a
ফাইল ছবি
রাজধানী কাবুল দখলের পর আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে তালেবান। এরই মধ্যে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। খবর আল-জাজিরার।
এদিকে, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি তার মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে সেখানে পাড়ি জমান। এরপরই রবিবার রাতে প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নেয় তালেবান।
মোহাম্মদ নাইম নামে তালেবানের এক মুখপাত্র বলেন, “তালেবান বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে চায় না এবং শাসনের ধরন ও রাষ্ট্রীয় গঠন কাঠামো খুব শিগগিরই পরিষ্কার করা হবে। বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আমরা যা চাচ্ছিলাম তা পেয়েছি। এই স্বাধীনতা আমাদের দেশের, দেশের জনগণের। আমাদের এই ভূমিকে অন্যের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহৃত হতে দেব না এবং আমরাও কারও জন্য ক্ষতির কারণ হব না।”
ফাইল ছবি
হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে সতর্কতা হিসেবে ইসরায়েলে নিজেদের একটি উত্পাদন প্ল্যান্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নেসলে। খবর রয়টার্সের।
পূর্ব-সতর্কতা হিসেবে ইসরাইলে ঐ উত্পাদন প্ল্যান্ট ‘সাময়িকভাবে বন্ধ’ করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম কোনো জায়ান্ট কোম্পানি হিসেবে নেসলে তাদের উত্পাদন প্ল্যান্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে।
হামাসের আকস্মিক হামলার পর বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক কোম্পানি ইসরায়েলে তাদের কিছু কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে রেখেছে। আবার কিছু কিছু কোম্পানি তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে।
নেসলে বলেছে, ইসরাইলে তাদের উত্পাদন প্ল্যান্টটি কয়েক দিন বন্ধ থাকবে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে জায়ান্ট এই কোম্পানি।
নেসলে প্রধান নির্বাহী মার্ক স্নাইডার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নজর আমাদের সহকর্মী এবং কর্মচারীদের সুরক্ষিত রাখার দিকে। ব্যবসার উন্নয়ন নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। আমরা প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিয়েছি।’
অন্যান্য বহুজাতিক প্যাকেজড পণ্য সংস্থাগুলো এখনও পর্যন্ত দ্বন্দ্বের বিষয়ে নীরব রয়েছে, এমনকি খুচরা, স্বাস্থ্যসেবা এবং তেল সংস্থাগুলো তাদের অবস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
ইহুদিবাদী ইসরায়েল দিন দিন আগ্রাসী হয়ে যাচ্ছে। আজ ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে আবারো বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলার পর আজ রবিবার ইসলামিক সহযোগিতা পরিষদ (ওআইসি) এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ইসলামিক সহযোগিতা পরিষদের (ওআইসি) ৫৭ সদস্যের এক জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকের শুরুতে টেলিভিশনে রেকর্ডকৃত বক্তব্যে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানান। পাশাপাশি সামরিক হামলা বন্ধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসগ্লু ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের বাঁচাতে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সব প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। ওআইসির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করা আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব।
আজ রবিবার (১৬ মে) বিমান হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া মাত্র ১ ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়ে ঘুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এপি ও আল জাজিরার মিডিয়া ভবন।