a
ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের হাইওয়্যাংসিং পৌঁছেছে চীনের পাঠানো পিপলস লিবারেশন আর্মির গোয়েন্দা দ্বিতীয় গুপ্তচর জাহাজ। মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অনুশীলনগুলি ঐতিহাসিকভাবে চীনের আগ্রহকে আকর্ষণ করে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো সামরিক মহড়ার জন্য বেইজিংয় দুটি গোয়েন্দা জাহাজ মোতায়েন করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিটার ডটন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া অভিভাবক সাবের (তাবিসমান সাবের) শুরু হতে চলেছে। এর আগে একটি বৃহত্তর নজরদারি প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে জাহাজটি পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ডটন আরও বলেন, জাহাজটি তার আগের প্রজন্মের জাহাজের মতো ট্রানজিট চলাকালীন আইন লঙ্ঘন না করে কাজ চালিয়ে যাবে। স্কাই নিউজকে তিনি বলেছিলেন, 'ওই জাহাজটির প্রতিরক্ষা এই মহড়ার জাহাজগুলির উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে।'
ছবি: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
এবার পশ্চিমাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে রাশিয়াও পশ্চিমাদের আক্রমণ করার জন্যে বা তাদের দৌড়ের উপর রাখতে পশ্চিমাবিরোধী বিভিন্ন দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করবে বলে জানান।
ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন পুতিন। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।
পশ্চিমাদের এমন কর্মকাণ্ড ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন পুতিন।
বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পুতিন বলেছেন, ‘যদি কেউ ভাবে এভাবে রণাঙ্গণে অস্ত্র সরবরাহ করে আমাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করা সম্ভব, তবে কেন আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একই ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করার অধিকার রাখবো না, যা দিয়ে পশ্চিমাদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনায় হামলা করা যাবে।’
তবে মস্কো কোন কোন দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি পুতিন। সূত্র: বিবিসি
ছবি সংগৃহীত
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫৪তম বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশ। একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ অবস্থায় ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ, মহান মুক্তিযুদ্ধ।
পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশের) জনগণের স্বাধিকারের দাবি কখনো মেনে নিতে পারেনি। ব্রিটিশ শাসনের অবসানে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিতর দিয়ে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয় পাকিস্তান রাষ্ট্র। শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর শোষণ ও দমনপীড়ন চালাতে থাকে। তাদের নীলনকশার প্রথম আঘাত আসে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলার ওপর। ১৯৫২ সালে বুকের রক্ত দিয়ে জাতির বীরসন্তানরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁদের এ আত্মদানের ভিতর দিয়ে জাতি উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে স্বাধিকারের চেতনায়। ক্রমে ক্রমে তা রূপ নেয় স্বাধীনতাসংগ্রামে।
মুক্তিকামী বাঙালিকে চিরতরে দমনের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনী। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে ছলচাতুরী করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। এর প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের মার্চে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশের মানুষ। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। লাখো শহীদের আত্মদানের পথ ধরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করি কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।
আজ জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি কাঙ্খিত স্বাধীনতা। এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপন করা হচ্ছে মহান স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী। গত বছর জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বীরত্বে জাতি স্বৈরাচারের অত্যাচার-নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। জাতি একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্পে উদ্যাপন করছে স্বাধীনতা দিবস।
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের লগ্নে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি জাতির পক্ষে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রদ্ধা জানাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, বিদেশি কূটনীতি রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর পরই জাতির গৌরব আর অহংকারের এ দিনটিতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো মানুষের। তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।