a
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফাইল ছবি
প্রাথমিকভাবে ভোট গননায় অনেক ব্যবধানে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ভোট প্রবণতায় ২০৮টি আসনে এগিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ১০০টি আসন পার করতে পারেনি বিজেপি। দলটি এগিয়ে ৮০ আসনে।
এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে প্রশান্ত কিশোরের দাবিই মিলতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। রাজ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছে ২৯২ আসনে। এর মধ্যে ২০৮ আসনে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যের সরকার গঠন করতে দরকার ১৪৮ টি আসন, যা ইতোমধ্যে অর্জন হয়ে গেছে তৃণমূলের।
ফাইল ছবি
আরো বড় পরিসরে টিকাদান কর্মসূচি চালানোর জন্য করোনা টিকার পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন দেওয়া হলে এবং এখনো বাকি থাকা ৮ থেকে ৯ কোটি নাগরিককে টিকার আওতায় আনা গেলে, আগামী বছরের শুরুর দিকেই যুক্তরাষ্ট্র করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবে বলে আশা করছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি।
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের (এফডিএ) পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পাওয়ার পরদিন মঙ্গলবার কয়েকটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ফাউচির এমন বক্তব্য এসেছে।
ফাইজারের টিকা পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পাওয়ায় এখন আরো বেশিসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনার সুযোগ তৈরি হলো। মডার্না আর জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকাও শিগিগরই পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসছে হেমন্তে শিশুদের টিকা দেওয়ার অনুমতিও হয়তো মিলে যাবে।
এনবিসি নিউজের ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ফাউচি বলেন, ‘যে ৮ বা ৯ কোটি মানুষ এখনো টিকার বাইরে রয়েছেন, যারা টিকা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বা সুযোগ পাচ্ছেন না, তাদের বড় অংশকে যদি আমরা টিকা দিয়ে ফেলতে পারি, আমার বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত আমরা আশার আলো দেখতে পাব। আমরা এ পরিস্থিতি বদলে দিতে পারব।’ স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ উপদেষ্টা ফাউচি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজজেস-এর প্রধান।
এমএসএনবিসিকে তিনি বলেছেন, মডার্না আর জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড টিকা তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যেই এফডিএর পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে তার ধারণা। হয়তো কয়েক সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যেই সেটা হয়ে যাবে। বছরের শেষে ছুটির মওসুম শুরু হয়ে যাওয়ার আগেই কম বয়সিদের জন্য ফাইজার আর মডার্নার টিকা দেওয়ার অনুমোদন মিলে যাবে বলে মনে করছেন ফাউচি।
ফাইল ছবি
বর্তমান বিশ্বে মানুষের কাছে বহুল জনপ্রিয় ডিভাইস হলো অ্যাপল আমেরিকান এই টেক জায়ান্ট অ্যাপল গত বছর ঘোষণা দিয়েছিল, তারা আইফোনের সঙ্গে আর চার্জার অ্যাডাপ্টর দেবে না। এ খবর সামনে আসার পর অনেকে অ্যাপলের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল। আইফোনের দাম এত বেশি, তার ওপর সঙ্গে চার্জার না মিললে অসন্তোষ তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। অ্যাপল এবার জানিয়ে দিল চার্জার অ্যাডাপ্টর না দেওয়ার কারণ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউ ও বিজনেস টুডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কারণে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাওয়ার অ্যাডাপ্টারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে আছে প্লাস্টিক, কপার, টিন ও জিংক। এসব উপকরণ পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। এ কারণে চার্জার সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চার্জার বিহীন আইফোনের বাক্সটির আকারও ছোট হয়ে যায়, ফলে অ্যাপল মনে করে সম্পূর্ণ প্যাকিং প্রক্রিয়াও অনেক সহজসাধ্য এবং দ্রুত হয়।
এ বিষয়ে অ্যাপলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘চার্জার না দেওয়ার বিষয়টি ছিল অ্যাপলের সাহসী এক সিদ্ধান্ত এবং আমাদের গ্রহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।’
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকার কুপার্টিনো শহরে অ্যাপলের অফিস। সেই শহরে ২০১৯ সালে কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমনকে ২৫ দশমিক ১ মিলিয়ন টন থেকে ২২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টনে নামিয়ে এনেছিল।
অ্যাপল বলছে, তারা অষ্টম জেনারেশন আইপ্যাডের জন্য আরও বেশি এনার্জি এফিসিয়েন্ট চার্জারে পরিবর্তিত হয়েছে—এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যার জন্য এনার্জি স্টার রেটিং অনুযায়ী প্রয়োজনের তুলনায় ৬৬ শতাংশ কম শক্তি ব্যয় হয়।
গত ১২ বছরে তারা তাদের উৎপাদিত সমস্ত পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিকে ৭০ শতাংশের বেশি হ্রাস করেছে। ভবিষ্যতে এই টেক জায়ান্টের পথেই কি হাটবে অন্যান্য জায়ান্ট কোম্পানিগুলো সে দিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব, যদি সকলে সেই পদক্ষেপই গ্রহন করে। তাহলে পৃথিবী হয়ত কিছুটা হলেও বিষাক্তগ্যাস মুক্ত হতে পারে।