a তুরস্কের সেনাও প্রত্যাহার শুরু করেছে আফগানিস্তান থেকে
ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

তুরস্কের সেনাও প্রত্যাহার শুরু করেছে আফগানিস্তান থেকে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৬ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:৪৮
তুরস্কের সেনাও প্রত্যাহার শুরু করেছে আফগানিস্তান থেকে

সংগৃহীত ছবি

আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সামরিক বাহিনীও তাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে তুর্কি বিশেষজ্ঞরা কাবুল বিমানবন্দরের পরিচালনায় তালেবানকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে থেকে যেতে পারেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) এ কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমার (৩১ আগস্ট) মধ্যে বিদেশি বাহিনী চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্কের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে তালেবান। 

ন্যাটো জোটের অধীনে কাবুলে থাকা তুর্কি সামরিক বাহিনীকেও আগস্টের শেষ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অসংখ্য যোগাযোগ এবং বর্তমান পরিস্থিতি ও অবস্থার মূল্যায়ন করার পর, তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর উপাদানগুলো সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সেনা প্রত্যাহারে ৩৬ ঘন্টা সময় লাগবে এবং প্রথম বিমানটি ইতিমধ্যে উড্ডয়ন করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দর পরিচালনায় তালেবান তুরস্কের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছিল। সেই আলোচনা সম্ভবত ইতিবাচক ফলাফলে পৌঁছাবে। সৈন্য প্রত্যাহারের পর, আমরা সেখানে বিমানবন্দর পরিচালনা করতে পারি।

অবশ্য মাসখানেক ধরে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকার বলে আসছে যে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও তারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য কিছু সৈন্য রেখে যাবে। এখন তালেবান কর্তৃক কাবুল দখল করার পর তাদেরকে বিমানবন্দরের প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা সহায়তা দিতে অনুরোধ করেছে তালেবান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘পুত্রবধূ’ হিসেবে হারানো মেয়েকে ফিরে পেলেন মা



বুধবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৫৭
পুত্রবধূ হিসেবে হারানো মেয়েকে ফিরে পেলেন মা

ছেলের বিয়েতে আনন্দ কার না থাকে! চীনের এক নারীরও ছেলের বিয়েতে আনন্দের কমতি ছিল না। তবে মুহূর্তের মধ্যেই বিয়ের আনন্দ আরো দ্বিগুণ হয়ে ফিরল তার কাছে। আনন্দ অশ্রুটাও তাই বেশি ছিল। কারণ পুত্রবধূ হিসেবে যাকে আবিষ্কার করলেন বিয়ের আসরে সেই মেয়েটি তারই ২০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সন্তান। গত ৩১ মার্চ চীনের জিয়াংশু প্রদেশের সুজহু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হবু শাশুড়ি হবু বউয়ের হাতে একটা জন্মদাগ দেখতে পান। এই জন্মদাগ তার হারিয়ে যাওয়া মেয়েরও ছিল।

তত্ক্ষণাত্ তিনি ঐ মেয়ের বাবা-মাকে প্রশ্ন করেন, এই মেয়ে তাদের নিজেদের কি না। এই প্রশ্ন শুনে মেয়ের বাবা-মা চমকে যান। কারণ বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল। কিন্তু মেয়ের হবু শাশুড়ির চাপাচাপিতে তারা স্বীকার করেন যে, এই মেয়ে তাদের জন্মগত নয়। অনেক বছর আগে তারা রাস্তার পাশে মেয়েটিকে পান এবং সেই থেকে তারা তাকে লালনপালন করছেন। এই গল্প শুনে মেয়েটি কাঁদতে শুরু করেন এবং তার জন্মদাতা মা-বাবা সম্পর্কে জানতে চান।

এরপর মেয়েটি জানতে পারেন যে তার এই হবু শাশুড়িই তার জন্মদাত্রী মা। গল্পের এখানেই শেষ নয়। মেয়েটি চিন্তায় পড়ে যান তিনি কীভাবে তার আপন ভাইকে বিয়ে করবেন। সেই গল্পটি আরো মজার। মেয়ের মা জানান, এই ছেলে তার গর্ভজাত সন্তান নয়। মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার পর ছেলেটিকে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন। বায়োলজিক্যাল ভাইবোন না হওয়ায় তাদের বিয়েতে আর সমস্যা হয়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই তাদের আশীর্বাদ করেন এবং দ্বিগুণ আনন্দ নিয়েই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সাংবাদিক হেনস্থায় ১১ বিশিষ্ট নাগরিকের ক্ষোভ প্রকাশ


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১, ০৪:৫৪
সাংবাদিক হেনস্থায় ১১ বিশিষ্ট নাগরিকের ক্ষোভ প্রকাশ

ফাইল ছবি

প্রথম আলোর অনুসন্ধানী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দেশের ১১ বিশিষ্ট নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে উক্ত ঘটনা তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার দাবি জানান।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা এই দাবি জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তাঁরা বলেন, আমরা মনে করি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা, সরকারের ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহকালে যেভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তাও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে সংকট মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস পরিচালিত হচ্ছে তা সর্বতোভাবে জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সমবেত রয়েছি।

এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন। একই সাথে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সহযোগিতার মাধ্যমে সরকার উপকৃত হয়েছেন।

 উল্লেখ্য গতকাল  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিনা অনুমতিতে সরকারি কাগজ পত্রের ছবি তোলা এবং কিছু কাগজপত্র চুরি করার অভিযোগর ভিত্তিতে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় উক্ত মামলায় আজ পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে আদালতে প্রেরণ করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক