a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। যুক্তরাষ্ট্র সদ্যঘোষিত তালেবান সরকারের সদস্যদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে তালেবান সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তালেবানকে স্বীকৃতি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যখন পর্যবেক্ষণ নীতি অবলম্বন করছে, চীন তখন তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, তালেবানের নতুন সরকার গঠনকে চীন খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানের তিন সপ্তাহের বেশি সময়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির অবসান হলো। এখন তালেবানের জন্য শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দেশ গঠন করা জরুরি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র তালেবানের নতুন সরকার নিয়ে বলেন, সরকারে তালেবান ও তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা থাকলেও কোনো নারী নেই। তালেবান সরকারের কয়েক সদস্যের নানা সংশ্লিষ্টতা ও অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র আরও বলেন, নতুন সরকারকে তালেবান তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মাথায় আছে। যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে তাদের কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবে।
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্বে নতুন সরকারের স্থায়ীত্ব নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে মন্তব্য করেছিলেন, তার জবাবে মুখ খুললো তালেবান। তালেবান নেতা শাহাবুদ্দিন দিলওয়ার বলেছেন, আফগানিস্তানের সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তালেবানের সক্ষমতা সম্পর্কে ভারত শিগগিরই জানতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার রেডিও পাকিস্তানকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে শাহাবুদ্দিন দিলওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভারত যেন আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, শ্রদ্ধাবোধের ওপর ভিত্তি করে তালেবান সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়।’
এসময় তিনি আফগানিস্তানের ৩০ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় জন্য পাকিস্তানকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ১ সপ্তাহ আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, সন্ত্রাসের ওপর ভিত্তি করে একটি সাম্রাজ্য হয়তো কিছু সময়ের জন্য আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। তবে তার অস্তিত্ব কখনো স্থায়ী হতে পারে না। গত ২০ আগস্ট নরেন্দ্র মোদি এক টুইটার পোস্টে এসব কথা বলেছিলেন। সূত্র: পার্সটুডে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠানের কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইবনে সিনা মডেল স্কুলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
করোনা বিবেচনায় শিক্ষার্থী শূণ্য স্কুলে শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করে স্ট্যান্ডার্ড ফোর-এর ছাত্র এ.এন.এম শাফকাত আলম ইশমাম। স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন সম্মানিত ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব ফেরদৌসী বেগম।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন সিনিয়র শিক্ষক মিসেস মিলিয়া জাহান। কবিতা আবৃত্তি করেন মিসেস রাজিয়া সুলতানা এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন মিসেস সেলিনা ও মিসেস রাজিয়া সুলতানা।
এরপর শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মিসেস হাসনা বেগম এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মিসেস আফরোজা সুলতানা রুমি।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে রচিত বই থেকে পাঠ করেন শোনান সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপাল মিসেস রওশন আকতার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিসেস তাজরীনা আক্তার জলি।
সমাপনী বক্তব্য পেশ করেন ইবনে সিনা মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল জনাব এ. কে. এম আনিসুজ্জামান রাসেল।