a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। যুক্তরাষ্ট্র সদ্যঘোষিত তালেবান সরকারের সদস্যদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে তালেবান সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তালেবানকে স্বীকৃতি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যখন পর্যবেক্ষণ নীতি অবলম্বন করছে, চীন তখন তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, তালেবানের নতুন সরকার গঠনকে চীন খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানের তিন সপ্তাহের বেশি সময়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির অবসান হলো। এখন তালেবানের জন্য শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দেশ গঠন করা জরুরি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র তালেবানের নতুন সরকার নিয়ে বলেন, সরকারে তালেবান ও তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা থাকলেও কোনো নারী নেই। তালেবান সরকারের কয়েক সদস্যের নানা সংশ্লিষ্টতা ও অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র আরও বলেন, নতুন সরকারকে তালেবান তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মাথায় আছে। যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে তাদের কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবে।
ফাইল ছবি
তাইওয়ান প্রণালির আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে যাত্রা করেছে দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার (২৮ আগস্ট) এমন ঘটনা ঘটলো। এ নিয়ে চরম আপত্তি জানিয়ে আসছে চীন। পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ গুলোকে পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে চীন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর প্রথমবার যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কথা জানিয়েছে মার্কিন নৌ বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ‘ইউএসএস অ্যান্টিটাম’ এবং 'ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল' রুটিন অনুযায়ী তাইওয়ান প্রণালির আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রণালি দিয়ে জাহাজের ট্রানজিট মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে মাত্র। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা পরিচালনা করা হয়েছে।
চীনের হুঁশিয়ারি উপক্ষে করে চলতি মাসে তাইওয়ান সফর করেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর জেরে তাইওয়ানকে ঘিরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন করে চীনা সামরিক বাহিনী। এতে অঞ্চলটিতে যুদ্ধাব্স্থা তৈরি হয়। এদিকে তাইওয়ানের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সম্প্রতি নিয়মিত তাইওয়ান প্রণালিতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং কানাডার মতো দেশগুলোর যুদ্ধজাহাজ। যদিও এসব এলাকা নিজেদের দাবি করে আসছে বেইজিং। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশনের প্রথম উদ্যোগ নীতিনির্ধারণী আলোচনায় আজ অনেক গবেষণা লব্ধ পদক্ষেপের কথা বলা হয়। আজ এপ্রিল ১৫, ২০২৫ইং তারিখে বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) উদ্যোগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত হলো একটি নীতিনির্ধারণী সংবাদ সম্মেলন। সম্মেলনে পরিবেশেবান্ধব নয় এমন কীটনাশকের ব্যবহার কমানো, তামাককের ক্ষতিহ্রাস এবং সড়ক নিরাপত্তা- এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এটি ছিল এ বছরের শুরুতে গঠিত হওয়া বাংলাদেশ হার্ম বিভাকশন ফাউন্ডেশনের প্রথম উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য, কৃষি ও সড়ক পরিবহণ খাতের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের সংশ্লিষ্ট খাতের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ফাউন্ডেশনটির মূল লক্ষ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সঙ্গতি রেখে ক্ষতি কমানোর জন্য প্রমাণভিত্তিক কৌশল প্রণয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আলোচনা শুরু করেন বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. মো. শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, "হার্ম রিডাকশন কোনো বিলাসিতা নয়- এটি বাংলাদেশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমাদের লক্ষ্য হলো সমাজ, নীতি নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে কার্যকর সমাধান তৈরি করা, যা আমাদের দেশের জন্য উপযোগী হবে।”
কৃষিখাতে নিরাপদ কীটনাশক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাংলাদেশ গ্রুপ প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এবং টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও নিরাপদ কীটনাশক ব্যবহারের অন্যতম প্রবক্তা দেবাশীষ চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, “অসুরক্ষিতভাবে কীটনাশক ব্যবহার এখনো কৃষক ও পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে আছে। আমাদের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে হলে প্রশিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি।"
রোড সেফটি অ্যাডভোকেট ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে জানান, সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে এখনও একটি বড় জনস্বাস্থ্য সংকট হিসেবে রয়ে গেছে। তার ভাষ্যমতে, “আমাদের শুধু যানবাহনের কথা ভাবলেই চলবে না- নিরাপদ সড়ক, দক্ষ চালক এবং কার্যকর ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের বিষয়েও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল।
আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও হার্ম রিডাকশন বিষয়ক দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসক ডা. ডেলন হিউম্যান তামাকের ক্ষতিহ্রাস প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি তামাকজনিত রোগ কমাতে বিকল্প পন্থার ওপর আলোকপাত করেন, যা শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞার ওপর নির্ভর না করেও কার্যকর হতে পারে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রথাগত পদ্ধতির সঙ্গে নিকোটিনের নিরাপদ বিকল্পও বিবেচনায় নিতে হবে। সঠিকভাবে এই পদ্ধতিগুলো যদি জনস্বাস্থ্য নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে অনেক ক্ষতি কমানো সম্ভব।”
সংবাদ সম্মেলনটি শেষ হয় একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে, যেখানে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সরাসরি বক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পান। সরকারী সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন (এনজিও) এবং স্বাস্থ্য খাতের প্রতিনিধিরা জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা উন্নয়নে বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) এই সময়োপযোগী পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।
সবশেষে বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশন সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) হচ্ছে একটি অলাভজনক সংগঠন। এর লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক ও পরিবেশগত ঝুঁকির ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনা। দেশজুড়ে এসব ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি ও কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয়া এবং ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বাস্তবসম্মত কৌশল বাস্তবায়নের তাগিদ দেয় বিএইচআরএফ। অ্যাডভোকেসি, গবেষণা ও প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক ও পরিবেশগত ঝুঁকির মতো চালেঞ্জগুলো তুলে ধরে ফাউন্ডেশনটি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পার্টনারদের সাথে নিয়ে বিএইচআরএফ'র উদ্দেশ্য হচ্ছে আরো নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও গঠনমূলক সমাজ গড়ে তোলা।