a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি তুরস্ককে দ্বিমুখী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। খবর আল জাজিরা।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তুরস্ক একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনে দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে মধ্যস্থ্যতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। আবার অন্যদিকে তারা তাদের দেশে রাশিয়ার পর্যটকদের দুই হাত উজাড় করে স্বাগত জানাচ্ছে।
গ্রিসের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ইআরটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ ব্যাপারে বলেন, একদিক দিয়ে তুরস্ক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে এবং ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সহায়তা করছে।
কিন্তু অনদিক দিয়ে আমরা দেখছি, বিশেষ করে রাশিয়ান পর্যটকদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আর এমন কথা বলেই তুরস্ককে সরাসরি দ্বিমুখী বলে অভিহিত করে জেলেনস্কি বলেন, এগুলি দ্বিমুখী কাজ, যা ঠিক নয়। সূত্র: আল জাজিরা
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ তালেবানের দখল করে নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়, জার্মানি আবার আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠাবে কিনা। দীর্ঘদিন জার্মান বাহিনীর অবস্থান থাকা উত্তর আফগানিস্তানের সাথে কাবুলের গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগপথটি রোববার তালেবানরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
গত জুন মাসে আফগানিস্তান থেকে শেষ জার্মান সৈন্যকে ফেরত আনা হয়েছে। কুন্দুজের পতনের পর জার্মানির আবার আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠানোর জল্পনা-কল্পনাকে একাধিক টুইটের মাধ্যমে নাকচ করে দেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাওয়ার।
সোমবারের টুইট বার্তায় তিনি স্পষ্টভাবে জানান, আপাতত জার্মান সৈন্য ফেরত পাঠানোর প্রশ্ন নেই। তবে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন তিনি।
সোমবার পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলীয় পাঁচটি ও দক্ষিণের একটিসহ মোট ছয়টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এরমধ্যে রোববার একদিনে কুন্দুজসহ তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নেয় তারা।
উত্তর আফগানিস্তান থেকে কাবুল ঢোকার গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট কুন্দুজ। এখানেই দীর্ঘ ১০ বছর জার্মান বাহিনীর ঘাঁটি ছিল। গত দশ বছরে জার্মান সৈন্য এই অঞ্চল সম্পূর্ণ নিজেদের আধিপত্যে রেখেছিল। কুন্দুজ দখল করা মানে কাবুলের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে তালেবান।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কুন্দুজ সহ গোটা আফগানিস্তান থেকে যে রিপোর্ট আসছে, তা দুঃখজনক। বহু জার্মান সৈন্য রক্ত দিয়ে কুন্দুজকে রক্ষা করেছিল। আমরা ওখানে অনেক লড়াই করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এতদিনের পরিশ্রম নষ্ট হয়েছে। এই ঘটনা থেকে ভবিষ্যতে বিদেশে কোনো মিশনে গেলে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
জার্মানি আফগানিস্তানে আবার সৈন্য পাঠাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে টুইট বার্তায় মন্ত্রী বলেন, জার্মান পার্লামেন্ট কি পুরো এক প্রজন্মের জন্য আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠাতে পারবে? যদি না পারে, তাহলে সৈন্য ফেরত ফেরত আনার পরিকল্পনাই ঠিক ছিল।
তিনি আরো বলেন, তালেবানকে ধ্বংস করার জন্য আরো লম্বা সময়ের প্রয়োজন ছিল। বাস্তবে যে সময় পাওয়া যায়নি।
বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে বলেন, ট্রাম্প যদি তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা না করতেন, তাহলে পরিস্থিতি আজ এমন হতো না।
আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সৈন্য সরিয়ে নেবে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের ধারণা, ওই সময় পর্যন্ত তালেবান কাবুলের দিকে যাবে না। কিন্তু যেভাবে তালেবানরা এগোচ্ছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যেই তারা কাবুল দখল করবে বলে মনে করছেন অনেকে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এবং গণফোরাম এর মূখপাত্র সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- আমরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনকালে বর্তমানের অনির্বাচিত সরকার যেভাবে মোদির আগমন বিরোধী প্রতিবাদকে সরকারের মদদপুষ্ট তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও রাষ্ট্রিয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন ও নির্যাতন চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যা করছে তা সন্ত্রাসের সামিল। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটাহাজারী ও বি-বাড়িয়ায় ৯ জন নিহত হয়েছে।
যেভাবে মসজিদে ও মাদ্রাসায় ঢুকে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তারও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শত শত শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। গত কয়েক দিনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। গত দু’দিনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করছি।
সরকারী আমলা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অনেক বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সুস্থ্য বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন ভাল লোক আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ও দাবী জানাচ্ছি যে, আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সংবিধানের সঠিক দিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন যাতে আইনানুগ পদক্ষেপ ভুলুন্ঠিত না হয় এবং যাতে জাতীর মর্যাদা, মানবিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত হয়।