a
ফাইল ছবি
আফগান ইস্যুতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তান, ইরান, রাশিয়া ও চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন বসতে যাচ্ছে।
আফগানিস্তান থেকে আকস্মিকভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর চলমান গোলযোগপূর্ণ অবস্থা নিয়ে এই ভার্চুয়াল সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। এতে অংশ নেবেন আফগানিস্তানবিষয়ক চার দেশের বিশেষ প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
গতকাল (শনিবার) ইরান, রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে টেলিফোন আলাপে এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরামর্শ করা হয়। এরপর চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আফগানিস্তান ইস্যুতে খুব শিগগিরই ভার্চুয়াল সম্মেলনে বসার ব্যাপারে একমত হন।
এর আগে, গত মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি ইরান সফরে করেন। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রায়িসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে আফগানিস্তানের ঘটনাবলি ও আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
পরে তিনি এক টুইটার পোস্টে জানান, আঞ্চলিক শান্তি এবং আফগানিস্তানের বিষয়ে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে দেশটির নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়ে কাজ করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এরপর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহিয়ান রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। এসব আলাপে আফগানিস্তানে একটি অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের বিষয় নিয়ে কথা হয়। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
পার্বত্য নাগরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন স্বঘোষিত নাগরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট (অস্বীকৃত) সামভেল শাহরামনিয়ান। এ ঘোষণা আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
১৯১৭ সালে রুশ সাম্রাজ্যের পতনের পর থেকে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। ১৯৯০ এর দশকে এক যুদ্ধের মাধ্যমে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর ২০২০ সালে আর্মেনিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে নাগরনো-কারাবাখের একটা অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান।
সম্প্রতি সামরিক অভিযান চালিয়ে কারাবাখের বাকি অংশের উপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান। এরপর সেখানকার আর্মেনীয় বাসিন্দারা নিরস্ত্র হওয়ার শর্ত মেনে নিয়ে চুক্তি করেছে। এরই ভিত্তিতে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হলো।
প্রজাতন্ত্র বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়ায় নাগরনো-কারাবাখের মানুষেরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে, সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবে এবং অস্ত্র সমর্পণকারী সেনারাও বিনা বাধায় জীবনযাপন করতে পারবে।
স্যামুয়েল শাহরামানিয়ান জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি থেকে নাগরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না এবং এই প্রজাতন্ত্রের সকল দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সূত্র : সিএনএন/বিডি প্রতিদিন।
ফাইল ছবি
দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের ভুগছিলেন আম্পায়ার নাদির শাহ। রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় দিকে মারা গেছেন বাংলাদেশের আইসিসি প্যানেল আম্পায়ার নাদির শাহ। রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
বছরদুয়েক আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগের ম্যাচ পরিচালনা করার সময় মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি মাঠের এই মানুষ। খেলোয়াড়ী জীবনে নাদির শাহ ছিলেন লেগ স্পিনার। সঙ্গে ব্যাটিংও খারাপ করতেন না। ঢাকা লিগে দুই দশকের বেশি সময় খেলেছে আবাহনী, মোহামেডান, বিমান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান ক্লাবের হয়ে। পরে আম্পায়ারিং শুরু করে একসময় হয়ে ওঠেন দেশের এক নম্বর আম্পায়ার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করে ২০০৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় তার। সব মিলিয়ে ৪০টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেন মাঠে দাঁড়িয়ে। টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেন ৬ টেস্ট ও ২৩ ওয়ানডেতে। এছাড়াও ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।
তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিসিবি পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নাদির শাহ (১৯৬৪-২০২১)। আমাদের ভালোবাসার মানুষ, অতুলনীয় নাদির শাহ আর নেই। তার বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি।’