a ‘তালেবান শাসনে আফগানিস্তান চলবে শরিয়া আইনে’
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

‘তালেবান শাসনে আফগানিস্তান চলবে শরিয়া আইনে’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১, ০১:৩৫
‘তালেবান শাসনে আফগানিস্তান চলবে শরিয়া আইনে’

ফাইল ছবি

ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেছেন, নতুন আফগানিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবেন না। তালেবান শাসনে মূলত শরিয়া আইনের ওপরেই গড়ে উঠবে শাসন ব্যবস্থা। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।

তবে সেই ব্যবস্থা গত তালেবান শাসনের মতো হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও মন্তব্য করেননি হাশিমি। অদূর ভবিষ্যতে তা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কাউন্সিল তৈরির বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত তিনি। 

তার বক্তব্য, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা সুপ্রিম লিডার হিসেবে সরকারের প্রধান হিসেবে থাকবেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন না। প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে আখুন্দজাদার ডেপুটিদের। এই মুহূর্তে আখুন্দজাদার তিনজন ডেপুটি আছেন।

মোল্লাহ ওমরের ছেলে মৌলভি ইয়াকুব, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি এবং দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান আবদুল গনি বারাদার। মঙ্গলবার বিশ বছর পর তিনি কান্দাহারে পা রেখেছেন।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তালেবান যে নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তার মডেল হবে অনেকটা ইরানের মতো। সুপ্রীম লিডারের কাছে সকলে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন। তার পরের থাকবেন প্রেসিডেন্ট এবং তারপর কাউন্সিল। 

সূত্র: ডয়চে ভেলে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

অস্ট্রেলিয়াতে গান্ধীর মূর্তিকে কাটার চেষ্টা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ০২:৪০
অস্ট্রেলিয়াতে গান্ধীর মূর্তিকে কাটার চেষ্টা

ফাইল ছবি

অল্প কিছুুদিন আগে মেলবোর্নে নেতা গান্ধীর মূর্তি স্থাপন করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। কিন্তু সেই মূর্তির গলা কাটার চেষ্টা করেছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা।

ভিক্টোরিয়ার পুলিশ জানায়, শুক্রবার উদ্বোধনের পর পরই কেউ বা কাহারা মূর্তিটির উপর হামলা চালায়। যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে মূর্তির গলাকাটার চেষ্টা করা হয়। শেষ পর্যন্ত তারা সফল হতে পারেনি। মূর্তির সামান্যই ক্ষতি হয়েছে। গলার কাছে স্পষ্ট কাটা চিহ্ন দেখা যায়। খবর ডয়েচে ভেলে।

ভিক্টোরিয়ার পুলিশ আরও জানান, গোয়েন্দারাও তদন্তে নেমেছেন। দ্রুত অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'অস্ট্রেলিয়া মিশ্র সংস্কৃতির দেশ। সব ধরনের মানুষ একত্রে বসবাস করেন। সকলের সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়া হয় এখানে। যারা একাজ করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।'

এই ঘটনায় বিচলিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রাও। ভিক্টোরিয়ায় ভারতীয় অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সূর্যপ্রকাশ সোনি জানিয়েছেন, 'ভারতীরা এই ঘটনায় অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছে। আশা করছি, প্রশাসন দ্রুত হামলাকারীদের ধরতে পারবে।'

অস্ট্রেলিয়া-ইন্ডিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রধান ভাসান শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, মূর্তিটির বেশ খানিকটা ক্ষতি হয়েছে। তবে তা সারিয়ে ফেলা হবে। এরমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২৪ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১২:২৪
আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি

ফাইল ছবি

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ এখনো কোনো পক্ষ জয় পাইনি। প্রতিদিন শোনা যায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও মৃত্যুর খবর।

বৃস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতপ্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের শান্তির গন্তব্য বহুদূরে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে যুদ্ধের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে পুতিন সেই নির্দেশের সমর্থনে কথাও জানান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুতিন যখন জাতীয় ভাষণে জ্বালাময়ী কথা বলছেন, ঠিক তখনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি খেরসনে রাশিয়ার হামলার শোকে বিলাপ করছেন। 

তবে আলজাজিরার বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মত দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন কারও পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই। আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়াকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য জয় আসা উচিত বলেও মনে করেন অনেকে। এ ছাড়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।

যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কার যেন শেষ নেই দাবি করে তিনি বলেন, দুই দেশের কোনো পক্ষেরই জয়ের সরাসরি কোনো পথ পরিষ্কার নয়। ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার লক্ষ্যে পরিবর্তন আসেনি বলে মনে করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পাভেল লুজিন।

জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসবিদ নিকোলায় মিত্রোখিন বলেন, মৌলিক দৃশ্যকল্প রাশিয়া কিংবা ইউক্রেন কোনো দেশই তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। 

রাশিয়ার গোটা দোনবাস দখলের সক্ষমতা নেই বললেই চলে। দেশটি জাতি হিসেবে ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দেবে এটি অনেকের ধারণা। 

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সাবেক উপপ্রধান ইহর রোমানেঙ্কো বলেন, জানুয়ারির শেষ দিক থেকে রাশিয়ান বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে। খারকিভের কিপিয়ানস্ক থেকে দীর্ঘ একটি যুদ্ধক্ষেত্র রয়েছে। পাঁচ দিক— কুপিয়ানস্ক, লেম্যান, বাখমুত, আদভিভকা ও শাখতার থেকে ভুহলেদার পর্যন্ত সব পথ, হাজার কিলোমিটারের বেশি হবে। 

লন্ডনের কিংস কলেজের রুশ রাজনীতির অধ্যাপক গুলনাজ শরাফুতদিনোভা বলেন, যুদ্ধের শুরুতে থাকা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি সামরিক বিপর্যয় সত্ত্বেও এখনো পুতিনের অবস্থান সুদৃঢ়। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক