a
ফাইল ছবি
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে আক্রান্তের হিসেবে এই সংখ্যা শুধুমাত্র ভারতে নয় বিশ্বেও সর্বোচ্চ।
এ বছর ৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ১৯৫ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে বুধবার নতুন রের্কড গড়ল ভারত।
দৈনিক মৃত্যুর নিরিখেও দেশটিতে বুধবার তৈরি হল নতুন রের্কড। দেশে এই প্রথম একদিনে মৃত্যু ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৩ জনের।
করোনা ভাইরাসের এই মহামারীতে দেশে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৩ জন। সূত্র: আনন্দবাজার
ফাইল ছবি
ইউরোপজুড়ে ইউক্রেনের দূতাবাসে একের পর এক রহস্যজনক পার্সেল আসছে। এখন পর্যন্ত ১৭টি ইউক্রেনীয় দূতাবাস বা কূটনৈতিক মিশনে চিঠিবোমা অথবা প্যাকেট গেছে; যা এখনো কোন কুল কিনারা করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী।
শুক্রবার এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, গত কয়েক দিন ধরে পাওয়া এসব প্যাকেটে গরুর চোখসহ বিভিন্ন প্রাণীর অঙ্গ রয়েছে।
এখনো পর্যন্ত বেশিরভাগ প্যাকেটে পাওয়া গেছে পশুর চোখ। বুধবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের ইউক্রেনীয় দূতাবাসে চিঠিবোমা বিস্ফোরণে একজন কর্মকর্তা আহতও হন। দূতাবাসের বাকি কর্মীদের স্পেনের প্রধানমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন দূতাবাসে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার পর স্পেনজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, স্পেনে ইউক্রেনের দূতাবাসে একটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে এটি শুরু হয়েছে; কিন্তু এ বিস্ফোরণের পরে যা ঘটেছিল তা ছিল আরও অদ্ভুত এবং ভয়াবহ।
চিঠির পেছনে কে বা কারা জড়িত এমন প্রশ্নে কুলেবা সিএনএনকে বলেন, আমি সরাসরি রাশিয়ার নাম বলতে প্রলুব্ধ বোধ করছি, কারণ সবার আগে আপনাকে উত্তর দিতে হবে- এতে কার লাভ?
যদিও বুধবার মাদ্রিদের বিস্ফোরক প্যাকেটের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো বলেন, স্পেন ছাড়াও মোড়ক পেয়েছে হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি এবং অস্ট্রিয়ার দূতাবাস। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বাড়িতেই করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই ভয়ে ভেঙে পড়বেন না। এই রোগের চিকিৎসা হতে পারে বাড়িতে থেকেও। এজন্য সংক্রমণ সম্পর্কে কয়েকটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সর্বত্র। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ের মাঝেও এসব কথা মাথায় রাখা জরুরি যে, বাড়িতে কিছু ব্যবস্থা রাখতে হবে। খেয়াল রাখা দরকার, কীভাবে বাড়িতেই নিজেদের চিকিৎসা অনেকটাই করা যায় হাসপাতালে না ভর্তি হয়েই। তবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।
৮৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা বাড়ি থেকে করা সম্ভব বলে মনে করেন ভারতীয় চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার। তার মতে, বাড়িতে কয়েকটি ওষুধ মজুত রাখতে হবে এই সময়ে। প্যারাসিটামল, মাল্টি ভিটামিন আর কাশিতে কাজে লাগার মতো অ্যান্টিহিস্টামিন। এছাড়াও, একটি অক্সিমিটার থাকা দরকার। পরিস্থিতি বুঝে মজুত রাখা যায় অক্সিজেন সিলিন্ডারও।
বিশেষভাবে জেনে রাখা দরকার, কোন উপসর্গ দেখা দেওয়া মানে কতটা গুরুতর হয়েছে সংক্রমণ। যেমন করোনা সংক্রমণের তিনটি মূল স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরে ভাইরাস থাকে নাক-গলায়। এই স্তরে বিশেষ জ্বর বা বড় কোনও অসুবিধা দেখা দেয় না। সংক্রমণ গলা পর্যন্ত গেলে, কারও কারও গলা জ্বালা করে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে ভিটামিন-সি খেতে হতে হবে জরুরীভিত্তিতে।
দ্বিতীয় স্তর হল, যখন কাশি বেশি হয়। জ্বরও বাড়ে এমন ক্ষেত্রে। শরীরের প্রতিরোধ শক্তি অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে পড়ে সংক্রমণ এই স্তরে পৌঁছে গেলে। ফুসফুস আক্রান্ত হলে কাশি বাড়ে। শ্বাসের অসুবিধাও হতে পারে। তবে শ্বাসের সমস্যা বেশি না হলে এই স্তরেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কারণ নেই। বাড়িতেই বারবার গরম পানি করে ভাপ নেওয়া, গরম পানিতে ওষুধ ফেলে গার্গল করা এবং নিয়মিত ভিটামিন খাওয়া গেলে ধীরে ধীরে ভাল হয়ে উঠবে রোগী।
সংক্রমণের তৃতীয় স্তরের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বেশি মাত্রায় হতে পারে। ফুসফুসের পাশাপাশি হৃদ্যন্ত্র, বৃক্কেও ক্ষতি করতে পারে ভাইরাস। দুর্বলতাও মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায়। এমন ক্ষেত্রে জরুরীভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
চিকিৎসকেদের মতে, করোনায় আক্রান্ত যারা হচ্ছেন, তাদের একটা বড় অংশের সংক্রমণের মাত্রা থাকছে মাঝারি স্তরে। এমন রোগীদের বারবার পানি খাওয়া প্রয়োজন। আর ভালভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।
ডাক্তার অরুণাংশু বলেন, “করোনা এখন ঘরে ঘরে হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। যাদের উপসর্গ তেমন থাকছে না, তারা বাড়িতে আরামে চিকিৎসা করাই ভাল।”
যারা ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ কিংবা থাইরয়ডের ওষুধ নিয়মিত খান, তাদের নিজেদের নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে না। করোনার চিকিৎসা চলাকালীন সময়েও সেসব ওষুধ খেয়ে যেতে হবে।
যতক্ষণ না শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে, ততক্ষণ চিকিৎসা বাড়ি থেকে করাই ভাল বলে অভিমত চিকিৎসক সাত্যকি হালদারের।
তবে তিনি বলেন, “নিজের ইচ্ছা মতো চিকিৎসা করা যাবে না। সংক্রমিত হয়েছেন টের পেলেই কোনও ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যেতে হবে নিয়মিত। অক্সিজেনের মাত্রা কতটা থাকছে, তার খেয়াল রাখতে হবে নিয়ম করে।”
সংক্রমণের মাত্রা অল্প থেকে মাঝারি হলে সবচেয়ে জরুরি হল বিশ্রাম নেওয়া, এমনটিই মনে করেন সাত্যকিবাবু। তার পরামর্শ, বাড়িতে একজন সংক্রমিত হলেই সকলকে সাবধান হতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সেবা যেমন করতে হবে দূরত্ব বজায় রেখে, তেমন আর কারও যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য পরিবারের একজন করোনা আক্রান্ত হলেই বাকিদেরও আইসোলেশনে থাকতে হবে।
তবে ভারতীয় এই চিকিৎসকদের মতে, হঠাৎ শরীর বেশি খারাপ হলে কোথায় যেতে হবে, সে বিষয়ে আগে থেকে জেনে রাখা দরকার। হাতের কাছেই রাখতে হবে কাছের কোনও হাসপাতালের নম্বর বা যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম। সূত্র: আনন্দবাজার