a
ফাইল ছবি
ইরাকের একজন সিনিয়র সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চিন্তা করছে বাগদাদ। দেশের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও শত্রুর আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ইরাকের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান রিদা আল-হায়দারের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল শিহাব জাহিদ আলীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি মস্কো সফর করেছে এবং এ সফরে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুক্তি করতে কিছু সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
রিদা হায়দার বলেন, বাগদাদ এরইমধ্যে মস্কোর সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি করেছে যার আওতায় রাশিয়া ইরাকের আর্মার্ড ব্রিগেডকে আধুনিকায়ন করবে। তিনি আরও বলেন, ইরাকি সেনাদের রুশ সামরিক সরঞ্জাম বিশেষ করে ট্যাংক ও আর্মার্ড ভেহিক্যাল ব্যবহারের পুরনো অভিজ্ঞতা রয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের জন্য অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা জানার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে কৌশলগত পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। রুশ বাহিনী তাদের কালুগা অঞ্চলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ‘ইয়ার্স’ নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে রেখেছে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করার একটি ভিডিও উন্মুক্ত করেছে প্রতিরক্ষা দপ্তর। তাতে বলা হয়, দেশটির ‘কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে।
কালুগা অঞ্চলের কোজেলস্কি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকেন্দ্রের কমান্ডার আলেক্সি সোকোলভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধের দায়িত্বে থাকবে। এ ছাড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত থাকবে। এতে কৌশলগত ক্ষেত্রে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা যাবে।
বুধবার ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনে মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের যেকোনো চালান ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে’ এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
এর আগে কিয়েভকে যাতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করা না হয়, সে জন্য পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সতর্ক করেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠালে সেগুলো রুশ হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহের পদক্ষেপকে ক্রেমলিন একটি উসকানি হিসেবে গণ্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় ১০ মাস পার হয়েছে। সামনেই বড়দিন বা ‘ক্রিসমাস’। এ উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে মস্কো।
যুদ্ধ বন্ধে বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো সংলাপ হচ্ছে না। এখন ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক লড়াই চলছে। পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভসহ গোটা ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার এ ধরনের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে কিয়েভ। রুশ হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁরা নিজেদের ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারছেন না।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তার মতে, সারা দেশে ব্যাপক বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
আবহাওয়া খারাপ থাকায় সাগরে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে। যার ফলে এলএনজি খালাসে বিঘ্ন ঘটায় প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাইপলাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।
এ কারণে আজ সোমবার (১৪ জুন) থেকে আগামী বুধবার (১৬ জুন) পর্যন্ত তিন দিন আবাসিক, শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক কাজে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী তিন দিন অর্থাৎ ১৬ জুন পর্যন্ত সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার ফলে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন বা স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, 'বৈরী আবহাওয়ার কারণে এলএনজি ঢুকতে পারছে না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন দিন আবহাওয়া খারাপ থাকবে। ফলে এলএনজি নামাতে পারবে না। এ কারণেই আগামী তিন দিন সারা দেশেই গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।'
এদিকে বিষয়টি নিয়ে তিতাসের এমডি বলেন, 'এটি মানুষের জন্য খুবই কষ্টদায়ক হবে। তার পরও আমাদের কিছু করার নেই।'