a
ফাইল ছবি
রাজধানী কাবুল দখলের পর আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে তালেবান। এরই মধ্যে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। খবর আল-জাজিরার।
এদিকে, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি তার মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে সেখানে পাড়ি জমান। এরপরই রবিবার রাতে প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নেয় তালেবান।
মোহাম্মদ নাইম নামে তালেবানের এক মুখপাত্র বলেন, “তালেবান বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে চায় না এবং শাসনের ধরন ও রাষ্ট্রীয় গঠন কাঠামো খুব শিগগিরই পরিষ্কার করা হবে। বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আমরা যা চাচ্ছিলাম তা পেয়েছি। এই স্বাধীনতা আমাদের দেশের, দেশের জনগণের। আমাদের এই ভূমিকে অন্যের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহৃত হতে দেব না এবং আমরাও কারও জন্য ক্ষতির কারণ হব না।”
ফাইল ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাকনির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের দুই সদস্য ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় তারা ঢাকায় পৌঁছান। প্রতিনিধিদলের আরও ৪ সদস্য আজ (রোববার) আসার কথা রয়েছে।
তবে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি ঢাকার ইইউ দূতাবাস। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের পর্যবেক্ষক দল ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইইউ থেকে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে কিনা, তারা সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখবেন।
ইইউ দূতাবাসের একটি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রতিনিধিদলের মূল কাজ হবে ইইউর পর্যবেক্ষকদের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, তাদের জন্য বাজেট, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, নিরাপত্তা ইত্যাদি মূল্যায়ন করা।
এ ছাড়া তারা সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা এবং সুশীলসমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর ব্রাসেলস ফিরে গিয়ে তারা এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, ইইউর প্রাকনির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের এ সফর আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যবেক্ষকরা ব্রাসেলসে যে প্রতিবেদন দেবেন, তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠানো বা না পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ইসরায়েলি একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়িপাতার ঘটনা ফাঁস হয়েছে। ‘পেগাসাস’ নামে একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে এই আড়ি পাতার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৮ জুলাই) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পেগাসাস’ নামক স্পাইওয়্যারটি ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি। আর এর মাধ্যমেই বিম্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, এমনকি কোনো দেশে ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যদের ওপরও আড়ি পাতা হয়েছে।
মূলত কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর সরকার আড়ি পাতার কাজে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। জানা গেছে, পেগাসাস হলো একটি ম্যালওয়্যার (বিশেষ ধরনের ভাইরাস)। এর মাধ্যমে আইফোন ও অ্যানড্রয়েড ফোনের সব মেসেজ, ছবি, ই–মেইল, কল রেকর্ড বের করা যায়। এই ম্যালওয়্যার ফোন ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই মাইক্রোফোন চালু করে দেয়।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বরের একটি তালিকা ফাঁস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে এনএসওর গ্রাহকেরা এসব নম্বরে আড়ি পেতেছে। প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রথম এই তালিকা হাতে পায়। পরে তা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়।
গার্ডিয়ান–এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তালিকায় যাদের নম্বর রয়েছে, তা ভবিষ্যতে প্রকাশ করা হবে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, একাডেমিক, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রীসভার সদস্য, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা রয়েছেন।