংকট এবং পরিবেশ দূষণরোধে তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সারা বিশ্বের পরিবেশ সচেতন মানুষ আজ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।
এবারের দিবসটি এমন সময় পালিত হচ্ছে যখন করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই থমকে আছে। পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের জীবনযাপন যখন এক প্রকার থমকে আছে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের দাপটে। ১৯৭০ সালের ঘটনা। জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই কোটি মানুষ। সেই থেকেই দিবসটির সূত্রপাত। ১৯৭০ সালে মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন দিবসটির প্রচলন করেন। এ কারণে পরবর্তীকালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্দোলন এবং আলোচনা সারা পৃথিবীতে চলে আসছে। অনেক দেশ অনেক কার্যকর উদ্যোগ নিলেও, উদাসিনতার দায়ে কোনো কোনো প্রভাবশালী দেশ হয়েছে সমালোচিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা ভাইরাস অভিজ্ঞতা থেকে সকলকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। এ পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য করতে সকলেরই যথাযথ ভূমিকা থাকা উচিত।
বাংলাদেশ দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবার আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অনলাইনে ‘করোনা বাস্তবতায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা রক্ষা ও পুনরুদ্ধার চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।