a তালেবানরা কাবুলে প্রবেশ করেছে
ঢাকা সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

তালেবানরা কাবুলে প্রবেশ করেছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৫ আগষ্ট, ২০২১, ০৪:০৯
তালেবানরা কাবুলে প্রবেশ করেছে

ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করছে তালেবানরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস গুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কূটনীতিকদের।

আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শহরের সকল দিক থেকে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করা শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। এছাড়া কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করা তালেবানের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করে আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধাদেরকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৫ আগস্ট) ভোরে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের রাজধানী শহর জালালাবাদ দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। আফগানিস্তানের পঞ্চম বৃহত্তম এই শহরটি রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ৮০ মাইল পূর্বে অবস্থিত।

এর আগে তালেবানের উপ-প্রধান মোল্লা আব্দুলগনি বারাদার ঘোষণা করেছেন, তারা এখনো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী, তবে তাদের মূল লক্ষ্য আফগানিস্তানের স্বাধীনতা অর্জন করা। 

বিবৃতিতে বারাদার বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চায় না। তালেবান মনে করে, আফগানিস্তানের সকল শ্রেণির মানুষ আইনের দৃষ্টিতে সমান।

এদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও মিত্র জোটের সেনা এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের ফিরিয়ে আনার জন্য দেশটিতে পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবেনা: পুতিন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২, ০১:০৭
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবেনা: পুতিন

ফাইল ছবি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে  ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধী গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে যারা ভাবছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবে— তারা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার মতে এই যুদ্ধ এক সময় থেমে যাবে ঠিকই, তবে আগের সেই বিশ্বব্যবস্থা আর ফিরে আসবেনা।

রাশিয়ার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বন্দর নগর সেন্ট পিটার্সবার্গে শুরু হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমা অভিজাতরা ভাবছে (যুদ্ধের আগ পর্যন্ত) তাদের শাসিত ও প্রভাবপুষ্ট বিশ্ব ব্যবস্থা ছিল, তা চিরস্থায়ী এবং যুদ্ধ শেষ হলে তা ফের ফিরে আসবে; কিন্তু তারা আসলে এখনও অতীতের স্মৃতিতে ঝুলে আছে।’

‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কেউ যদি ভেবে থাকেন যে অশান্ত এই সময়ের শেষে সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, তাহলে তিনি ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন; এমন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্ব যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—তা মৌলিক, গভীর ও অপরিবর্তনীয়।’

‘১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ও শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ঈশ্বরের বার্তাবাহক ভাবা শুরু করল; এমন এক বার্তাবাহক, যার কোনো বাধা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই— কেবল আছে স্বার্থ; আর সেসব স্বার্থ তারা উচ্চারণ করত ধর্মীয় শ্লোকের মতো।’

‘কিন্তু তাদের এই উত্থানের ভেতরেই সুপ্ত ছিল ভবিষ্যৎ পতনের সম্ভাবনা। কারণ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল একটি জাতির স্বার্থে পরিচালিত হতে পারে না। এমনকি, সেই দেশ যদি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়, তবুও নয়।’

‘গত কয়েক দশকে বিশ্ব জুড়েই শক্তির নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। এটা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে।’ সূত্র: আরটি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ফখরুলের আশাবাদ, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ভারত মর্যাদা দেবে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২৩, ০১:১৯
ফখরুলের আশাবাদ, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ভারত মর্যাদা দেবে

ফাইল ছবি

কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের 'কূটনৈতিক বার্তা' সত্যি হলে সেটি অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ভারতের মতো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছে এটা অপ্রত্যাশিত, যদি সংবাদ সত্য হয়ে থাকে। আমরা আশা করবো বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেবে ভারত।

স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারত সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলে। আমরা আশা করবো, এই দেশে সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে ভারত পূর্ণ সমর্থন দেবে।

এই কথা বিএনপি কখনও বলতো না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, যদি কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সত্য হয়ে থাকে, তবে ভারত বাংলাদেশের রাজনীতির আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশে কোনো মৌলবাদী দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই।বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে দেখা গেছে, কখনোই কোনো মৌলবাদী দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বরং তাদের যে শক্তি তা দিন দিন ক্ষীয়মান হয়ে এসেছে।

বিএনপি নেতা বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের আস্থার ওপর আস্থা রাখি। তাদের শক্তির ওপর আস্থা রাখি।

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে তারা মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছে এবং এখন বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে তারা একটা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশের জনগণ আজকে এক হয়েছে, সব দলগুলো এক হয়েছে, তারা তাদের অধিকার-ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছে। এই একদফা লড়াইয়ে জনগণ জয়ী হবে নিশ্চয়ই। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক