a
ফাইল ছবি
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাতে একটি সামরিক বিমানে তিনি মালদ্বীপ গেছেন বলে জানিয়েছেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। তার পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া দেশ ছাড়লেন। দেশ ছাড়ার আগে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে গেছেন। আজ পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে ঘোষণা দিতে পারেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের ডেপুটি এডিটর জামিলা হুসাইনের বরাতে জানায়, মালদ্বীপে অবতরণের পর কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে গোতাবায়াকে। প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তাকে ঘিরে রেখেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মালদ্বীপে অবতরণের পর গোতাবায়াকে অজানা একটি স্থানে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া তার স্ত্রী ও এক দেহরক্ষীসহ চার যাত্রী নিয়ে সামরিক বিমান অ্যান্তোনভ–৩২ যোগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন। সূত্র: ইত্তেফাক
প্রতিকী ছবি
ইসরায়েল ভুল করে নিজেদের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে নিজেদের ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে। গাজা উপত্যকায় হামলা চালানোর সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এ ভুল করে। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
তবে ইসরায়েলের সামরিক ড্রোনটিকে কবে ভূপাতিত করা হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। তথ্যসূত্রে জানা যায়, সবশেষ ‘গার্ডিয়ান অব দ্যা ওয়ালস’ নামে গাজার ওপর যে সামরিক হামলা চালানো হয় তখন ইসরায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুল করে নিজেদের একটি সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র হতে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবা টানা ১১ দিনের যুদ্ধ শেষে মিসরের মধ্যস্ততায় এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সংঘাতের আপাতত অবসান হয়। সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর, আনাদেলু এজেন্সি
ফাইল ছবি
প্রয়াত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করার সময় তিনি মওদুদের দলবদল নিয়ে কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (মওদুদ) মুখে যাই বলুক তার লেখাগুলোর মধ্যে অনেক অনেক কন্ট্রভার্সি নিজের আপন মনের মাধুরী মিশিয়েও লিখেছেন। আর উনি দলবদল করতে পছন্দ করতেন। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার কথা, সেই সুযোগে ১৯৬৯ সালে মিশে গেলেন। পরবর্তী ১৯৭৫ সালে বিএনপিতে যোগ দিলেন। এর পর যখন এরশাদ এলেন তিনি (মওদুদ) একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন এরশাদ সাহেব তার সাজা মওকুফ করে দিয়ে তার মন্ত্রিপরিষদে আইনমন্ত্রী করলেন। এর পর আবার তিনি বিএনপিতে যোগদান দেন। রাজনীতিতে বারবার দলবদল করা তার একটা অভ্যাস ছিল, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি যখন মারা গেলেন, আমি নিজে ফোন করেছিলাম হাসনাকে। কারণ হাসনার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল সবসময়। সিঙ্গাপুরেও ওর সঙ্গে কথা বলি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। শোক প্রস্তাবের পর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মওদুদের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এসব কথা বলেন।