a
ফাইল ছবি
এই প্রথম ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড সরকার। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সহিংসতার প্রতিবাদে সংসদে একটি প্রস্তাবে পাস করেছে দেশটির সরকার। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
জানা গেছে, প্রস্তাবটি পাস হলে সেখানে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং ইসরায়েলের ওপর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা হতে পারে।
আর এক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডই হবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রটি পশ্চিম তীরে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সৌদি আরবকে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রায় যুক্ত হবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবকে বশে আনতে এ ধরনের শক্তিশালী বিমান বিক্রি একটি কৌশলগত চাল এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার একটি অংশ।
তবে এই উদ্যোগে এক বড় বাধা আসে — ইসরায়েলের “গুণগত সামরিক সুবিধা” (Qualitative Military Edge, QME)। আমেরিকা পুরনো রাজনৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিশ্চিত করে ইসরায়েলকে বলেছে যে ইসরায়েল তার প্রতিবেশীদের তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে সব সময় এগিয়ে থাকবে, যা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার একটি মূল ভিত্তি।
অনেক বিশ্লেষক বলছেন, সৌদিকে এফ-৩৫ দেওয়া হলে ইসরায়েলের এই কৌশলগত অগ্রাধার্য হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ইসরায়েলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন এই বিক্রয়কে সৌদির সঙ্গে স্বীকৃতি ও স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করুক। বিশেষ করে তারা চায় যে সৌদি আরব যদি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় — যেমন আব্রাহাম অ্যাকর্ডস — তাহলে এফ-৩৫ বিক্রয় অনুমোদন করুক।
তারা যুক্তি দেয় যে শুধুমাত্র অস্ত্র বিক্রি করা হলে এটি “বিরূপ ফল” হতে পারে এবং একটি কূটনৈতিকভাবে এটি ইসরায়েল যেন হুমকির মধ্যে না পড়ে।
আরেকটি বড় উদ্বেগ হলো প্রযুক্তির দিক: পেন্টাগন এবং গোয়েন্দা মহল সতর্ক করেছেন যে, অত্যাধুনিক এফ-৩৫ প্রযুক্তি সৌদির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং তাদের বৈদেশিক অংশীদারিত্বের কারণে চীনের হাতেও পড়তে পারে।
এমন উদ্বেগ অন্যবারও এসেছে, যখন মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর জন্য স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রতিপাদ্য ছিল — কারণ ফাইভ্থ জেনারেশন বিপ্লবী সেন্সর, স্টিলথ এবং নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি রয়েছে।
ট্রাম্পের এই দাবি কূটনৈতিকভাবেও বড় তাৎপর্য বহন করে: তিনি সৌদিকে এফ-৩৫ বিক্রি করার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণের এক পথ তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন বলে কিছু বিশ্লেষক দেখছেন।
ট্রাম্প একাধিক বার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সৌদি-ইস্রায়েল নর্মালাইজেশনকে উৎসাহিত করতে চান, এবং এফ-৩৫ বিক্রয় তার সেই কূটনীতি পরিকল্পনার একটি অংশ হতে পারে।
সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি মর্যাদাপূর্ণ এবং শক্তিশালী অবস্থান গড়ার সুযোগ। তারা স্বাধীনভাবে অত্যাধুনিক ও স্টেলথ প্রযুক্তি পায় এবং এফ-৩৫-এর মাধ্যমে তাদের এয়ার ফোর্স সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এটি তাদের কৌশলগত প্রতিযোগিতায় — বিশেষ করে ইরান ও অন্য প্রতিবেশী শক্তিগুলোর সঙ্গে — বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, সৌদির স্বীকৃতি ও নর্মালাইজেশনের ইস্যু তাদের ফিলিস্তিনি অবস্থানের সঙ্গে জড়িত। সৌদি আরব দীর্ঘকাল ধরে আরব শান্তি পরিকল্পনা (Arab Peace Initiative) জোর দিয়েছে, যেখানে তারা বলে যে ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি দেবে শুধুমাত্র যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।
এমন স্বীকৃতি এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি না পেলে, ইসরায়েল চুক্তিতে আরও কড়া শর্ত আরোপ করতে পারে — যেমন এমন এলাকা যেখানে বিমান স্থাপিত হতে পারবে না বা সীমাবদ্ধ সংখ্যক বিমান বিক্রি।
আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এফ-৩৫ বিক্রয় মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ দৃষ্টিকোণ থেকে সুগভীর প্রশ্ন তোলে। একদিকে, এটি মার্কিন-সৌদি সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে এবং সৌদির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে; অন্যদিকে, এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগ, অঞ্চলীয় শীতলীকরণ এবং সেন্সর-স্টিলথ প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
সবমিলিয়ে, ট্রাম্পের এফ-৩৫ বিক্রয় পরিকল্পনা কেবল একটি সামরিক চুক্তি নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি, নিরাপত্তা ভারসাম্য এবং শক্তি ভবিষ্যতের একটি প্রতীকী চেয়ে বেশি: এটি একটি কৌশলগত বাজি, যেখানে অস্ত্র বিক্রয়, সম্পর্ক স্বীকৃতি এবং প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ একসাথে যুক্ত হচ্ছেতেই। তবে প্রক্রিয়াটি কতটা সফল হবে, তা এখনও ওপেন প্রশ্ন — বিশেষ করে যদি কংগ্রেসের বাধা, ইসরায়েলের চাহিদা এবং প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকিগুলো প্রকট হয়ে ওঠে। সূত্রঃ আল জাজিরা
ফাইল ছবি
বেশির ভাগ বাবা-মা হীন হতদরিদ্র পরিবারের এতিম সন্তানদের জীবন কাটাতে হয় রাস্তায় কিংবা এতিমখানায়। দুবেলা খেতে পারাটাই যাদের কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার। এছাড়াও অভাবের সংসার হওয়ায় অনেক পরিবারের সন্তানদের পোলাও-মাংস খাওয়ানোর সামর্থ্য থাকে না। তারা সন্তানকে একটি সুন্দর জীবন দিবে সে স্বপ্নই ছিল দুচোখে। কিন্তু, মহামারী যেন সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করেছে।
তাদের স্বপ্ন পূরপণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । তেমনি এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "মঙ্গলতরী"। বৃহত্তর এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তারাও যুক্ত হয়েছে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায়। "প্রচেষ্টা" নামক এই প্রোগ্রামের জন্য তারা গিয়েছিলো গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুরে অবস্থিত "জামিয়া মোহাম্মাদীয়া আরাবিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা"তে।
মাদ্রাসার সকল এতিম শিক্ষার্থী (১৫ জন) সহ হতদরিদ্র অসহায় আরো ২২ জনকে পাঞ্জাবি বিতরণ করা হয়। সেই সাথে মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত অস্বচ্ছল একজন হুজুরকেও তারা সহায়তা প্রদান করে। গত ৫ই মে ২০২১ বাদ আসর এই পাঞ্জাবি বিতরণ প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফেজ মাসুদ সাহেদ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য ইফতারির আয়োজন করে। ইফতারির মেন্যু তে ছিলো গরুর গোশতের বিরিয়ানি, খেজুর, শরবত ইত্যাদি।
মঙ্গলতরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অপু সরকার বলেন, মানবসেবায় নিয়োজিত করতে তার অনেক ভাল লাগে আর সে থেকেই তার বন্ধু ও সহযোগী হাসনাইন ইফতিকে নিয়েই সংগঠনটির যাত্রা।
উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল হাসান বলেন "সময়টা এখন একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর। তাইতো আপনার একটু আত্মত্যাগে ফোটাতে পারে হাজারো মুখে হাসি। করোনাকালীন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নিজে এগিয়ে আসুন অন্যকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করুন "
উল্লেখ্য যে মঙ্গলতরীর ভলিন্টিয়ারের সংখ্যা প্রায় ৩৫ জন। যারা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে যাচ্ছে বিভিন্নভাবে।
সংগঠনটির অন্যতম সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবক রিসাত রহমান স্বচ্ছ বলেন, "অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ এই সময়ে কর্মহীন। পরিবার ও সন্তান নিয়ে অভুক্ত দিন কাটাচ্ছে তারা। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাদের কাছে অন্তত একবেলা পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে। এ জন্য প্রয়োজন আপনাদের একান্ত সহায়তা"।
মঙ্গলতরীর সাথে আপনি শামিল হতে পারেন তাদের মহৎ উদ্যোগে ফেইসবুক লিংক: www.facebook.com/mongoltori2020/ তাদেরকে সহায়তা পাঠানো বিকাশ/নগদ/রকেট নম্বর ০১৭১৮৪৮৬৩৭৩।