a
ফাইল ছবি
ইউক্রেন ইস্যুতে যেসব পদক্ষেপের কারণে উত্তেজনা বেড়েই চলছে তা থেকে বিরত থাকতে আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বেইজিং জোর দিয়ে বলেছে, ইউরোপে নিরাপত্তার বিষয়ে মস্কো যে উদ্বেগ প্রকাশ করছে তাকেও আন্তরিকভাবে বিবেচনা আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপকালে এসব কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এসময় দুই মন্ত্রী ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর মধ্যে বেড়ে চলার উত্তেজনা নিয়ে কথা বলেন।
আলোচনাকালে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব পক্ষকেই স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার মানসিকতা সম্পূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে এবং ভারসাম্যপূর্ণ, কার্যকর ও টেকসই ইউরোপীয় নিরাপত্তা কৌশল বের করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার যৌক্তিক নিরাপত্তা উদ্বেগকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। ওয়াং ই বলেন, পূর্বমুখী ন্যাটো জোটের বিস্তারের বিষয়ে মস্কোর উদ্বেগ বিবেচনায় নেয়া ছাড়া সামরিক জোট গঠন কিংবা তা শক্তিশালী করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব না।
ফাইল ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাকনির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের দুই সদস্য ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় তারা ঢাকায় পৌঁছান। প্রতিনিধিদলের আরও ৪ সদস্য আজ (রোববার) আসার কথা রয়েছে।
তবে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি ঢাকার ইইউ দূতাবাস। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের পর্যবেক্ষক দল ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইইউ থেকে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে কিনা, তারা সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখবেন।
ইইউ দূতাবাসের একটি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রতিনিধিদলের মূল কাজ হবে ইইউর পর্যবেক্ষকদের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, তাদের জন্য বাজেট, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, নিরাপত্তা ইত্যাদি মূল্যায়ন করা।
এ ছাড়া তারা সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা এবং সুশীলসমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর ব্রাসেলস ফিরে গিয়ে তারা এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, ইইউর প্রাকনির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের এ সফর আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যবেক্ষকরা ব্রাসেলসে যে প্রতিবেদন দেবেন, তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠানো বা না পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সারাদেশে কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতের নামাজের জন্য কিছু শর্ত আবশ্যিকভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করেছে।
যেসব শর্ত পালন করতে বলছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ঃ
মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে; কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে; শিশু, বয়ঃবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে; সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিগণ দোয়া করবেন এবং খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।
উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।