a
ফাইল ছবি
রাশিয়া জার্মানিতে গ্যাস সরবারার বন্ধ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জার্মানি। সরকারের একজন প্রতিনিধি জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাশিয়া জার্মানিতে নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনের গ্যাস সরবাহ বন্ধ করে দিতে পারে।
জার্মানির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সির প্রধান ক্লাউস ম্যুলার দেশটির ফুংকে মিডিয়া গ্রুপের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এমন হতে পারে যে, রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে গ্যাসের সরবাহ বন্ধ করে দিতে পারে। তার সন্দেহ, গ্যাস লাইনটিকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যে ১১ দিন সময় প্রয়োজন তা দীর্ঘায়িত করতে পারে রাশিয়া। আর তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া যদি গ্যাস সরবারাহ কমিয়ে দেয় তাহলে আমাদেরকে বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে এবং গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।'' উল্লেখ্য, ইউক্রেনে হামলান পর ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বেশ কযেকটি দেশে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জবাবেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।
ম্যুলার ইতোমধ্যেই গ্যাস ব্যবহারের বিষয়ে জার্মানির বাসিন্দাদের মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাসা-বাড়ির বাসিন্দাদের সম্ভাব্য এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে শীতকাল শুরুর ১২ সপ্তাহ আগে থেকেই অর্থাৎ এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
তার মতে, গ্যাস বয়লার এবং হিটারগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী কি না তা জরুরিভিত্তিতে যাচাই করা প্রয়োজন। এর ফলে গ্যাসের ব্যবহার ১০ থেকে ১৫ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করে দিলে শুধু জার্মানিতে গ্যাসের উপরই চাপ পড়বে। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি তেলের সংকট হবে না।
তাছাড়া এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে জার্মানিতে কোনো গ্যাস থাকবে না বিষয়টি এমন নয়। এ সময় তিনি নেদারল্যান্ডস এবং নরওয়েকে জার্মানির গ্যাসের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে মন্তব্য করেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে/বিডি প্রতিদিন।
সংগৃহীত ছবি
সিরিয়ার গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের কথিত ‘সার্বভৌম অধিকার’ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তীব্র ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে দামেস্ক। সিরিয়া বলেছে, ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও সিরিয়ারই থাকবে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “অধিকৃত গোলান মালভূমি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে আরব প্রজাতন্ত্র সিরিয়া। ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের প্রতি আমেরিকার নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের ধারাবাহিকতায় ব্লিঙ্কেন ওই বক্তব্য দিয়েছেন যা নিন্দনীয়।”
ব্লিঙ্কেন সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক শুনানিতে ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন করা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের ‘সার্বভৌম অধিকার’কে স্বীকৃতি দেয় কিনা।
উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বৈধতার প্রশ্ন বাদ দিলে গোলান মালভূমির ওপর বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত সিরিয়া সীমান্তের ওপার থেকে ইসরায়েলের জন্য হুমকি বন্ধ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি এখন যেমন আছে তেমনই থাকবে। আপাতত হুমকি বন্ধ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।”
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে সিরিয়ার কাছ থেকে দখলিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের ‘সার্বভৌমত্বকে’ স্বীকৃতি দিলেও জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সমাজ ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেয়নি বা কেউ স্বীকৃতি দেয়নি।
ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের জবাবে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে আছে।
ফাইল ছবি
ইসরাইলি বাহিনী এখন তিন ফ্রন্টে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আর গাজার পাশাপাশি এখন ফিলিস্তিন অধ্যুষিত পশ্চিম তীরেও হতাহত হচ্ছে। গাজার মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০ বেশি। পশ্চিম তীরে মারা গেছে ১১ জন। লেবাননে এক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। অপরদিকে ইসরাইলে মারা গেছে অন্তত সাতজন।
যুদ্ধ বন্ধের এখন পর্যন্ত কোনো ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। আর ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা এখন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি সৈন্যদের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে। এসব যুদ্ধে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলি যুদ্ধ বিমানগুলো আজ শনিবার ভোরেও গাজার বিভিন্ন আবাসিক স্থানগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আর হামাস ও অন্যান্য সংগঠন রকেট নিক্ষেপ করে যাচ্ছে।
গাজায় অন্তত ১৩২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ শিশু ও ২১ নারী রয়েছে। আহত হয়েছে ৯৫০ জন। এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোঘণা দিয়েছেন। সূত্র : ডেইলি মেইল