a
সংগৃহীত ছবি
ওমান উপকূলে তেলের জাহাজে হামলার ঘটনায় ইরানকে দুষছে ইসরায়েল। ওই হামলায় দুই ক্রু নিহত হয়েছেন। তাদের একজন ব্রিটিশ নাগরিক। অন্যজন রোমানিয়ার নাগরিক।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ট্যাংকারটি পরিচালনা করে লন্ডন-ভিত্তিক জোডিয়াক মেরিটাইম। আরব সাগরে ওমান উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে।
ইসরায়েলি শিপিং ম্যাগনেট আইল ওফার মালিকানাধীন কোম্পানিটি বলছে, তারা ঘটনার বিস্তারিত জানতে কাজ করছে। তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড শুক্রবার এটিকে সরাসরি ‘ইরানের সন্ত্রাসবাদ’ বলে উল্লেখ করেন।
এক বিবৃতিতে লাপিড বলেন, ‘ইরান শুধু ইসরায়েলের সমস্যা নয়’ এবং ‘এ ঘটনায় বিশ্ব চুপচাপ থাকতে পারে না’।
তবে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাপানি মালিকানাধীন ট্যাংকারটিতে হামলার ঘটনা এখনও অস্পষ্ট এবং এ বিষয়ে ইরান এখনও কোন মন্তব্য করেনি।
এ হামলা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা গুরুতরভাবে বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যান্য প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ড্রোনের মাধ্যমে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করতে কমিটি গঠন করতে সম্মত হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।বৃহস্পতিবার রাতে ওই পরিষদ ভোটাভুটির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করে।
ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ২৪ ভোট এবং বিপক্ষে ৯ ভোট পড়ে। আর ভোটদানে বিরত থাকে ১৯টি দেশ। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এখন একটি কমিটির মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখবে।
প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও বায়তুল মুকাদ্দাসে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ যেন অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ওআইসির পক্ষ থেকে পাকিস্তান জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এই অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব করেছিল।
গত ১০ মে থেকে ইসরায়েল টানা ১২ দিন ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানগুলোতে ভয়াবহ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল এতে ৬৯ শিশুসহ অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং আহত হয় আরও প্রায় দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
ফাইল ছবি: ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশ থেকে ফিরে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি দেশটির সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে ব্রিফ করেছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
বিক্রম মিশ্রি কমিটিকে জানান, সোমবার ঢাকা সফরের সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভারত বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় এবং যে কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা ভারত সমর্থন করে না। এটি দুই দেশের সম্পর্কের একটি ক্ষুদ্র প্রতিবন্ধক।’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শেখ হাসিনা তার মন্তব্যের জন্য ‘ব্যক্তিগত যোগাযোগ ডিভাইস’ ব্যবহার করছেন। ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ–সুবিধা দেয়নি, যা দিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারেন। এটি তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ না করার ঐতিহ্যগত রীতির অংশ।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার অভিযোগের স্বীকৃতির নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন ছিল। তবে সবশেষ খবর হলো, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এ সংক্রান্ত সহিংসতার ঘটনায় ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এ খবরকে ভারত স্বাগত জানায়।
সূত্র : দ্য হিন্দু/বিডি প্রতিদিন