a
ভারত সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে থান্টলাং শহরে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গেরিলাদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলিতে শহরের বহুসংখ্যক ঘরবাড়িতে আগুন ধরে যায়।এতে শহরে বসবাসকারী প্রায় অর্ধেক লোক পালিয়ে গেছে।
সালাই থাং নামে একজন কমিউনিটি লিডার জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সালাই থাং-সহ উদ্বাস্তু হওয়া লোকজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। অনেক লোকজন ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া লোকজন মারাত্মকভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটি মারাত্মক সংকটের মাঝে চলছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেমে থেমে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ফাইল ছবি
মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় নির্বিচারে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
জানা যায়, ভুক্তভোগী পরিবার বা স্থানীয়রা নিহত সব মরদেহ সংগ্রহ করার সংগ্রহ করতে পারেননি। মরদেহগুলো বেশিরভাগ নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষোভকারীদের দমন করতে জান্তা বাহিনী বন্দুকের পাশাপাশি মেশিনগানের গুলি, গ্রেনেড এবং মর্টার ব্যবহার করেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমাদের এলাকার লোকজন জানত তাদের লোকজন আসবে এবং এর জন্য রাতভর অপেক্ষা করছিল কিন্তু তাদের অনেকে ফিরে আসেননি। সেনারা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। মেশিরগান থেকে প্রচুর গুলি করা হয়েছে। তাজা গুলির পাশাপাশি জান্তা বাহিনী গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করছিল বলে জানা যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রাস্তা ফাঁকা করতে সাধারণ পথচারীদের দিকেও গুলি করেছে জান্তা বাহিনী।
অপর আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তারা রাত ৮টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি মরদেহ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বাকিগুলো সেনারা নিয়ে গিয়ে জেয়ামুনি প্যাগোডা এবং কাছাকাছি একটি স্কুলে স্তুুপ করেছে।
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের দলে অবহেলিত ও ত্যাগী নেতাদের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘নৌকা মঞ্চ’ নামে সংগঠনের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেয়।
শনিবার চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবে কাওছার আহম্মেদ বাবলুর সভাপতিত্বে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন, ‘নৌকা মঞ্চ’ সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওছার আহমেদ বাবলু। তিনি বলেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগকে পারিবারিক দলে পরিণত করা হয়েছে। দলে আগমন ঘটেছে হাইব্রিড নেতাদের। বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠী ঢুকে পড়েছে জেলা আওয়ামী লীগে। ফলে মূলধারার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের তিনি জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছেন। স্থানীয় নির্বাচনেও পরিবারের সদস্যদের নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থনও দেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আওয়ামী লীগের ত্যাগী, নির্যাতিত, পদবঞ্চিত নেতাকর্মীকে নিয়ে ‘নৌকা মঞ্চ’ নামে সংগঠনের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন। ৭১ সদস্যবিশিষ্ট সংগঠনের সভাপতি কাওছার আহমেদ বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। সূত্র: সমকাল