a
ফাইল ছবি
ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেছেন, নতুন আফগানিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবেন না। তালেবান শাসনে মূলত শরিয়া আইনের ওপরেই গড়ে উঠবে শাসন ব্যবস্থা। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।
তবে সেই ব্যবস্থা গত তালেবান শাসনের মতো হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও মন্তব্য করেননি হাশিমি। অদূর ভবিষ্যতে তা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কাউন্সিল তৈরির বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত তিনি।
তার বক্তব্য, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা সুপ্রিম লিডার হিসেবে সরকারের প্রধান হিসেবে থাকবেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন না। প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে আখুন্দজাদার ডেপুটিদের। এই মুহূর্তে আখুন্দজাদার তিনজন ডেপুটি আছেন।
মোল্লাহ ওমরের ছেলে মৌলভি ইয়াকুব, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি এবং দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান আবদুল গনি বারাদার। মঙ্গলবার বিশ বছর পর তিনি কান্দাহারে পা রেখেছেন।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তালেবান যে নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তার মডেল হবে অনেকটা ইরানের মতো। সুপ্রীম লিডারের কাছে সকলে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন। তার পরের থাকবেন প্রেসিডেন্ট এবং তারপর কাউন্সিল।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।
ফাইল ছবি
চাঁদে জমি বিক্রি করেন মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপ। প্রতি একর জমির দাম মাত্র ২৫ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি প্রায় ২ হাজার টাকা। চাঁদে জমির মালিকানা আইনত বৈধ। জমির দলিল, এমনকি মৌজা-পরচার মতো আইনি নথিও আছে।
তবে চাঁদে জমি কিনলেও তা চোখে দেখার সুযোগ প্রায় নেই। তাই দলিলের সঙ্গে ক্রেতাদের একটি করে চাঁদের মানচিত্র দেন হোপ। যাতে তারা বুঝতে পারেন ঠিক কোন জায়গায় নিজের জমি কিনলেন।
এ পর্যন্ত নাকি বিশ্বজুড়ে ৬০ লাখেরও বেশি ক্রেতাকে চাঁদের ৬১.১ কোটি একর জমি বিক্রি করেছেন হোপ। তার দাবি, চাঁদের জমির চাহিদা ভালই। এমন নাকি অনেকেই আছেন যারা জমি কিনতে বার বার ফিরে আসেন তার সংস্থায়।
ক্রেতার ব্যাপারে কোনো বাছবিচার নেই এই হোপের। তারকা থেকে সাধারণ চাকুরিজীবী— সবাই রয়েছেন তার ক্রেতার তালিকায়। ৬৭৫ জন নামী তারকা তার কাছ থেকে জমি কিনেছেন বলে জানিয়েছেন হোপ। ক্রেতাদের মধ্যে নাকি তিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, জিমি কার্টার ও রোনাল্ড রিগ্যানও রয়েছেন বলে দাবি করেছেন হোপ।
জমির দাম রাখা হয়েছে সাধারণের মানুষের নাগালের মধ্যেই। ২৪.৯৯ মার্কিন ডলার থেকে শুরু হয়ে হোপের বিক্রি করা একর প্রতি চাঁদের জমির দাম। শেষ ৫০০ ডলারেই। বেশি দামেরও জমি আছে। এক একটি মহাদেশের সমান সেই জমির দাম প্রায় ১৪ কোটি ডলারের কাছাকাছি। তবে জমি যেমনই হোক, একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন হোপ, সব জায়গা থেকেই পৃথিবীকে সমান ভাবে দেখা যাবে।
