a
ভারত সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে থান্টলাং শহরে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গেরিলাদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলিতে শহরের বহুসংখ্যক ঘরবাড়িতে আগুন ধরে যায়।এতে শহরে বসবাসকারী প্রায় অর্ধেক লোক পালিয়ে গেছে।
সালাই থাং নামে একজন কমিউনিটি লিডার জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সালাই থাং-সহ উদ্বাস্তু হওয়া লোকজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। অনেক লোকজন ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া লোকজন মারাত্মকভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটি মারাত্মক সংকটের মাঝে চলছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেমে থেমে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ফাইল ছবি । মোদি, পুতিন ও শি জিনপিং
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দু’জনেই যথেষ্ট অভিজ্ঞ নেতা। ভারত-চীনের মধ্যেকার যে কোন সমস্যা তারা নিজেরাই মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। এই বিষয়ে তৃতীয় কোনো আঞ্চলিত শক্তি না থাকাই ভাল।
শনিবার এসব মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমি জানি ভারত-চীনের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এটা প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে হয়েই থাকে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ব্যক্তিগত ভাবে জানি। তারা অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ।
তিনি আরো বলেন, তারা পরস্পরকে শ্রদ্ধা করেন। আমার বিশ্বাস কোনো সমস্যা তৈরি হলে, তারা ঠিক সমাধানসূত্র নিজেরাই বের করবেন। তবে এটাও দেখা জরুরি, এই ইস্যুতে যেন অন্য কোনো আঞ্চলিক শক্তি প্রবেশ না করে।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রুশ প্রেসিডেন্টের শেষের উক্তিটি আমেরিকার উদ্দেশেই করা হয়েছে। কারণ, ভারত-চীন দ্বন্দ্বে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়ে প্রথম থেকেই বেইজিংয়ের বিরোধিতায় সরব রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া এই চার দেশের তৈরি আঞ্চলিক সংগঠন ‘কোয়াদ’ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কার সঙ্গে কার, কতটা বন্ধুত্ব হবে তা নিয়ে মস্কো আগ্রহী নয়। তবে কোনো একজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত নয়।’ সূত্র: জিনিউজ ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বর্ষবরণে নানা আয়োজনে মুখরিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি: "বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে আজ ১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (১৪ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ।
বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ কে স্বাগত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি-এর নেতৃত্বে সকাল ৯:৩০টায় নববর্ষ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে সমাপ্ত হয়।
নববর্ষের এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার , বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সাংবাদিক, ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা।
শোভাযাত্রায় চারুকলা অনুষদের আয়োজনে সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চড়কি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, গরুসহ বড় গরুর গাড়ির স্থাপত্যসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনসমূহ প্রদর্শিত হয়।
আয়োজনের অংশস্বরূপ সারাদিনব্যাপী বৈশাখী মেলা এবং প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এবারই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন স্টলে স্থান পায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী পণ্য, খাদ্যদ্রব্য ও শিল্পকর্ম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় জমে ওঠে এক প্রাণবন্ত উৎসব। এ বিভাগ পরিবেশন করে হৃদয়ছোঁয়া সঙ্গীত।
নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এছাড়াও, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী উপস্থাপন করে নানা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
বিকাল থেকে জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় সংগীত ও কনসার্টের মনোমুগ্ধকর আয়োজনে মুখরিত হয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। যেখানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে ছিল জনপ্রিয় সঙ্গীত ব্যান্ড " এ্যাশেজ" ।
বৈশাখের রঙে রাঙানো এ আয়োজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেয় উৎসবের এক উচ্ছ্বসিত আবেশ। নববর্ষের এই অনুষ্ঠান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।