a
ফাইল ছবি
ইউক্রেন যুদ্ধ দেখিয়ে দিচ্ছে যে পশ্চিমা আধিপত্যের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এই মন্তব্য করেছেন বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এর কারণ হিসেবে টনি ব্লেয়ার বলেন, চীন রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বে পরাশক্তির মর্যাদায় উঠে এসেছে যা শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মোড় ঘুরিযে দেওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে একটি।
টনি ব্লেয়ার আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি বা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সঙ্গে বিষয়টি তুলনীয় যা বিশ্ব ইতিহাসের একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া পর্যায় ছিল। কিন্তু এই সময় পশ্চিম স্পষ্টতই উদীয়মান পর্যায়ে নেই।
‘ইউক্রেনের পর, পশ্চিমা নেতৃত্বের জন্য এখন কী শিক্ষণীয়?’ শিরোনামে লন্ডনের পশ্চিমে ডিচলে পার্কে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে জোটকে সমর্থনকারী একটি ফোরামে এক বক্তৃতায় ব্লেয়ার বলেন, আমরা পশ্চিমা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যের অবসানে আসছি। টনি ব্লেয়ার আরও বলেন, পৃথিবী অন্তত দ্বিমেরু এবং সম্ভবত বহুমুখী হতে চলেছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, যা আঞ্চলিক বা তার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধিতে একত্রে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে নীতি রয়েছে, সেটি বাস্তবায়নে আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
‘বাংলাদেশ মনে করে, দেশটির জনগণের পছন্দ অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক ও বহুমুখী দেশ হলে তা আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে। বাংলাদেশ নিজেকে আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু বলে মনে করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, পয়ঃনিষ্কাশন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান বিনিময় করার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলো এসব কাজ গত ২০ বছর ধরে দেশটিতে করে আসছে।’
‘বাংলাদেশ মনে করে, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং কোন দিকে তারা যাবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করে দেশের জনগণের ওপর। আফগানিস্তানকে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ আর দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের জন্য অবদান সৃষ্টিকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দেখতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে আফগান জনগণের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।’
সেইসঙ্গে আফগানিস্তানের সব পক্ষকে শান্তি রক্ষা এবং সব বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ। সূত্র : বিবিসি বাংলা
ফাইল ছবি
ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তা ৪৫০ মিলিয়ন বা ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণের এবং এই প্যাকেজের অধীনে দেশটিতে আরও অত্যাধুনিক রকেট সিস্টেমসহ অন্যান্য অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) নতুন এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য নতুন এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজে নতুন হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসহ অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম রয়েছে।’
এছাড়াও এই সহায়তায় রয়েছে হাজার হাজার রাউন্ড আর্টিলারি গোলাবারুদ এবং টহল বোট অন্তর্ভুক্ত। সূত্র: সিএনএন