a ইরান-রাশিয়া নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য শুরু
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ পৌষ ১৪৩২, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইরান-রাশিয়া নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য শুরু


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২, ১১:৫৩
ইরান-রাশিয়া নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য শুরু

ফাইল ছবি

নিজস্ব মুদ্রা রিয়াল ও রুবলে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করেছে ইরান ও রাশিয়া। এর অংশ হিসেবে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলকে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ইরান। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সম্প্রতি মস্কো সফর করার পর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়।

ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরান ও মস্কো নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন শুরু করার অর্থ হচ্ছে দুই পক্ষ মার্কিন ডলারকে গুডবাই জানানো।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো কোনো প্রভাবশালী দেশ তাদের মুদ্রাকে অন্য দেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এর বিপরীতে যেসব দেশ মার্কিন ডলারের মতো প্রভাবশালী মুদ্রা এড়িয়ে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করতে চায়, তারা মূলত প্রভাবশালী দেশগুলোর রাজনৈতিক চাপকে নস্যাৎ করার কার্যকর উপায় বেছে নিয়েছে।

ইরান ও রাশিয়া দুই দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রাশিয়ার মুদ্রা রুবলকে ইরানের বিনিময়যোগ্য মুদ্রার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বছরে ইরানের ওপর ৩০০ কোটি ডলারের চাপ কমে যাবে। এতে দুই দেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রভাবও নাটকীয়ভাবে বদলে যাবে।

ডলারের পরিবর্তে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের ফলে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা এখন অনেকটা সহজ হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজারবাইজান সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৩ আগষ্ট, ২০২১, ০৭:৪৯
আজারবাইজান সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

ফাইল ছবি

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামনন্ত্রী কর্নেল জেনারেল জাকির হাসানভ সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সেন্ট্রাল কমান্ড পোস্টে এক সভায় এই নির্দেশনা জারি করেন। খবর ইয়েনি সেফাক এর।

সীমান্তে আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনী উসকানিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজান। জেনারেল জাকির বলেন, সীমান্তে আর্মেনিয়ানদের কাছ থেকে যেকোনো ধরনের উস্কানি সাথে সাথে দমন করা হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ান সৈন্যরা কালবাজার অঞ্চলে আবারো আজারবাইজান অবস্থানগুলোতে গুলিবর্ষণ করে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। উল্লেখ্য, সাবেক সোভিয়েত এই দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা এখনো বহাল রয়েছে।

উত্তেজনা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। সেসময় আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী আপার কালবাজার নামে পরিচিত নাগারনো-কারাবাখ দখল করে নিলে উত্তেজনা শুরু হয়। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৪ দিনের যুদ্ধে আজারবাইজান বাহিনী বেশ কয়েকটি নগরী ও প্রায় ৩০০টি বসতি মুক্ত করে। এরপর রাশিয়ার মধ্যস্ততায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। কিন্তু এখনো দুই দেশের সীমান্তে মাঝে মাঝেই উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আফগানিস্তান ত্যাগের আগে সব সামরিক বিমান ধ্বংস করে গেল মার্কিন বাহিনী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২১, ০৬:০৭
আফগানিস্তান ত্যাগের আগে সব সামরিক বিমান ধ্বংস করে গেল মার্কিন বাহিনী

ফাইল ছবি

সোমবার আফগানিস্তানে চূড়ান্তভাবে শেষ হয় মার্কিন অধ্যায়। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় সব শেষ মার্কিন বিমান ছেড়ে যায় কাবুল বিমানবন্দর।

এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় দেশটিতে আমেরিকার দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক অভিযান।

এদিকে, তালেবানের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়া করে কাবুল ত্যাগের ফলে সব সামরিক বিমান নিজ দেশে ফেরত নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর ত্যাগের আগে সেখানে থাকা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৭৩টি সামবিক বিমান মার্কিন বাহিনী এমনভাবে নষ্ট করে রেখেছে, যাতে তালেবানরা আর এগুলো ব্যবহার করতে না পারে। 

মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য যেসব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা ছিল, সামরিক বিমানগুলোর মতো সেগুলোও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

কেনেথ ম্যাকেঞ্জি আরও বলেন, ফেলে আসা মার্কিন সামরিক বিমানগুলো আর কখনও আকাশে উড়বে না।

এছাড়া ৭০টি সামরিক যান এবং ২৭টি হামরি টহল যান নষ্ট করা হয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য এক মিলিয়ন ডলার।

৩০ আগস্ট মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ ফ্লাইটটি আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এর মাধ্যমে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটল।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তারা ছয় হাজার মার্কিন নাগরিকসহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছেন। ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ২৩ হাজার সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এক ব্রিফিংয়ে কেনেথ ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে ঘোষণা করতে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।

তিনি বলেন, আজ রাতের এ প্রত্যাহার শুধু সেনা প্রত্যাহারই নয়, বরং এটি প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধেরও সমাপ্তি, যে যুদ্ধ আফগানিস্তানে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক