a
ফাইল ছবি । নেহানিয়াহু
ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে ১১ দিনের যুদ্ধে ভয়াবহ রকেট হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরায়েল বাহিনী। ইহুদিবাদী দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের ভয়াবহ রকেট ঠেকাতে না পেরে শেষে যুদ্ধবিরতির জন্য আমেরিকার কাছে ধর্না দিয়েছিলেন বলে সংবাদ মাধ্যম ইয়েদিয়োথ অহরোনথ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের ভয়াবহ রকেট হামলার মুখে যুদ্ধের ১১তম দিনে নিরুপায় হয়ে আমেরিকার মধ্যস্থতার জন্য জোর তৎপরতা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে যা ধারণা করেছিল, এক্ষেত্রে বাস্তবতা ছিল তার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই ইসরায়েল এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমেরিকার দ্বারা সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
পত্রিকাটির তথ্য অনুসারে, ইসরায়েল জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য বারবার যোগাযোগ করেছে, যাতে আমেরিকা মিশর এবং আরো কয়েকটি দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করে। তবে লক্ষ্যনীয় যে, সেসময় কোন এক রহস্যে জো বাইডেন প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহ দেখাননি। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের দ্বারা কোনঠাসা হয়ে চীনের দ্বারস্থ হয়েছে। এরইমধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা দখলে করে নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তারা একজোট হয়েছে যুদ্ধ পরিচালনা করছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে।
ফলে জান্তা সরকার অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় চীন সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে বর্তমানে সেনাশাসিত সরকার। দেশটিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চেন হাইয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়েসহ কয়েকজন সামরিক শীর্ষকর্তা।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, দু’দেশের জন্য লাভজনক যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন, সীমান্তে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং আইনের শাসন বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অং সান সু চি’র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তখন থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নানা প্রান্তে শুরু হয়ে যায় বিদ্রোহ। সম্প্রতি উত্তর মিয়ানমারের শান এবং সাগিয়াং প্রদেশে সাফল্যের পরে পশ্চিমের চীন এবং রাখাইন প্রদেশেও হামলা শুরু করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নতুন জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’।
চলতি মাসে ওই জোট আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই অন্তত পাঁচটি প্রদেশ দখল করেছে বিদ্রোহী জোটগুলো। চীনে চলাচল মূল সড়কটিও তাদের দখলে। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে চীনকে বুঝানোর চেষ্টা করছে জান্তা সরকার। এই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনে চীনের দারস্থ হয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী পদত্যাগ করেছেন— খবরটি গুজব নাকি ভিত্তিহীন এসব নিয়ে দল ও দলের বাইরে নানান আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী পদত্যাগ করেননি।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এনসিপির সূত্রের বরাত দিয়ে পাটোয়ারীর পদত্যাগের খবর প্রকাশিত হয় এবং সেখানে বলা হয়, প্রায় ২ সপ্তাহ আগে তিনি দলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে তার পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, এই সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।
একইভাবে দলের সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘কনফার্ম করছি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর পদত্যাগের যে সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে, তা গুজব ছাড়া আর কিছুই না। এমন অসত্য ও ভিত্তিহীন খবরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ সূত্রঃ যুগান্তর