a
ফাইল ছবি
শ্রীলঙ্কার পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুর থেকে বৃহস্পতিবার ই-মেইল মাধ্যমে স্পিকার বরাবর তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। গোতাবায়া যাকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে।
আজ শুক্রবার সেই রনিল বিক্রমাসিংহেই শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তবে স্পিকার জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী শনিবার সংসদ অধিবেশনে ভোটাভুটির মাধ্যমে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন একজন প্রেসিডেন্ট পাবে শ্রীলঙ্কা।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি জয়ন্থা জয়সুরিয়া তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে সিঙ্গাপুর থেকে গোতাবায়া রাজাপাকসের ইমেইলে পাঠানো পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার ঘোষণা দেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে। শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে স্পিকার বলেন, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে ও ১৪ জুলাই থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের বিষয়ে শনিবার সংসদ অধিবেশনের আহ্বান করা হবে। সেইসাথে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, গোতাবায়া রাজাপাকসে গত সোমবার (১১ জুলাই) তার পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। বুধবার (১৩ জুলাই) থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তার পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছে জমা না দিয়েই মালদ্বীপে পালিয়ে যান।
পরে সেখানেও তীব্র প্রতিবাদের মধ্যে পড়ে বৃহস্পতিবার সৌদি বিমানে করে সিঙ্গাপুর চলে যান গোতাবায়া। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ই-মেইলে স্পিকারের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। সূত্র: বাসস
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরায়েলিদের যে আচরণ করছে তা বর্ণবাদী যুগের দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে মিল রয়েছে। ফ্রান্স ২৪ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানায় আল জাজিরা।
রামাফোসা বলেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চায়। তারা চায় তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র। তারা তাদের নিজস্ব বিষয়গুলি পরিচালনা করতে এবং স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হতে চায়। প্যালেস্টাইনিরা আর সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না।
তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলিরা যেভাবে ফিলিস্তিনিদের অধিকার অস্বীকার করে আসছে, যেভাবে তারা ফিলিস্তিনিদের এলাকায় বোমাবাজি করে যাচ্ছে- তাতে একে সহজেই কেউ বর্ণবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলিরা কী আচরণ করছে তা বর্ণনা করার মতো আমার আর কোনও রেফারেন্স পয়েন্ট নেই।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানালেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে। যদিও দাবি করা হয় বাইডেন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ প্রয়োগ করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরাইল হামাস নেতাদের হত্যার চেষ্টায় যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। গাজায় ইসরাইল হামলা অব্যাহত রেখেছে। শিশু, নারী, সাংবাদিকসহ ২২০ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে অপরকে সমালোচনা করেছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার
সংগৃহীত ছবি
আমেরিকান সৈন্যসহ ন্যাটোবাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবাদের দাপট জোরালো হওয়ায় শত শত আফগান সেনা পালিয়ে যাচ্ছেন।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের সাথে যুদ্ধে টিকতে না পেরে এক হাজারেরও বেশি আফগান সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, তাজিক কর্মকর্তারা জানান, আফগান প্রদেশ বাদাখশানের কয়েকটি জেলায় যুদ্ধের পর 'জান বাঁচানোর' তাগিদেই এসব আফগান সৈন্য তাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আফগানিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন তালেবানের দখলে, এবং প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন জেলা সরকারি বাহিনীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবাদের দাপট জোরালো হওয়ায় শত শত আফগান সৈন্য পালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গতকাল রবিবার একদিনে সর্বাধিক সেনা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। যুক্তরাষ্ট্র বাগরাম বিমানঘাঁটি খালি করে দেওয়ার দুই দিন পর এই ঘটনা ঘটলো।
সৈন্যদের এভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাজিকিস্তান যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কতজন সৈন্য দেশটিতে পালিয়ে গেছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি মার্কিন সমর্থিত আফগানিস্তান সরকারের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
এদিকে আশংকা করা হচ্ছে, তালেবানের সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াই যদি আরও তীব্র হয়, তাহলে শরণার্থীর ঢল সীমান্ত অতিক্রম করে আশেপাশের দেশে চলে যেতে পারে। আর মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এখন থেকেই সেই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।