a
ফাইল ছবি
ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফখরেহ জাদেহকে হত্যার কথা স্বীকার করলো ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ইয়োসি কোহেন। তিনি স্বীকার করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে একের পর এক হামলা ও ফখরেহ জাদেহকে হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা ছিলো। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল ১২ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ইয়োসি কোহেন আরও বলেছেন, ইরানের বিজ্ঞানীরা যদি তাদের পেশা পরিবর্তন করতে চান এবং ইসরায়েলকে আঘাত না করার নিশ্চয়তা প্রদান করেন, তাহলে আমরা তাদের বের হওয়ার পথ দেখানোর প্রস্তাব দিতে পারি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর তেহরানের কাছে গাড়ি বহরের মধ্যে মোহসেন ফখরেহ জাদেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করে আসছিল। তবে ঘটনার সময় ইসরায়েল এ ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এবার মোসাদের সাবেক প্রধান এই হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করলেন।
ফাইল ছবি
আমেরিকার পাশাপাশি, লাতিন আমেরিকার আকাশেও উড়ছে সন্দেহজনক চীনা গোয়েন্দা বেলুন। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এ তথ্য জানিয়েছে। তবে লাতিন আমেরিকার কোন দেশের ওপর বেলুনটি উড়ছে, কবে সেটি শনাক্ত করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে কিছুই জানায়নি পেন্টাগন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা ‘গোয়েন্দা’ বেলুনের উপস্থিতিতে দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো লাতিন আমেরিকার আকাশেও সন্দেহজনক বেলুন উড়ছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা ধারণা করছি, এটি আরেকটি চীনা গোয়েন্দা বেলুন।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পেন্টাগন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আকাশে গোয়েন্দা বেলুনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। চীনের এ বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল’ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পেন্টাগনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বেলুনটি গুলি করে ভূপাতিত করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে বেলুনটি যেসব এলাকার ওপর দিয়ে উড়ছিল, সেখানে বসবাসরত মানুষের ক্ষতি বিবেচনায় তা করা হয়নি।
এ ঘটনায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ‘বেলুনকাণ্ডের’ জেরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার চীন সফর স্থগিত করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে চীনে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে এটি প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলুন কান্ড নিয়ে এ বৈঠকের অনুকূলে নেই বলে সফর বাতিল করা হয়েছে।
রোববার ও সোমবার দুই দিনের সফরে চীনে যাওয়ার কথা ছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকের এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা, তাইওয়ান ইস্যু ও করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে গতকাল টেলিফোনে কথা বলেন ব্লিঙ্কেন। এ সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা গোয়েন্দা বেলুনের অনুপ্রবেশ দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। এটা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী কাজ। সূত্র: এএফপি/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে স্বৈরশাসক বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীন সফরে গিয়ে সি–এর সঙ্গে বৈঠক করার পর এমন মন্তব্য করেন বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, ব্লিঙ্কেন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে সি চিন পিং–এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ায় তহবিল সংগ্রহের পর বাইডেন এই মন্তব্য করেন। বাইডেন আরও বলেন, গুলি করে বেলুন ভূপাতিত করার পর ক্ষুব্ধ হন সি। বাইডেন আরও জানান, এটা স্বৈরশাসকদের জন্য খুব বিব্রতকর। তাঁরা জানতেন না যে কী হয়েছে। বেলুনটি যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে যায়নি।
গত ফেব্রুয়ারিতে সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়ছিল। বেলুন–কাণ্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের সফরের কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
গত সোমবারের বৈঠকে ব্লিঙ্কেন ও সি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে সম্মত হয়েছেন। তবে ব্লিঙ্কেন চীন সফরের সময় পরিস্থিতির খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি বলে বাইডেনের মন্তব্যে তার বহিপ্রকাশ বলে জানান বিশেজ্ঞরা।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে গতকাল সোমবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বৈঠক করেন। তাঁরা আগামী কয়েক সপ্তাহ ও কয়েক মাসে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও সফর করতে চান।
বাইডেন বলেন, তিনি মনে করেন যে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক পথে রয়েছে। বাইডেন গত মঙ্গলবার বলেছেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কোয়াড গ্রুপ নিয়ে উদ্বিগ্ন সি। বাইডেন আরও বলেন, তিনি চীনকে আশ্বস্ত করেছেন যে দেশটিকে কোয়াড দিয়ে কোণঠাসা করে ফেলার কোনো ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। সূত্র: প্রথম আলো