a দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার পাকিস্তান ও তুরস্ক
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার পাকিস্তান ও তুরস্ক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০৯ জুলাই, ২০২১, ০৬:১৫
দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার পাকিস্তান ও তুরস্ক

সংগৃহীত ছবি

তুরস্কের স্থলবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল উমিত ডুন্ডার রাওয়ালপিন্ডির গত সোমবার (৫ জুলাই) পাকিস্তানের চিফ অফ আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেনা সদর দপ্তরে (জিএইচকিউ) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুইটি দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করা হয়।

সফররত তুর্কি জেনারেলকে গার্ড অব অনার দিয়ে পাকিস্তানে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়াও পাকিস্তান তুরস্কের সাথে তার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ বলে উল্লেখ করে জেনারেল কামার বলেন, 'এই সম্পর্ক আমাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের পাশাপাশি ইতিহাসের সাথেও গভীরভাবে জড়িত।'

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠকে দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সহযোগিতার উপর বিশেষ জোর দিয়ে পারস্পরিক ও পেশাদার আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

উভয় পক্ষই বিশেষত প্রশিক্ষণ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষেত্রে সামরিক সম্পর্কে আরও বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে। তুর্কি জেনারেল আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, তুর্কি জেনারেল প্রেসিডেন্ট ডক্টর আরিফ আলভীর সাথে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপরে প্রেসিডেন্ট তুর্কি স্থলবাহিনী কমান্ডার জেনারেল উমিত ডুন্ডারকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পুরষ্কার প্রদান করেছেন। পাকিস্তান-তুর্কি সম্পর্ক জোরদারে তার ভূমিকাকে স্বীকৃতি জানাতে আইওয়ান-ই-সদরে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয়া হয়।

প্রেসিডেন্ট আলভী বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তুরস্কের সাথে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদারের জন্য পাকিস্তানের দৃঢ়তা পুনর্ব্যক্ত করেন। সফরকারী কমান্ডারের সাথে আলাপকালে তিনি দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুরস্কের সাথে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিদ্যমান স্তরের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয় দেশই অনুকরণীয় সম্পর্ক উপভোগ করেছে যা বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও বৃদ্ধি করা দরকার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সামরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।

জেনারেল উমিত বলেন, অভিন্ন বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও ঐতিহাসিক যোগসূত্রের উপর ভিত্তি করে সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস থাকার কারণে পাকিস্তান ও তুরস্ক অবিচ্ছেদ্য। তিনি বলেন, তুরস্কের জনগণ পাকিস্তানিদের তাদের ভাই হিসেবে বিবেচনা করে এবং সব দিক বিশেষত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। তিনি প্রেসিডেন্টকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পুরষ্কার প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন/বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভারতের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যের বিরোধীতা করছে আমেরিকা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০৭ আগষ্ট, ২০২১, ১১:৫০
ভারতের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যের বিরোধীতা করছে আমেরিকা

ফাইল ছবি

ভারত জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ ও ভেটো ক্ষমতা লাভের যে চেষ্টা করছে তার বিরোধিতা করেছে ওয়াশিংটন। কোনো মার্কিন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এই বিরোধিতার কথা জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক।

বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদি জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
 
বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের এই আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর বিরোধী।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে দুই বছরের জন্য ভারতের পর্যায়ক্রমিক অস্থায়ী সদস্যপদের মেয়াদ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ভারত এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করলো।

এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই নিয়ে ভারত অষ্টমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদের অধিকারী হলো। সূত্র: পার্সটুডে

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সিগারেটের সর্বনিম্ন খূচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি তরুণদের


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ০২:৪৮
সিগারেটের সর্বনিম্ন খূচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি তরুণদের

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম, ঢাকা:   শিশু-কিশোর ও তরুণদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি শলাকার সিগারেটের সর্বনিম্ন খূচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি জানিয়েছে তরুণরা। তারা জানায়, দাবি অনুযায়ী দাম বাড়ালে তরুণেরা সিগারেট সেবনে নিরুৎসাহিত হবে; দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লক্ষ তরুণের তামাকজনিত অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সরকারের বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা যা আগের বছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার সকালে (২০ মার্চ’২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানায় তারা। আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়ক মারজানা মুনতাহার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির অন্য সদস্য তাসনিম হাসান আবির।

তরুণরা জানায়, নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তারা যে কোন একটি স্তরের সিগারেট বেছে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ালে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠী এবং তরুণ প্রজন্ম ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে।

তাই, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে প্রতি ১০ শলাকার নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে খুচরা মূল্য ৯০ টাকা, উচ্চ স্তরে খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা, প্রিমিয়াম স্তরের খূচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণ এবং বিড়ির প্রতি শলাকার দাম অন্তত ১ টাকা করার দাবি জানায় তরুণরা।

সুপারিশ অনুযায়ী তামাক পণ্যের বিদ্যমান কর কাঠামো সংস্কার করা গেলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩.৩ শতাংশে নেমে আসবে। প্রায় ২৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়ষ্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকবে এবং প্রায় ১৮ লক্ষ কিশোর-তরুণকে নতুন করে সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে। এবং সরকারের বাড়তি রাজস্ব আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। 

সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ নাদভী, ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। 

এ সময় রাশেদ রাব্বি বলেন, আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং নতুন তামাকসেবী সংখ্যা কমাতে হলে কর ব্যবস্থাকে সহজ করে মূল্যস্ফীতি ও আয়বৃদ্ধির তুলনায় বেশি হারে তামাকপণ্যে করারোপ করতে হবে। 

ইকবাল মাসুদ জানান, বিগত কয়েক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সেই অনুপাতে বাড়েনি তামাকপণ্যের দাম ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং তরুণদের কাছে সহজলভ্য হয়েছে তামাকপণ্য। এমনকি, বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির হার পাশ্ববর্তী দেশেরগুলোর চাইতে তুলনামূলক অনেক কম। তাই তামাক কর বাড়াতে সক্ষম হলে দীর্ঘমেয়াদে ১৭ লক্ষ ১৩ হাজার অকাল মৃত্যুর রোধ করা সম্ভব হবে। 

বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তামাক ব্যবহারকারি দেশ। প্রতিবছর তামাকপণ্য বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত স্বাস্থ্য ব্যায়ের মাত্র ৭৫ শতাংশ। প্রস্তাবনা অনুসারে কর বাড়ালে সিগারেট বিক্রি থেকে রাজস্ব আসতে পারে ৬৮ হাজার কোটি টাকা যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বেশি বলে জানান আবদুল্লাহ নাদভী।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক