a
ফাইল ছবি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের আমন্ত্রণে তুরস্ক-ফিলিস্তিন সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে গতকাল শুক্রবার তিনদিনের সফরে গেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
তুরস্কের যোগাযোগ দফতরের এক বিবৃতিতে জানা গেছে, সফরকালে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন নিয়েও তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করবেন মাহমুদ আব্বাস। এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, ফিলিস্তিনের মানবিক পরিস্থিতি এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন দু'দেশের প্রেসিডেন্ট।
ফাইল ছবি
ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহারে অবশেষে বাধ্য হল আমেরিকা। এ বিষয়ে বাগদাদ ও ওয়াশিংটন দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়। বুধবার এক যৌথ বিবৃতির দ্বারা বাগদাদ ও ওয়াশিংটন তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। মার্কিন সরকার মনে করছে, ইরাকি সেনারা বর্তমানে যুদ্ধ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের আমলে ইরাক ও আমেরিকার প্রথম কৌশলগত আলোচনার পর সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সমঝোতা হয়।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরাকে শুধুমাত্র অল্প কয়েকজন সেনা থাকবে যারা শুধু প্রশিক্ষণ দেবেন।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে ইরাক থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল কিন্তু ২০১৪ সালে ইরাকে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে আবারও আমেরিকান সেনা ইরাকে ফিরিয়ে আনা হয়।
ইরাকের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য ব্যাপক আন্দোলন ও চাপ ছিল। বিশেষ করে গত বছরের জানুয়ারিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে মার্কিন বাহিনী ইরাকের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ করার পর এই চাপ
আরও তীব্র হতে থাকে।
মার্কিন সৈন্যদের ইরাক ত্যাগের চাপ বাড়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে মার্কিন সৈন্যদের সন্ত্রাসী হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও জেনারেল কাসেম সোলাইমানির সঙ্গে শহীদ হন।
আজ ঐতিহাসিক ২৫শে মার্চ, ভয়াল ‘কালরাত’
আজ ঐতিহাসিক ২৫শে মার্চ। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে নিরীহ ঘুমন্ত বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাই দিবসটি ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বাঙালিরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) ও জরুরি স্থাপনাগুলো এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
আজকের রাতে কোনো সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। তবে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে। ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে পাক-হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে চালায় বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেনারেল টিক্কা খান বলেছিলেন, ‘আমি পূর্ব পাকিস্তানের মাটি চাই, মানুষ চাই না’। ফলশ্রুতিতে বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে এই বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত্রি।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি গত বছরের মতো এ বছরও করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২৫শে মার্চ গণহত্যার কালরাত্রির আলোর মিছিলসহ সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
তবে আজ সন্ধ্যা ৭টায় স্বাধীনতা ও গণহত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৫০টি মোমবাতি প্রজ্বালন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।