a
ফাইল ছবি
শুক্রবার আব্রাহাম অ্যাকর্ড চুক্তির স্মরণে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
খবরে বলা হয়, আরও আরব দেশকে বর্বর ইহুদীবাদি ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উৎসাহিত করবে বাইডেন প্রশাসন।
আব্রাহাম অ্যাকর্ড হচ্ছে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) কর্তৃক ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট সই করা একটি সম্মতিপ্রাপ্ত চুক্তি। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় এ চুক্তি সই হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কোকে অনুসরণ করার জন্য আমরা আরও দেশকে উৎসাহিত করবো।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, যে কোনো দেশ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ মাসে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়। এরপর বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো আরব আমিরাতের পথ অনুসরণ করে বর্বর ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।
বিনিময়ে ট্রাম্প প্রশাসন পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর কর্তৃত্বের স্বীকৃতি দেয়, সুদানকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করে।
এদিকে ব্লিঙ্কেন ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ইচ্ছের কথা জানান, যা ট্রাম্পের প্রশাসনের সময় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং গাজার নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাস কেউই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টিকে সেসময় ভালোভাবে নেয়নি। তারা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টিকে ‘পিঠে ছুরি মারার’ সঙ্গে তুলনা করেছে। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
আমেরিকার সীমান্তে মেক্সিকোর শহর রেনোসায় গালি চালিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে রাস্তার ১৮ পথচারীকে হত্যা করে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে অনেকটা সিনেমার দৃশ্যের মতো ঘটনাটি ঘটে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আততায়ী পলাতক। বেশকিছু মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে। পুলিশ আততায়ীর খোঁজে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে একটি এসইউভি গাড়ি চড়ে আততায়ী গুলি ছুড়তে ছুড়তে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রেনোসার একাধিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।
পুলিশ গাড়িটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। তবে সীমান্ত অঞ্চল সিল করে দেওয়া হয়েছে। বর্ডারগার্ড, সেনা ও পুলিশ গোটা এলাকায় চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এর সঙ্গে ড্রাগ মাফিয়া বা কার্টেলদের সম্পর্ক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ।
অন্য আরেক ঘটনায় আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনিও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল বলে প্রশাসনের দাবি। পুলিশের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মেক্সিকো প্রশাসন জানিয়েছে, আততায়ীকে ধরার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা হবে। তবে কেন, কে এভাবে গুলি ছুড়লো, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করা হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। এই দিনটিকে উদযাপন করতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, মহাসমাবেশকে সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে ৫টি দল গঠন করেছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঢাকার আশপাশের ১৫টি জেলা ও মহানগর শাখায় গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিশেষ বর্ধিত সভা করবেন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সাংগঠনিক প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ আগামী ১৫ অক্টোবরের আগেই জেলাসমূহে বর্ধিত সভায় অংশ নেবেন।
এতে আরও বলা হয়, সকল বিশেষ বর্ধিত সভায় সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগরের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রী, দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানগণ, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়রগণ, ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, জেলা/মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সকল নেতৃবৃন্দ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যবৃন্দ, উপজেলা/থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভা/ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং জেলার সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত থাকবেন।
বিশেষ বর্ধিত সভাসমূহে আগামী ২৩ অক্টোবর মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মতিঝিল শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার জন্য প্রত্যেক উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড থেকে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া গত রোববার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে মতিঝিলে সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিন আমরা মতিঝিল প্রান্তে একটি সমাবেশ করব। সূত্র: বিডি প্রতিদিন