a দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার পাকিস্তান ও তুরস্ক
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার পাকিস্তান ও তুরস্ক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০৯ জুলাই, ২০২১, ০৬:১৫
দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার পাকিস্তান ও তুরস্ক

সংগৃহীত ছবি

তুরস্কের স্থলবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল উমিত ডুন্ডার রাওয়ালপিন্ডির গত সোমবার (৫ জুলাই) পাকিস্তানের চিফ অফ আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেনা সদর দপ্তরে (জিএইচকিউ) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুইটি দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করা হয়।

সফররত তুর্কি জেনারেলকে গার্ড অব অনার দিয়ে পাকিস্তানে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়াও পাকিস্তান তুরস্কের সাথে তার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ বলে উল্লেখ করে জেনারেল কামার বলেন, 'এই সম্পর্ক আমাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের পাশাপাশি ইতিহাসের সাথেও গভীরভাবে জড়িত।'

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠকে দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সহযোগিতার উপর বিশেষ জোর দিয়ে পারস্পরিক ও পেশাদার আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

উভয় পক্ষই বিশেষত প্রশিক্ষণ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষেত্রে সামরিক সম্পর্কে আরও বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে। তুর্কি জেনারেল আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, তুর্কি জেনারেল প্রেসিডেন্ট ডক্টর আরিফ আলভীর সাথে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপরে প্রেসিডেন্ট তুর্কি স্থলবাহিনী কমান্ডার জেনারেল উমিত ডুন্ডারকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পুরষ্কার প্রদান করেছেন। পাকিস্তান-তুর্কি সম্পর্ক জোরদারে তার ভূমিকাকে স্বীকৃতি জানাতে আইওয়ান-ই-সদরে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয়া হয়।

প্রেসিডেন্ট আলভী বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তুরস্কের সাথে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদারের জন্য পাকিস্তানের দৃঢ়তা পুনর্ব্যক্ত করেন। সফরকারী কমান্ডারের সাথে আলাপকালে তিনি দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুরস্কের সাথে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিদ্যমান স্তরের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয় দেশই অনুকরণীয় সম্পর্ক উপভোগ করেছে যা বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও বৃদ্ধি করা দরকার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সামরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।

জেনারেল উমিত বলেন, অভিন্ন বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও ঐতিহাসিক যোগসূত্রের উপর ভিত্তি করে সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস থাকার কারণে পাকিস্তান ও তুরস্ক অবিচ্ছেদ্য। তিনি বলেন, তুরস্কের জনগণ পাকিস্তানিদের তাদের ভাই হিসেবে বিবেচনা করে এবং সব দিক বিশেষত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। তিনি প্রেসিডেন্টকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পুরষ্কার প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন/বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মেট্রো ট্রেন দুর্ঘটনায় মেক্সিকোতে ১৫ জন নিহত


নাঈম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৪ মে, ২০২১, ০৮:৫০
মেট্রো ট্রেন দুর্ঘটনায় মেক্সিকোতে ১৫ জন নিহত

ফাইল ছবি

মেক্সিকোতে মেট্রো ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ জন এবং  গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৩৪ জন। স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটির দক্ষিণে ট্রেনসহ মেট্রোরেলের সেতু ধ্বসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনবিসি নিউজ ও রয়টার্স

ট্রেনসহ মেট্রোলাইন-১২ এর একটি সেতু ধ্বসে পরায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ৩০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। মেক্সিকো সিটির মেয়র ক্লাউডিয়া শেইনবাম বলেছেন, দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ভেঙে পড়া অংশের নিচে একটি গাড়ি এখনও আটকে রয়েছে। 

টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় শেইনবাম জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে হতাহত মানুষ এখানে রয়েছেন। আমি দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কমান্ড সেন্টারে সহায়তা করছি। মেক্সিকোর বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাজধানীর বেশির ভাগ ভবন ভূমিকম্প সহনীয় নয়: ঢাকা মাঝারি ঝুঁকিতে


খোরশেদ আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৩ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১১:৪৭
রাজধানীর বেশির ভাগ ভবন ভূমিকম্প সহনীয় নয়: ঢাকা মাঝারি ঝুঁকিতে

ফাইল ছবি: ঘণবসতিপূর্ণ ঢাকা শহর

ভূতাত্ত্বিকদের মতে, রাজধানী ঢাকা শহর মাঝারি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং বিল্ডিং কোড না মানা এর অন্যতম বড় কারণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আকতার ও অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমানসহ অনেকের মতে, ভূমিকম্পের উৎসগতভাবে ঢাকা ‌'মধ্য' ঝুঁকিতে রয়েছে। আর ঝুঁকিটা বাড়ার অন্যতম কারন অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণে। এই ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির অন্যতম কারন সেদেশগুলোতেও যথাযথ বিল্ডিং কোড না মানা। আর এবিষয়গুলো সামনে এলো বড় আকারের দুর্ঘটনা ঘটার পর। আর আমাদের দেশে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড না মানার ব্যাপকতর অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি সংস্থাকে ম্যানেজ করে বেশিরভাগ সুউচ্চ ভবনগুলো গড়ে উঠেছে।

আবার সেসব সংস্থার লোকজন পরিবর্তন হলে তাদের স্থলে আসীন ব্যক্তিদেরও সেসব দুর্বল ভবনগুলো থেকে বছরকে বছর ম্যানেজের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। আর বেশিরভাগ ডেভোলপার কোম্পানিগুলো থাকে সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা কোন রকম বিল্ডিং তৈরি করে বিক্রি করে হয় যায় উধাও। আর এসব লক্ষ্য করা যায় যখন কোন বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়না।

এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, ঢাকাসহ অন্যান্য ঘনবসতি শহরগুলোতে ভূমিকম্প বা বড় আকারের কোন দুর্যোগ দেখা দিলে দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধারকার্য চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। ফলে এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এমনিতেই ঢাকার বেশির ভাগ ভবনগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা একেবারেই দূর্বল। অন্যদিকে পুরান ঢাকার ভবনগুলো গা ঘেঁষাঘেষি করে তৈরি করা এবং রাস্তাগুলোও সরু। ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করা দূরুহ ব্যাপার। তাই সামান্য দুর্ঘটনাতেও সেখানে উদ্ধারমূলক কর্মকান্ড চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বসিলা, বনশ্রী, আফতাবনগরসহ ঢাকা শহরের বেশীরভাগ সুউচ্চ ভবনগুলো জলাভূমি ভরাট করে বালি বা কাদামাটির উপর তৈরি করার কারণে ঝুঁকির মাত্রা এক্ষেত্রে অনেক বেশি।

২০০৯ সালে জাইকা ও সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী(সিডিএমপি) এক জরিপে উল্লেখ করেছে যে, ঢাকায় ৭ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে শহরের প্রায় ৭২ হাজার ভবন ভেঙ্গে পড়বে এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। প্রায় ১৪ বছরে নিয়ম না মেনে তৈরি করা আরও অনেক বিল্ডিং হয়েছে, সেসব যোগ করলে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন সংখ্যা কত দাঁড়ায় তা সহজেই অনুমেয়। সুধীজন ও বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগ সময়গুলোতে যাতে ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় থাকে সে ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আলোচনা ও টক-শোতে পরামর্শ দিলেও দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন চোখে পরেনি।

বিশেষত: এসব বিষয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও একজন মানুষের নাম না বললেই নয়, তিনি হচ্ছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও ঠোঁটকাটা প্রিয় মানুষটি মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।

 

লেখক: মোহা. খোরশেদ আলম, সম্পাদক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ও নির্বাহী পরিচালক: হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভে. সোসাইটি(হিডস)।

 

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক