a
ভারত সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে থান্টলাং শহরে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গেরিলাদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলিতে শহরের বহুসংখ্যক ঘরবাড়িতে আগুন ধরে যায়।এতে শহরে বসবাসকারী প্রায় অর্ধেক লোক পালিয়ে গেছে।
সালাই থাং নামে একজন কমিউনিটি লিডার জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সালাই থাং-সহ উদ্বাস্তু হওয়া লোকজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। অনেক লোকজন ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া লোকজন মারাত্মকভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটি মারাত্মক সংকটের মাঝে চলছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেমে থেমে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ফাইল ফটো: রাণী এলিজাবেথ, মেগান ও প্রিন্স হ্যারি
নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মারকেল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ এনেছেন। ইতিমধ্যে রাণী এলিজাবেথের পক্ষে সেই অভিযোগের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাকিংহ্যাম প্যালেস।
মেগান মার্কল ও প্রিন্স হ্যারির সেই অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং বিষয়টিতে রানি উদ্বিগ্ন বলে বিবৃতি দিয়েছে বাকিংহ্যাম প্যালেস।
বাকিংহ্যাম প্যালেসের বিবৃতির মাধ্যম দিয়ে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ওই সাক্ষাৎকারের পর বোঝা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান একটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে পার করেছেন। এতে করে বিষয়টি রাজ পরিবারকে ব্যথিত করেছে বলে জানানো হয়। হ্যারি-মেগানের ছেলে অর্চির গায়ের রঙ নিয়ে রাজ পরিবারে উদ্বেগ ছিল বলে যে অভিযোগ মেগান তুলেছেন তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে রাজপরিবার।
তবে এক্ষেত্রে ডিউক অব সাসেক্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগানের বোঝার ভুলও হয়ে থাকতে পারে বলে বিশ্বাস রাজপরিবারের। পারিবারিকভাবে এই ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলতে আহ্বান জানিয়েছেন রানি এলিজাবেথ। কারণ তিনি মনে করেন, তারা (হ্যারি, মেগান এবং তাদের ছেলে অর্চি) সবসময়ই রাজপরিবারের ভালবাসা নিয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সিবিএস টেলিভিশনে ওপরা উইনফ্রিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজপরিবারে ওপর বর্ণবাদের অভিযোগ আনেন মেগান।
অর্চি যখন গর্ভে আসার পর তার গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে তা নিয়ে নাকি উদ্বেগে ছিলেন রাজ পরিবারের অনেক সদস্য। এমন পরিস্থিতিতে মেগান এতোই অসহায় বোধ করছিলেন যে, তিনি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারও ভেবেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে মেগান বলেন, আমি যখন অন্তঃসত্ত্বা, আমার দিনগুলো একই রকম ছিল, বারবার ওই কথাগুলো ঘুরেফিরে আসছিল—‘তুমি নিরাপত্তা পাবে না, কোনো খেতাবও পাবে না’। আর যখন ওর জন্ম হবে, ওর গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে সেসব নিয়ে তাদের আলাপ আর উদ্বেগও তো ছিলই।
তবে রাজপরিবারের কে বা কারা গায়ের রঙ নিয়ে ওই উদ্বেগের কথা বলেছিল, তা প্রকাশ করতে চাননি মেগান। প্রসঙ্গত রাজপরিবার ছেড়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন মেগান ও হ্যারি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হ্যারি-মেগান দম্পতি ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতিনিধিত্ব আর না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। স্বাধীন জীবনযাপন করতে তারা রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যান।
সংগৃহীত ছবি
ভারতের উত্তর প্রদেশের হারদুই অঞ্চলে গুলিভর্তি বন্দুক থুতনির সঙ্গে লাগিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে মারা গেছেন এক নারী। নিহত নারীর নাম রাধিকা গুপ্তা (২৬)। ট্রিগারে চাপ পড়ে বন্দুকের গুলিতে তার ঘাড় মাথা-মগজ উড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) স্বামীর বাড়িতে এই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির শক্তিশালী গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, বন্দুক দেখার পর রাধিকার শখ চাপে থুতনির সঙ্গে নল লাগিয়ে ছবি তুলবেন। তাও সেলফি। দারুন উৎসাহ নিয়ে প্রস্তুতি নেন তিনি। কিন্তু হায় কে জানতো, এই সেলফি তোলার উৎসবই হতে যাচ্ছে তার শেষযাত্রার শুরু! একহাতে মোবাইল ক্যামেরা অন্যহাতে বন্দুকের ট্রিগারে তার। এই সময় অসতর্কতাবশত ট্রিগারে আঙ্গুলের চাপ লাগায় গুলি বেরিয়ে যায়। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে বেরুনো গুলি তার গলা ও ঘাড় ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাধিকার শ্বশুর রাজেশ গুপ্তা জানান, তার ছেলে আকাশ গুপ্তার সাথে রাধিকার বিয়ে হয় চলতি বছরের মে মাসে। শহরে তাদের ছোটো গহনার দোকান আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তাদের ১২-বোর একনলা বন্ধুকটি থানায় জমা রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আকাশ সেটা বাড়িতে ফেরত আনে। বন্দুকটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ছিল। বিকেল ৪টার দিকে আমরা গুলির প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাই। দৌড়ে উপরে যাই। দেখি রাধিকা রক্তে ভাসছে। গুরুতর আহত। বন্দুক হাতে নিয়ে সে মেঝেতে পড়ে আছে। সামনে তার মোবাইল দেখতে পাই যা সেলফি তোলার জন্য রাখা ছিল। আমরা দ্রুতই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারিনি।
পুলিশ বন্দুক ও মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছে। ইতোমধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ভিকটিমের ফোন থেকে একটি ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে যা তার মৃত্যুর সম্ভবত কয়েক সেকেন্ড আগে তোলা হয়েছিল। পুলিশ এই ঘটনায় রাধিকার স্বামী আকাশকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আকাশ জানান, তার স্ত্রী বন্দুক দেখার পর থেকেই ব্যাপক উৎসাহ দেখাচ্ছিল। সে বন্দুক পাশে রেখে বেশ কয়েকটি ছবিও তুলেছিল। আরও ছবি তোলার জন্য উদগ্রীব ছিল। কিন্তু সেলফি তোলার একপর্যায়ে অসতর্কতায় ট্রিগারে আঙ্গুলের চাপ পড়ে গুলি বেরিয়ে যায়।
এদিকে রাধিকার বাবা তার মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি থানায় অভিযোগ দায়েরে বলেছেন, স্বামীর বাড়ির লোকজনই যৌতুকের জন্য রাধিকাকে খুন করেছে। পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফরেনসিক রির্পোটের পর এই ঘটনার সম্পর্কে তারা আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।