a
ফাইল ছবি
নিজস্ব মুদ্রা রিয়াল ও রুবলে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করেছে ইরান ও রাশিয়া। এর অংশ হিসেবে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলকে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ইরান। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সম্প্রতি মস্কো সফর করার পর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়।
ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরান ও মস্কো নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন শুরু করার অর্থ হচ্ছে দুই পক্ষ মার্কিন ডলারকে গুডবাই জানানো।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো কোনো প্রভাবশালী দেশ তাদের মুদ্রাকে অন্য দেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এর বিপরীতে যেসব দেশ মার্কিন ডলারের মতো প্রভাবশালী মুদ্রা এড়িয়ে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করতে চায়, তারা মূলত প্রভাবশালী দেশগুলোর রাজনৈতিক চাপকে নস্যাৎ করার কার্যকর উপায় বেছে নিয়েছে।
ইরান ও রাশিয়া দুই দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রাশিয়ার মুদ্রা রুবলকে ইরানের বিনিময়যোগ্য মুদ্রার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বছরে ইরানের ওপর ৩০০ কোটি ডলারের চাপ কমে যাবে। এতে দুই দেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রভাবও নাটকীয়ভাবে বদলে যাবে।
ডলারের পরিবর্তে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের ফলে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা এখন অনেকটা সহজ হবে।
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে রাশিয়ার এক সিনিয়র কর্মকর্তা। বুধবার ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে এমন হুশিয়ারি দেন তিনি। খবর-বিবিসির
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, গাজায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা আরও বাড়ার ব্যাপারে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা অগ্রহণযোগ্য।
ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ দশম দিনে পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের ২২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
অপরদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে হামাসের হামলায় ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ইসরাইলি সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি।
ফাইল ছবি
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে না পেরে বাড়ানো হয়েছে লঞ্চ চলাচলের নির্ধারিত সময়। আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চলবে। রবিবার (১ আগস্ট) এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিটিএ।
এর আগে রফতানিমুখী শিল্প কল কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে ভোগান্তি কমাতে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলা এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া দৌলতদিয়া রুটে লঞ্চ চলার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শনিবার সন্ধ্যায় বিআইডব্লিউটিএ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
রবিবার সকালে ঢাকার সদরঘাটে চোখে পড়ে যাত্রীদের ভিড়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে ছিল না পা ফেলার জায়গা। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে না পেরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কায়সারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যাত্রীর চাপ এতটাই বেশি যে, তারা কোনোভাবেই নির্দেশনা মানছে না। যে পরিমাণ যাত্রী আছে দুপুর ১২টার মধ্যে একটি বা দুটি লঞ্চের মাধ্যমে তা ঢাকায় পাঠানো সম্ভব নয়। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে নৌচলাচল বন্ধ রেখেছি।