a
সংগৃহীত ছবি
ব্রিটেন এবং ফ্রান্স বলছে, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই তারা আফগানিস্তান থেকে তাদের সব নাগরিক এবং তাদের সহযোগী বেশিরভাগ আফগানকে সরিয়ে নিতে পারবে।প্রেসিডেন্ট বাইডেন কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়াতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই দুটি দেশ এই ঘোষণা দিল।
ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী ক্লেমেন্ত বোন বলছেন, আফগানিস্তানে সে দেশের উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হওয়ার 'সম্ভাবনা প্রবল'। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলছেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই এমন ব্রিটিশ নাগরিকদের বেশিরভাগকেই ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে বের করে আনা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেইন, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের পাঁচশোরও বেশি নাগরিকদের কাবুল থেকে বের করে আনার জন্য তারা চারটি বৃহদায়তন সামরিক বিমান পাঠিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই এই উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা প্রয়োজন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের ওপর ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর হামলার ঝুঁকি রয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উদ্ধার অভিযান শেষ করতে হলে আফগানিস্তানের নতুন শাসক অর্থাৎ তালেবানের কাছ থেকে ক্রমাগত সহযোগিতার প্রয়োজন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কাবুল থেকে বিবিসির ইয়োগিতা লিমায়ে খবর দিচ্ছেন, কাবুল বিমানবন্দরে মানুষজনকে দেশ ত্যাগে সহায়তা করছেন এমন লোকজন বলছেন, বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে যাত্রীদের বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে আটকে দেয়া হচ্ছে। তবে কারা এটা করছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
তিনি জানান, বিমানবন্দরে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাচ্ছে। এর গেট পর্যন্ত পৌঁছুতে গত সপ্তাহে মানুষজনকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এটা আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলছেন, কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্রতি ঘণ্টাতেই যাত্রী-বোঝাই উদ্ধারকারী বিমানের ফ্লাইট আকাশে ডানা মেলছে।
তবে এখনকার আশঙ্কা হচ্ছে, যাদের রওনা হওয়ার কথা ছিল, তাদের কাউকে কাউকে বাদ দিয়েই ফ্লাইটগুলোকে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দেশত্যাগে সাহায্য করারা লক্ষ্যে তারা ঝুঁকির মুখে থাকা আফগানদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। তবে মাঠের পরিস্থিতি একেবারেই গোলযোগপূর্ণ এবং অনিশ্চিত। সূত্র: বিবিসি বাংলা/বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
চীনের প্রযুক্তির হুমকি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা বাড়াতে একটি বিল অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। গতকাল মঙ্গলবার ৬৮-৩২ ভোটে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে বিলটি পাস হয়। খবর রয়টার্স।
মার্কিন সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে নানা বিষয়ে বিরোধ থাকলেও চীনের বিরুদ্ধে ‘হার্ড লাইন’ নেওয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষই একমত।
বিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও গবেষণা জোরদার করার জন্য প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম উৎপাদন ও গবেষণায় খরচ করতে অতিরিক্ত আরও ৫৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিতেও এতে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে পাঠানোর আগে বিলটিকে এখন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হতে হবে। অনুমোদনের পর, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করলে এটি আইনে পরিণত হবে।
বিলে চীনের ‘প্রযুক্তি হুমকি’ মোকাবেলায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে আছে, সরকারি ডিভাইসগুলোতে টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা, চীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কোম্পানির তৈরি বানানো ড্রোন ক্রয় না করা।
ফাইল ছবি: রয়্যাল নেভি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলস
যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার পথে বিকল হয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ হিসেবে খ্যাত রয়্যাল নেভি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলস। সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তিন বিলিয়ন পাউন্ডের যুদ্ধজাহাজটি পোর্টসমাউথ থেকে ‘ল্যান্ডমার্ক’ এভিয়েশন ট্রায়াল মিশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। যাত্রার একদিন পর বিকল হয়ে যায় রয়্যাল নেভি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলস।
রয়্যাল নেভির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুদ্ধজাহাজটি আইল অব উইটের কাছে দক্ষিণ উপকূল অনুশীলন এলাকায় রয়ে গেছে। কারণ রয়্যাল নেভি ‘হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি তদন্ত’ করছে। পূর্বের প্রযুক্তিগত সমস্যাটি যান্ত্রিক সমস্যার সাথে সম্পর্কিত ছিল কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ ও ন্যাটোর ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসের এর আগেও কয়েকবার সমস্যায় পতিত হওয়ার ইতিহাস আছে। এর আগে ২০২০ সালের শেষের দিকে পোর্টসমাউথের ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে বিকল হয়ে পড়ে জাহাজটি। সূত্র: বিবিসি/বিডি প্রতিদিন