হোপ জানিয়েছেন চাঁদের সবচেয়ে বৃহদাকৃতি জমির অংশটিতে ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ একর জায়গা আছে। যদিও সেই জমির ক্রেতা এখনও পাননি হোপ। বেশি চাহিদা ১৮০০-২০০০ একরের জমিগুলোর। ম্যারিয়ট হিলটনের মতো বেশ কিছু হোটেলও জমি কিনেছে তাদের কাছ থেকে।
হোপের সংস্থার নাম লুনার অ্যাম্বাসি। যার বাংলা অর্থ চন্দ্র দূতাবাস। চাঁদে হোপের জায়গাজমির ‘দেখভাল’ করে এই সংস্থাটিই।
হোপ নিজেই সংস্থার সিইও। যদিও এই সিইওর অর্থ চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার নয়। সেলেশ্চিয়াল এগজিকিউটিভ অফিসার। মহাজাগতিক বিশেষ অধিকর্তা। তবে নিজেকে ‘চাঁদের মালিক’ বলতেই বেশি পছন্দ করেন হোপ।
চাঁদের জমির ব্যবসার বুদ্ধি এবং রসদ দুই-ই হোপ পেয়েছিলেন তাঁর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞানের দৌলতে।
এ ব্যাপারে জাতিসংঘের আনা একটি প্রস্তাবের ফাঁকফোকরই সাহায্য করেছিল হোপকে। ওই প্রস্তাবের মূল বিষয় ছিল সৌরজগতের মধ্যে থাকা মহাজাগতিক বস্তু। জাতিসংঘ বলেছিল, বিশ্বের কোনো দেশ বা কোনো দেশের সরকার সৌরজগতের কোনো মহাজাগতিক বস্তুর উপর নিজেদের অধিকার, মালিকানা বা আইনি সত্ত্ব দাবি করতে পারবে না।
১৯৬৭ সালে আনা ওই প্রস্তাবে পৃথিবীর প্রায় সবক’টি দেশ সম্মতি দিয়েছিল। তবে ওই প্রস্তাবে কিছু অসম্পূর্ণতাও ছিল। মহাজাগতিক বস্তুর উপর সরকার বা দেশের অধিকার নিয়ে কথা বললেও এমনটা কোথাও বলা ছিল না যেকোনো ব্যক্তি এই দাবি করতে পারবেন না। হোপ ওই অসম্পূর্ণতাকে কাজে লাগিয়েই চাঁদের মালিকানা দাবি করেন।
বিষয়টি উল্লেখ করে জাতিসংঘকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। আটের দশকের একেবারে গোড়ার দিকে লেখা ওই চিঠিতে চাঁদের জমি এবং খনিজ সম্পদের মালিকানা দাবি করেন হোপ। সে চিঠির জবাব আজও আসেনি। তবে জাতিসংঘের মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিয়েই চাঁদের জমি বিক্রি করতে শুরু করেন হোপ।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাসেনকোভ শুক্রবার দাবি করেছেন রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় জ্বালানি ডিপোটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।
রাজধানী কিয়েভের কাছে অবস্থিত কালইয়ানকোভা ডিপোতে এ হামলা চালানো হয়। এই ডিপোর জ্বালানি ব্যবহার করে আসছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। জ্বালানি ডিপোটি উড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাসেনকোভ বলেন, ২৪ মার্চ সমুদ্র থেকে কালিবার ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র কালইয়ানকোভা ফুয়েল ডিপোতে আঘাত করা হয়।
তিনি আরও বলেন,বর্তমানে ইউক্রেনে যে কটি জ্বালানির ডিপো রয়েছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ডিপো ছিল। এই ডিপো থেকে ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় অংশে থাকা সেনাদের ফুয়েল সরবরাহ করা হত। রাশিয়ার করা হামলায় ডিপোটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
রাশিয়ার দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে এটি ইউক্রেনের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা বলে বিশেজ্ঞরা মনে করেন। কারণ রাজধানী কিয়েভের কাছে অবস্থান করা সেনারাই রাজধানীকে এখনো অক্ষত রেখেছেন।
ডিপোটি ধ্বংস হওয়ার পর যদি তারা জ্বালানির সংকেট পড়ে, তাহলে রুশদের আক্রমণ প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়বে। সূত্র: সিএনএন