a
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে রাশিয়ার এক সিনিয়র কর্মকর্তা। বুধবার ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে এমন হুশিয়ারি দেন তিনি। খবর-বিবিসির
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, গাজায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা আরও বাড়ার ব্যাপারে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা অগ্রহণযোগ্য।
ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ দশম দিনে পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের ২২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
অপরদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে হামাসের হামলায় ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ইসরাইলি সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি।
ফাইল ছবি
বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের জন্য শিরোনামে আসলেও এবার ভিন্ন এক কারনে আলোচনায় আসলো এই জায়ান্ট কোম্পানি। দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়মানুসারে তাদেরকে উত্তরাধিকার কর দিতে হবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের চেয়ারম্যান লি কুন-হির পরিবারের।
এই কর দেওয়া হলে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল রেকর্ড তৈরি করবে। কারণ তাদের করের পরিমাণ ১২ ট্রিলিয়ন ওন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) বা ১০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৮৪ হাজার ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা! ব্রিটিশ গণ্যমাধ্যম বিবিসি'র সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার নিজস্ব নিয়ামানুসারে উত্তরাধিকার কর অনেক বেশি। মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের তার সম্পদের ওপর প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এই রকম করের নিয়ম সবচেয়ে বেশি জাপানে, এরপরেই আছে দক্ষিণ কোরিয়া।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর স্যামসাংয়ের চেয়ারম্যান লি কুন-হির মৃত্যু হয়। যিনি ছিলেন স্যামসাংয়ের প্রতিষ্ঠাতা লি বিয়ং-চুলের সন্তান। পিতার ছোট্ট ব্যবসাকে লি কুন-হি শুধু নিজ দেশেই সীমাবদ্ধ রাখেননি,বরং তিনি কঠোর পরিশ্রম আর সাধনা করে বিশ্বেরই একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। এক বিবৃতিতে স্যামসাং নিশ্চিত করে এই অর্থ শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়াই নয় যা বিশ্বে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উত্তরাধিকার কর।
বিবিসি বলছে, পাঁচ বছর সময় নিয়ে মোট ছয় কিস্তির মাধ্যমে স্যামসাং পরিবার এই বিশাল অঙ্কের কর পরিশোধ করবে। সূত্র : বিবিসি
ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের পর বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে ময়মনসিংহেও বড় সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তারা (সরকার) বিভিন্নভাবে আপনাদের ঠেকানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। চট্টগ্রামেও আপনারা শক্তি জানান দিয়েছেন। সেটা দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
গতকাল শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে এবং নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চট্টগ্রামের পর গতকাল ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশ হয়। এ সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করাসহ নানাভাবে বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন সরকার সমর্থকেরা। সমাবেশের স্থান নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। স্থানীয় প্রশাসন সমাবেশের ঘোষিত স্থান সার্কিট হাউস মাঠের অনুমতি বাতিল করে শেষ মুহূর্তে পলিটেকনিক মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেয়। রাস্তায় যানবাহন না পেয়ে অনেকে হেঁটে, কেউবা অটোরিকশায়, আবার অনেকে বিকল্প পথে নৌকায় করে সমাবেশে যোগ দেন।
এ পরিস্থিতির উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এই স্বৈরাচার সরকারের পতনের মাধ্যমেই দেশকে ফিরে পেতে হবে। তিনি বলেন, তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত আন্দোলনের যে জোয়ার উঠেছে, সেই জোয়ারে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, এ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। সেই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটা নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার তৈরি হবে। অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবে।’
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ নির্বাচনে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা ছিল। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল, পুলিশ-র্যাব পাহারায় ছিল, তার পরেও ওই নির্বাচন দুপুরের মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এ সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ লেগেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, তারা ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। সেই চালের দাম এখন ৭০ টাকা হয়েছে। তারা বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; এখন চাকরি পেতে হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
সরকার উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে খাচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বাড়িয়েছে; তারা উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে, লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করে। তারা কানাডা, লন্ডনে, বেগমপাড়ায় বাড়ি করে, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানায়। আর আমার দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে।’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অবৈধ এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের গণসমাবেশ বলে দেয় বিএনপি ঝিমিয়ে পড়ে নাই। এভাবে আন্দোলন চালিয়ে গেলে একপর্যায়ে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।’
সমাবেশে বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেন। সমাবেশে আসতে বাধা বা যান চলাচল করতে দেওয়া হবে না জেনে আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই নেতা-কর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে ময়মনসিংহ শহরে এসে জড়ো হতে থাকেন। তাঁদের কেউ শহরে আত্মীয়স্বজনদের বাসায়, কেউ আবাসিক হোটেলে, কেউবা রাতে রাস্তায় অবস্থান করেন। এর মাঝে সকাল থেকেই একে একে জড়ো হতে থাকেন মাঠে। নানা স্লোগানে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁরা মাঠে আসেন। দুপুর হতেই জনসভাস্থল ভরে যায়।
সমাবেশস্থল ছাড়াও নেতা-কর্মীদের ভিড় ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের সড়ক ও বাসাবাড়ির গলিতে। শহরের চরপাড়া থেকে মাসকান্দা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে নেতা-কর্মীদের ভিড় লেগে যায়। নেতা-কর্মীদের কেউ দাঁড়িয়ে, কেউবা সড়কে বসে মাইকে বক্তব্য শুনছিলেন। একটু পরপরই পুরো সড়ক দখল করে নেতা-কর্মীদের মিছিল আসতে দেখা যায়। মিছিল থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন ও অত্যাচারের প্রতিবাদ করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো