a
ফাইল ছবি: সের্গেই লাভরভ
তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য সফর নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দীর্ঘ এক টেলিফোনে আলোচনা হয়। চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এ নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি বলেছেন, রাশিয়া আশা করে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যেটি তাইওয়ানের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে দেবে।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক চীন নীতিতে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। যুক্তরাষ্ট্রও মুখে ঠিক একই কথা বলে। কিন্তু আপনারা জানেন তাদের মুখের কথার সঙ্গে কাজের মিল খুঁজে পাওয়া যায়না। চীনের সার্বভৌমতা রক্ষার নীতিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি কোনো বিরক্তকর, কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না যেটি এ অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে দেবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম এনবিসি টিভি জানিয়েছে, হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি শুক্রবার তার এশিয়া সফর শুরু করবেন। কিন্তু এ সফরে তার তাইওয়ানে যাওয়ার নিয়ে কোন ঘোষণা এখন পর্যন্ত আসেনি। উ্ল্লেখ্য, ন্যান্সি পেলোসি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ক্ষমতাশীল ব্যক্তি। সূত্র: টাস নিউজ (রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা)
ফাইল ছবি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আগামী মাসে ইউক্রেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। পোলিওর সংক্রমণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সংক্রমণের কারণে রোগীদের সামলাতে হাসপাতালগুলোত কঠিন পরিস্থিতি পড়তে পারে। খবর রয়টার্সের।
ডব্লিউএইচও এর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে দেখছি। আমাদের আশঙ্কা সংক্রমণ আগামী মাসের শুরুতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে রোগীদের সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হতে পারে।’
ইসরায়েলের তেলআবিব শহরে ডব্লিউএইচওর ইউরোপবিষয়ক আঞ্চলিক কমিটির সম্মেলনে যোগ দিয়ে তেদরোস এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে। কারণ, ইউক্রেনের যেসব এলাকা থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় সেসব এলাকা বর্তমানে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা, নবজাতক, যুদ্ধে হতাহত মানুষেরও অক্সিজেন দরকার হতে পারে।
তেদরোস বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে পোলিওর সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং দেশটির স্বাস্থ্য খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলছে, ইউক্রেনের স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে ৫০০–এরও বেশি হামলা হয়েছে। এসব হামলার কারণে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় পোলিও দ্রুত ছড়াতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
করোনাভাইরাস ও পোলিওর সংক্রমণরোধে ইউক্রেনে টিকাদানের হার খুবই কম। ফলে ২০২১ সালে পোলিওর সংক্রমণে দেশটিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বছর ইসরায়েল, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে পোলিওর সংক্রমণ দেখা গেছে। পোলিওর সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
আটক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে সহমর্মিতা জানিয়েছেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল শামসুজ্জামানের বাসায় যান।
তারা শামসুজ্জামানের মা করিমন নেসার সঙ্গে দেখা করে পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লবউজ্জামান বিপ্লব। উপস্থিত পেশাজীবী নেতাদের পেয়ে শামসুজ্জামানের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলের কী অপরাধ? তাকে কেন এভাবে ধরে নিয়ে গেল? শামসকে বললে সে নিজেই থানায় চলে যেত। ৩৫ ঘণ্টা তো আমরা তার খোঁজই পাইনি! তাহলে কি সত্য লেখা যাবে না? ছেলেকে অনেকবার বলেছি, বাবা লেখালেখি ছেড়ে দাও। আমার শামস বলতো, মা আমি তো অসত্য লেখি না। সত্য লিখার জন্য যদি আঘাত আসে আসুক, তারপরও লিখে যাব।
বুক চাপড়াতে চাপড়াতে করিমন নেসা বলেন, আমি আমার এক সন্তানকে হারিয়েছি। আরেক সন্তানকে হারাতে চাই না। আপনারা আমার সন্তানকে এনে দিন।
শামসের মুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে গণমাধ্যম কর্মীদের শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই তারা এখন সত্য তুলে ধরতে পারছেন না। তাদের এখন সেলফসেন্সরশিপ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের সমালোচনা করলে রোষানলের শিকার হয়ে বন্ধ করা হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন। সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন, বিচার পান না।
তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা নেই শামসের গ্রেফতার এবং দৈনিক দিনকাল বন্ধের মাধ্যমে তা আবারো প্রমাণিত হলো। সূত্র: যুগান্তর