a
ফাইল ছবি
ইরানের পরমাণু সমঝোতায় পুরোপুরি ফিরতে প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার রাতে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে এই ঘোষণা দেন। এদিন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ড. ইব্রাহিম রায়িসিও ভাষণ দেন।
ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ইরানের সঙ্গে আবার কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করে পরমাণু সমঝোতায় পুরোপুরি ফেরার লক্ষ্যে তার প্রশাসন ৫+১ গ্রুপের সঙ্গে শলাপরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যদেশ ও জার্মানি ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করেছিল এবং এই ছয় দেশ ৫+১ গ্রুপ নামে পরিচিত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যের অন্যত্র দাবি করেন, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না দেওয়ার ব্যাপারে ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।
বিশ্বের সব সমস্যা সামরিক উপায়ে সমাধান করা সম্ভব নয় বলে সরল স্বীকারোক্তি দেন বাইডেন। তিনি বলেন, আমেরিকার সামরিক শক্তিকে আমরা সর্বপ্রথম নয় বরং সবার শেষে ব্যবহার করব। যেকোনও সমস্যা হলেই সামরিক শক্তি ব্যবহারের প্রক্রিয়া থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ফাইল ছবি: ইরানে বড় সামরিক মহড়া শুরু
নিউজ ডেস্ক: ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডস কোর আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্স ইসফাহানে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে। দেশটির খাতাম আল-আম্বিয়া বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাদের রহিমজাদেহের নির্দেশে মঙ্গলবার নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সুবিধার আশপাশের এলাকায় একতেদার ১৪০৩ নামের এই মহড়া শুরু হয়।
সামরিক মহড়ায় আইআরজিসির এরোস্পেস ফোর্সের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কীভাবে বিমান হামলার হুমকি থেকে শহীদ আহমাদি রোশন পারমাণবিক সাইটের সুরক্ষা বিধান করবে সেই কৌশল প্রদর্শন করা হয়েছে।
ইরানের সামরিক বাহিনী তাদের অস্ত্র ও সরঞ্জাম পরীক্ষা করার জন্য এবং তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতির মূল্যায়ন করার জন্য দেশের বিভিন্ন অংশে একটি বিস্তারিত সময়সূচি অনুযায়ী এই নিয়মিত অনুশীলন শুরু করেছে।
ইরানের কর্মকর্তারা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, দেশটি তার সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালী করতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দক্ষিণের চর আসিয়াব শহরে পৌঁছে গেছে তালেবান। এরই মধ্য দেশটির ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ১৮টিই দখল করে নিয়েছে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আজ শনিবার চর আসিয়াব শহরে তালেবানের পৌঁছানোর খবরটি নিশ্চিত করেছেন লগার প্রদেশের আইন প্রণেতা হোদা আহমাদি। কাবুলের দক্ষিণের এই প্রদেশও চলে গেছে তালেবানের হাতে।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতও এখন তালেবানের দখলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি শহর দখলে নেয় তালেবান। নতুন দখল করা শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে কালাত, তেরেনকোট, পুল-ই-আলম, ফিরুজ কোহ, কালা-ই-নাও ও লস্করগাহ। এর মধ্যে লগার প্রদেশের রাজধানী হলো পুল-ই-আলম। এই শহর কাবুল থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরে।
বালখ প্রদেশের মাজার-ই-শরিফ শহরেও তীব্র আঘাত হেনেছে তালেবান। উত্তর আফগানিস্তানের এই শহরটি একসময় তালেবানের শক্ত ঘাঁটি ছিল। বালখ প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র মুনির আহমেদ ফরহাদ জানিয়েছেন, চতুর্দিক থেকে শহরটিতে হামলা চালিয়েছে তালেবান। এর আগে গত বুধবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি মাজার-ই-শরিফ সফর করেন। শহরটি রক্ষায় তিনি সেখানকার তালেবানবিরোধী যোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
এদিকে প্রাণ বাঁচাতে সংঘাতপূর্ণ এলাকা ও শহরগুলো থেকে হাজারো সাধারণ মানুষ নিরাপদে আশ্রয়ের আশায় রাজধানী কাবুলের দিকে ছুটছে। বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষের জন্য আশপাশের দেশগুলোকে সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।