a
ফাইল ছবি
জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার দুর্গম মাচেদি এলাকায় ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কনভয়ে হামলায় পাঁচ জোয়ান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
সোমবার (৮ জুলাই) এই হামলা করা হয়েছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে। এ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় জম্মু-কাশ্মীরে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঠুয়া থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে মাচেদি-কিন্ডলি-মালহার সড়কে নিয়মিত সেনাবাহিনীর টহল ছিল। সেইসময় সন্ত্রাসীরা জোয়ানদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে পাঁচজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত সেনা সদস্যদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক হামলার পর সন্ত্রাসীরা সেনাদের কনভয়ে বোমা ছোড়ে এবং গুলি চালায়। সেনারা পাল্টা হামলা শুরু করলে সন্ত্রাসীরা পাশের বনে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনী সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, শুধু ফাঁকা আওয়াজ বা বুলি নয়, চলমান সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার রাজৌরি জেলায় সেনা ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। এতে এক সেনা সদস্য আহত হন। সূত্র: যুগান্তর
ফটো: জেনারেল অনিক গাসপ্রায়ান ও প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান
আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিক গাসপ্রায়ানকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনার কারণে জেনারেল গ্রাসপ্রায়ানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার পাশিনিয়ানের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল অনিক গাপ্রায়ানকে বিধিসম্মতভাবে ১০ মার্চ হতে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গতমাসে জেনারেল গাসপ্রায়ানের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে লেখা এক ডিক্রিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসিয়ান। সূত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফাইল ছবি
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকে থাকতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এর মধ্যে জার্মানি অন্যতম।
এবার প্রকাশ্যে এল দেশটির ভেতরের খবর। ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে এখন নিজেই সংকটে পড়েছে জার্মানি।
জানা গেছে, এখন জার্মানির কাছে আর মাত্র প্রায় ২০ হাজার অতি শক্তিশালী বিস্ফোরক আর্টিলারি শেল অবশিষ্ট আছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোপন নথির বরাত দিয়ে এই তথ্য সামনে এনেছে জার্মান সাময়িকী ডের স্পিগেল।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অতি শক্তিশালী বিস্ফোরক আর্টিলারি শেল জরুরি ভিত্তিতে ক্রয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বাজেট কমিটিকে বোঝানোর জন্য ওই নথি প্রস্তুত করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। আর এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জার্মানির মতো অন্যান্য মার্কিন মিত্ররা হাউইৎজারের ব্যবহারের জন্য ১৫৫ এম আর্টিলারি রাউন্ড ইউক্রেনকে ব্যাপকভাবে সরবরাহ করে চলেছে। আর এতেই এসব দেশের নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য গোলাবারুদের মজুদ নিচে নামছে।
ডের স্পিগেল লিখেছে, জার্মানির সামরিক বাহিনীকে ২০৩১ সালের মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার আর্টিলারি শেলের মজুদ প্রস্তুত রাখতে হবে। মূলত সামরিক জোট ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা মেনেই এটা করতে হবে যাতে ব্যাপক যুদ্ধ বাঁধলেও ৩০ দিন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট আর্টিলারি হাতে থাকে। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
আগামী মাসগুলোতে কামান এবং ট্যাংক গোলাবারুদের জরুরি ক্রয়ের জন্য নয়টি চুক্তি বাজেট কমিটির সামনে উপস্থাপন করবে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, লিখেছে ডের স্পিগেল। সূত্র: রয়টার্স