a
ফাইল ছবি
ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর নির্বাহী বোর্ডের যে বার্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে তাতে ইরানের বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে না বলে ঘোষণা করেছে আমেরিকা।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “নির্বাহী বোর্ডের চলতি বৈঠকে [ইরানের বিরুদ্ধে] কোনও প্রস্তাব উত্থাপন করার পরিকল্পনা আমাদের নেই।”
সোমবার আইএইএ’র ৩৫ সদস্যদেশের উপস্থিতিতে বার্ষিক এ বৈঠক শুরু হয়েছে এবং তা ১ সপ্তাহ ধরে চলবে। সোমবার বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনেই সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি ইরানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন।
রাফায়েল গ্রোসি এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করলেন যখন রবিবার তার তেহরান সফরে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে স্থাপিত আইএইএ’র পর্যবেক্ষণ ক্যামেরাগুলো সার্ভিস করার পাশাপাশি এগুলোর মেমোরি কার্ড প্রতিস্থাপন করতে সম্মত হয় দু’পক্ষ।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মাদ ইসলামির সঙ্গে গ্রোসির সাক্ষাতের পর দুই কর্মকর্তা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ওই সমঝোতার কথা জানান।
তারা বলেন, দু’পক্ষ এনপিটি চুক্তির সম্পূরক প্রটোকলের আওতায় পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়। গ্রোসি এ সমঝোতার ব্যাপারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তেহরান ত্যাগ করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো বে কারাগার
গুয়ানতানামো বে কারাগারের গোপন ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। কিউবার আমেরিকান ঘাঁটিতে অবস্থিত এই ইউনিট থেকে বন্দিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এ সংবাদ প্রকাশ করেছে এনবিসি নিউজ
ইউএস সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, ক্যাম্প-৭ থেকে বন্দিদের কাছের ক্যাম্প-৫-এ স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে কতজনকে সরানো হয়েছে এবং কবে সরানো হয়েছে তা জানা যায়নি। এই ক্যাম্পে ১৪ জন বন্দি ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
মিয়ামিভিত্তিক সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, গুয়ানতানামো বে কারাগারে ৪০ জন বন্দি ছিলেন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ক্যাম্প-৭ খোলা হয়।
বহু বিতর্কের জন্ম দেয় এই গুয়ানতানামো বে কারাগার। অনেক দিন ধরেই এসব বন্দিশিবিরটি বন্ধ করার দাবি করে আসছিল বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। মার্কিন সেনারা এসব বন্দিদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করে আসছিল বিশ্ব বিবেক। এমনকি কোনো কোনো শিবিরে অত্যন্ত চুপিসারে গোপনে বিভিন্ন কাজকর্ম হতো বলেও অভিযোগ ছিল।
মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এমন অভিযোগে বারবার সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো কিন্তু তারপরও মার্কিন প্রশাসন এসব বিষয়ে কর্ণপাত না করে এত বছর ধরে গুয়ানতানামোয় বন্দিশিবিরগুলো চালু রেখেছে। এই কারাগারে বিশ্বের সবচেয়ে অমানবিক কাজকর্মগুলো হতো বলে মানবিধার সংগঠনগুলোর অভিযোগ করায় বাইডেন প্রশাসন নির্বাচনের আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে এই কারাগার বন্ধ করে দেবেন।
ফাইল ফটো
মেগান-কেলি প্রেম কাহিনী সারা দুনিয়া জানে এমন একটি ঘটনা। প্রচন্ড প্রেম এক আগুনের দুটি শিখার ন্যায় ।বহুল আলোচিত ট্রান্সফরমার ছবির অভিনেত্রী মেগান ফক্সেরআঙুলে হীরার আংটিটা তাদের সম্পর্কের গভীরতা জানান দেয়।
বাস্তবে অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা ।গায়ক মেশিন গান কেলির সাথে তিনি অভিনয় করছেন মিডনাইট ইন দ্য সুইচগ্রাস ছবিতে। অপরাধ ও থ্রিলার ঘরানার এ ছবি পরিচালনা করছেন র্যান্ডাল এইমেট। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এর জন্য মহড়াতেও অংশ নিয়েছেন দুজন। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটিতে গাড়ি থেকে নামার সময় ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন মেগান। বাঁ হাতের আঙুলে দেখা গেছে হীরার একটি বড় আংটি। ছবিটি অনলাইনে ছড়িতে পড়তেই সবাই বুঝে নিয়েছেন, মেগান-কেলির সম্পর্ক পরিনতির দিক যাচ্ছে । প্রথম দেখার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মেগান বলেছিলেন, ‘আমার ভেতর এক রকম বুনো হাওয়া বয়ে গিয়েছিল। কী হয়েছিল, তা আমি নিজেও বলতে পারব না।’
গেল বছর ট্রাভিস বার্কারের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে মেশিন গান কেলি গেয়েছেন ‘ব্লাডি ভ্যালেনটাইন’ গানটি। সেই গানের সংগীতচিত্রে মডেল হয়েছিলেন মেগান। ট্রান্সফরমার চলচ্চিত্রের সিরিজসহ বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন মেগান। ৯ বছরেরও অধিক সময় আগে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল মেগানের। সেই সময়ই তাঁর প্রেম হয়ে যায় গায়ক কেলির সঙ্গে। যদিও নভেম্বর পর্যন্ত স্বামী ব্রিয়ান অস্টিন গ্রিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়াছাড়ি হয়নি মেগানের। তাঁদের তিন সন্তান নোয়া, বধি ও জার্নি।
কেলিও ক্যাসি নামের এক কন্যাসন্তান এর জনক।কেলি অভিনীত ছবির নাম হলো প্রজেক্ট পাওয়ার, দ্য ডার্ট, নার্ভসহ।এ ছাড়াও আরো বেশ কিছু হলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি । তাঁর বেশ কিছু গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে ।