a
ফাইল ছবি
তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে ইসরাইলের নাগরিকদের ওপর ইরান হামলা চালাতে পারে বলে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ যে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন তেহরান তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইরান বলছে, প্রতিবেশী দুটি মুসলিম দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য এই ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়েছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর তেহরান টাইমস
বিশ্বের কোনো জাতি ইসরাইলের এ ধরনের কল্পিত অভিযোগ বিশ্বাস করবে না বরং তারাই নিপীড়ক ও বর্বর শক্তি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলের নিজের অপরাধযজ্ঞ ঢাকার অপকৌশল হিসেবে লাপিদ এই বক্তব্য দিয়েছেন।
খাতিবজাদেহ আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদী ও প্রতারক ইসরাইল সরকারের এ প্রতিনিধির ভিত্তিহীন দাবি সম্পর্কে তুরস্ক সচেতন রয়েছে। তবে তেহরান আশা করে ইসরাইলের এমন ভিত্তিহীন দবির মুখে আঙ্কারা চুপ থাকবে না।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ গত বৃহস্পতিবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ইস্তানবুল শহরে ইসরাইলের নাগরিকদের ওপর ইরান হামলা চালাতে পারে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসী ও অন্তর্ঘাতমূলক যে কোনো তৎপরতার বিরুদ্ধে সাধারণ লোকজনকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে কঠোর জবাব দিতে ইরান সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে রাশিয়ার এক সিনিয়র কর্মকর্তা। বুধবার ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে এমন হুশিয়ারি দেন তিনি। খবর-বিবিসির
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, গাজায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা আরও বাড়ার ব্যাপারে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা অগ্রহণযোগ্য।
ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ দশম দিনে পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের ২২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
অপরদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে হামাসের হামলায় ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ইসরাইলি সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি।
ফাইল ছবি
— একজন বঙ্গবন্ধু —
মোসলেমা পারভীন
তুমি কখনও ভাবতে পারোনি
কোন বাঙালী কোনদিন,
তোমার কোন ক্ষতি করতে পারে!
তোমার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি
সুরক্ষিত করার প্রস্তাব
অকাতরে অগ্রাহ্য করে গেছ।
তোমার বাড়ি রেখে গেছ
অবারিত
বাংলার আপামর মানুষের জন্য।
একজন অবিসংবাদিত নেতার ও
তবে বুঝি ভুল হয় —
সেই অরক্ষিত দরজাকে দিতে হল
ভুলের মাশুল!
ঘাতকেরা ঢুকে গেল বিনা বাঁধায়,
দ্বিধা হলনা, বাঙালীর প্রতি
গভীর বিশ্বাস
জমা করে রাখা বুকে,
বুলেট চালাতে!
তার খেসারত বুঝি বা বাঙালী,
বাংলাদেশী দিয়ে যাবে চিরকাল।
বাঙালী আজ আর একে অপরকে
বিশ্বাস করেনা।
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
বেঁচেছিলে,
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
দিয়েছিলে
এই অকৃতজ্ঞ জাতিকে!
সেই বিশ্বাস আজ
পয়তাল্লিশ বছর
টুঙ্গিপাড়ার মাটির নীচে
চাপা পড়া।
বাংলাদেশ আজ তোমার জন্মশতবার্ষিকি
পালন করছে!
তুমি চোখ মেলে দেখোনা!
বিশ্বাসঘাতকের দেশে তোমার
আড়ম্বরপূর্ণ জন্মতিথী পালন!
তুমি দেখোনা!
তোমার মৃত্যুতে খেসারত
দিয়ে যাওয়া,
ক্রমাগত খেসারত দিয়ে যাওয়া
আমরা বাংলাদেশীরা দেখে যাই
উৎসব!