a
সংগৃহীত ছবি
ইসরায়েলের চারটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাজধানী বৈরুতের মাদি এলাকায় ড্রোনগুলো ধ্বংস করে।
ইরাকের সাবেরিন নিউজ চ্যানেল জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সাগরের দিক থেকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের মাদি এলাকায় প্রবেশের চেষ্টাকালে চারটি ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংস করে হিজবুল্লাহর সেনারা। এগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
ইসরায়েল মাঝে মধ্যেই লেবাননের জল, স্থল ও আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে। আন্তর্জাতিক সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লেবাননের আকাশ ব্যবহার করে এর আগে সিরিয়াতেও হামলা চালিয়েছে তেল আবিব।
লেবানন সরকার সব সময় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়ে অবহিত করার পাশাপাশি আগ্রাসন ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করে আসছে।
২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধের পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত ১৭০১ নম্বর ইশতেহারে বলা হয়েছে, ইসরায়েল লেবাননের বিরুদ্ধে কোনো বিদ্বেষমূলক তৎপরতা চালাবে না। কিন্তু ইসরায়েল কখনো কোনো আন্তর্জাতিক আইন ও ইশতেহারকে মেনে মানেনি। খবর-পার্সটুডে
সংগৃহীত ছবি
আমেরিকান সৈন্যসহ ন্যাটোবাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবাদের দাপট জোরালো হওয়ায় শত শত আফগান সেনা পালিয়ে যাচ্ছেন।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের সাথে যুদ্ধে টিকতে না পেরে এক হাজারেরও বেশি আফগান সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, তাজিক কর্মকর্তারা জানান, আফগান প্রদেশ বাদাখশানের কয়েকটি জেলায় যুদ্ধের পর 'জান বাঁচানোর' তাগিদেই এসব আফগান সৈন্য তাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আফগানিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন তালেবানের দখলে, এবং প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন জেলা সরকারি বাহিনীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবাদের দাপট জোরালো হওয়ায় শত শত আফগান সৈন্য পালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গতকাল রবিবার একদিনে সর্বাধিক সেনা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। যুক্তরাষ্ট্র বাগরাম বিমানঘাঁটি খালি করে দেওয়ার দুই দিন পর এই ঘটনা ঘটলো।
সৈন্যদের এভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাজিকিস্তান যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কতজন সৈন্য দেশটিতে পালিয়ে গেছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি মার্কিন সমর্থিত আফগানিস্তান সরকারের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
এদিকে আশংকা করা হচ্ছে, তালেবানের সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াই যদি আরও তীব্র হয়, তাহলে শরণার্থীর ঢল সীমান্ত অতিক্রম করে আশেপাশের দেশে চলে যেতে পারে। আর মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এখন থেকেই সেই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে নগরায়ণ ও নগর পরিকল্পনায় মাটির প্রকৃতি, ভূতলের উচ্চতা, ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রভৃতিকে যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এর নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগের সেমিনারে এসব মন্তব্য করেন বক্তারা।
তারা আরও বলেন, রাজধানী ঢাকার নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় জলাশয়-জলাভূমিকে ভরাট করে আবাসন ও অবকাঠামো নির্মাণের কারণে ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগের শঙ্কা বেড়েই চলেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত ‘ঢাকা শহরের ভূ-প্রকৃতি এবং অভ্যন্তরীণ ভূতাত্ত্বিক বিন্যাস এর নগর পরিকল্পনাগত প্রভাব’ শীর্ষক পরিকল্পনা সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব মতামত দেন।
নগরপরিকল্পনাবিদরা বলেন, বাংলাদেশের নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নিয়ে ভূমির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই নগরায়ণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মাহফুজুল হক বলেন, গত দুই দশকে ঢাকার নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের যেসব এলাকায় নগরায়ণ হয়েছে, সেসব এলাকার মাটির বৈশিষ্ট্য ও ভূতাত্ত্বিক গঠন নগরায়ণের উপযোগী নয়। ফলে ভূমিকম্প হলে বসিলার মত এলাকায় দুর্যোগ ও ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা বেশি থেকে যায়।
তিনি বলেন, ঢাকার ভূমিতলের উচ্চতা ৫-১৮ মিটার এর মধ্যে এবং এই অঞ্চলের অনেক স্থানে ভবন নির্মাণ ও নগরায়ণের জন্য উপযোগী লাল মাটি বিদ্যমান আছে। আবার অনেক এলাকায় প্রাকৃতিকভাবেই নিচুভূমি, জলাশয় ও ভূ-অভ্যন্তরে পানি ধারণ অঞ্চল বা একুইফার আছে। যথাযথভাবে ভূমি উপযোগিতা বিশ্লেষণ না করে বর্তমানে নগরায়ণ হওয়াতে সামনের দিনে নগর দুর্যোগের শঙ্কা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সূত্র: যুগান্তর