a
ফাইল ছবি
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ন্যাটো জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ ইরানবিরোধী কান্ডজ্ঞানহীন যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় মিশন। ব্রাসেলসে ইরানের ইউরোপীয় মিশন সোমবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়েছে।
সোমবার ব্রাসেলসে ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির ল্যাপিডের সঙ্গে সাক্ষাতের পর স্টোলটেনবার্গ হাস্যকর অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি এবং পরমাণু সমঝোতা মেনে চলছে না।
এর জবাবে ইরানের ইউরোপীয় মিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে ইসরায়েল এনপিটি চুক্তিসহ পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত কোনো চুক্তিকে সই করেনি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করলে ওই অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা বিন্দুমাত্র গ্রহণযোগ্যতা পায় না।
বিবৃতিতে ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর ও কাণ্ডজ্ঞানহীন আখ্যায়িত করে বলা হয়, ইরান শুরুতেই এনপিটি চুক্তির পাশাপাশি জীবাণু অস্ত্র নির্মূল সংক্রান্ত কনভেশনে স্বাক্ষর করেছে এবং তখন থেকেই এসব চুক্তি মেনে চলছে।
ইরানের ইউরোপীয় মিশন আরো বলেছে, অথচ পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী ইসরায়েল শুরু থেকেই এনপিটি চুক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এসেছে। আর এরকম সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ইরানকে এনপিটি সম্পর্কে উপদেশ দেওয়া সত্যিই হাস্যকর।
মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইসরায়েলের কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এবং এই অবৈধ রাষ্ট্রের অ্যাটম বোমার সংখ্যা অন্তত ৩০০টি যা দিয়ে গোটা বিশ্বকে ধ্বংস করা সম্ভব। অথচ এই ইসরায়েল ইরানের বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে নির্লজ্জভাবে বক্তব্য দেয় এবং ইহুদিবাদী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মধ্যেও ইরানবিরোধী বক্তব্য মাথাচারা দিয়ে ওঠে।
ফাইল ছবি
পাকিস্তান সরকারকে ৪২০ কোটি ডলার সহয়তা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এ কথা জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। খবর ব্লুমবার্গের।
তিন দিনের পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়ে বুধবার সৌদির রাজধানী রিয়াদে সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান খান। সেখানেই পাকিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাংকে ৩০০ কোটি ডলার আমানতের প্রস্তাব দেন সৌদি যুবরাজ।
পাশাপাশি ১২০ কোটি ডলারের পেট্রলজাত পণ্য দেওয়ার কথাও জানান তিনি। সৌদি সরকারের এই সহায়তা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইমরান খান।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন সালমান। সেই সময় করোনার কারণে বিধ্বস্ত পাক অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের জন্য অর্থ সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান খান।
ছবি সংগৃহীত
বিশেষ প্রতিনিধি: আগামীকাল সকালে তারেক রহমান-ইউনূসের বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টির এখন লন্ডনের দিকে। সবার প্রত্যাশা সকল সমস্যার সমাধান হবে আলোচনার টেবিলেই। তাই সকল মত-পার্থক্য দূর করে ড. ইউনূস সরকারের অধীনেই যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করা। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী কমিটির একাধিক সদস্যরা জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ফলপ্রসূ হলে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি, প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উদ্যোগ এবং জুলাই সনদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে, তা অনেকটাই কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈঠকটিকে কেন্দ্র করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইতোমধ্যে লন্ডন পৌঁছেছেন।
জনাব আমির খসরু বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দলীয় প্রতিনিধিদলে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই ঢাকা ত্যাগ করেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের মূল বৈঠকটি হবে ‘ওয়ান টু ওয়ান এবং রুদ্ধদ্বারেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের ব্যাপারে বেশ উচ্ছ্বসিত এবং তিনি বলেন, বৈঠকটিতে রাজনীতিতে সুবাতাস আনবে বলে প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, গোটা জাতি এখন লন্ডনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি হবে একটি ঐতিহাসিক বৈঠক এবং এ বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে। যৌক্তিক সময়েই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার মধ্য দিয়েই নির্বাচনসহ সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আগামীকাল লন্ডনের হোটেলে ডোরচেস্টারে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকের আয়োজন মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেই করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, লন্ডন থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ‘ওয়ান টু ওয়ান’ একটি বৈঠকের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তিনজন উপদেষ্টা যোগাযোগের চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের কর্মসূচি নির্ধারণের পর গত সোমবার মূলত বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয় অন্তবর্তীকালীন সরকারের আহ্বানে।
ঢাকা ও লন্ডনের সূত্রগুলো জানায়, তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির দিক থেকেও সাক্ষাৎ ও বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার কারণে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এবিষয়ে গত সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকের মতামতের ভিত্তিতেই আগামীকালের এ বৈঠকে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বৈঠকটিকে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বড় একটা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে বলে বিএনপিসহ অন্যান্য দেশী-বিদেশী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মতামত দিয়েছেন।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন