a
ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের হাইওয়্যাংসিং পৌঁছেছে চীনের পাঠানো পিপলস লিবারেশন আর্মির গোয়েন্দা দ্বিতীয় গুপ্তচর জাহাজ। মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অনুশীলনগুলি ঐতিহাসিকভাবে চীনের আগ্রহকে আকর্ষণ করে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো সামরিক মহড়ার জন্য বেইজিংয় দুটি গোয়েন্দা জাহাজ মোতায়েন করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিটার ডটন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া অভিভাবক সাবের (তাবিসমান সাবের) শুরু হতে চলেছে। এর আগে একটি বৃহত্তর নজরদারি প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে জাহাজটি পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ডটন আরও বলেন, জাহাজটি তার আগের প্রজন্মের জাহাজের মতো ট্রানজিট চলাকালীন আইন লঙ্ঘন না করে কাজ চালিয়ে যাবে। স্কাই নিউজকে তিনি বলেছিলেন, 'ওই জাহাজটির প্রতিরক্ষা এই মহড়ার জাহাজগুলির উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে।'
ফাইল ছবি
সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ‘ওভারসাইট বোর্ড'। ফেসবুকের এমন বিরূপ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফেসবুক, টুইটার ও গুগলের এরূপ আচরণ, দেশের ও জাতির জন্য অসম্মানজনক ও বিব্রতকর। তিনি এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আখ্যা দেন।'
এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই ওভারসাইট বোর্ড জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ফেসবুকের অন্যান্য সাধারণ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বাইরে কি না, তা বিবেচনার বিষয়। এই স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে মূল্য চুকাতে হবে। এবং আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আর ধ্বংস করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
এছাড়া সাধারণ ব্যবহারকারীসহ সকলের জন্য এই নিয়ম ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার জন্যেও কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ওভারসাইট বোর্ড। গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটালে হামলার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ওভারসাইট বোর্ড বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তটি মানসম্পন্ন ছিল না। অন্য ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম অনুসরণ করা হয়, তাঁর ক্ষেত্রেও সে নিয়ম অনুসরণ করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। এব্যাপারে পরবর্তী ছয় মাসের ভিতর ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে ওভারসাইট বোর্ড।
এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন। বলা হচ্ছে, এখন এই ওয়েবসাইট থেকেই সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্য পেশ করবেন।
সংগৃহীত ছবি
সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের জনসংযোগে গিয়ে এক ব্যক্তির হাতে থাপ্পড় খাওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশটিতে। এ বিষয়ে এতোদিন মুখ না খুললেও এবার মুখ খুলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এ বিষয়ে ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, “গণতন্ত্রে ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ আছে, তবে নির্বুদ্ধিতার সাথে সহিংসতা যুক্ত হলে তাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। আমি বরাবরই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। অনেক সময়ই তারা ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেন।”
ম্যাকরন জানান, তার চলমান জনসংযোগ কর্মসূচিতে এ ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সব দলের আইনপ্রণেতারা ওই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স এ বিষয়ে বলেন, দেশের প্রধানের ওপর হামলার অর্থ হল গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। গণতন্ত্রের অর্থ হল বিক্ষোভ, বিতর্ক, আর আলোচনার মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান। মতভেদ থাকতে পারে। সেটা জানানোর বৈধ উপায়ও আছে। কোনোভাবেই মৌখিকভাবে হেনস্তা বা শারীরিক আঘাত গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে দেশটির একটি বামপন্থী দলের আইনপ্রণেতা আদ্রিয়েন কোয়াটেনেন্স এ বিষয়ে বলেন, যে হামলার শিকার হয়েছেন ম্যাকরন তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। গণতন্ত্রে যে কোনো সমস্যা আলোচনা আর ব্যালটের মাধ্যমে সমাধান করতে হয়। সহিংসতার মাধ্যমে নয়।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের ড্রোম প্রদেশের ছোট শহরটির রেঁস্তোরা ও স্কুল পরিদর্শনের পর প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন অপেক্ষমান সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময়ে এগিয়ে গেলে হঠাৎই তাকে চড় মেরে বসেন এক ব্যক্তি। তার দেহরক্ষীরা ঘটনাটি দ্রুত সামলে নিলেও মুহূর্তের মধ্যেই ওই দৃশ্যটি ভাইরাল হয়ে যায়।