a
ফাইল ছবি । নেহানিয়াহু
ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে ১১ দিনের যুদ্ধে ভয়াবহ রকেট হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরায়েল বাহিনী। ইহুদিবাদী দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের ভয়াবহ রকেট ঠেকাতে না পেরে শেষে যুদ্ধবিরতির জন্য আমেরিকার কাছে ধর্না দিয়েছিলেন বলে সংবাদ মাধ্যম ইয়েদিয়োথ অহরোনথ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের ভয়াবহ রকেট হামলার মুখে যুদ্ধের ১১তম দিনে নিরুপায় হয়ে আমেরিকার মধ্যস্থতার জন্য জোর তৎপরতা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে যা ধারণা করেছিল, এক্ষেত্রে বাস্তবতা ছিল তার সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই ইসরায়েল এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমেরিকার দ্বারা সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
পত্রিকাটির তথ্য অনুসারে, ইসরায়েল জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য বারবার যোগাযোগ করেছে, যাতে আমেরিকা মিশর এবং আরো কয়েকটি দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করে। তবে লক্ষ্যনীয় যে, সেসময় কোন এক রহস্যে জো বাইডেন প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহ দেখাননি। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমনে নিজ সৈন্যদের নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েল থেকে শতাধিক সেনা ও কয়েকজন বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান সহিংস অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ১৪ মে পেন্টাগন সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েল থেকে ১২০ জন সেনাকে একটি সি-১৭ উড়োজাহাজে করে জার্মানির মার্কিন ঘাঁটিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব সেনা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে ইসরায়েলে গিয়েছিলেন।
মার্কিন সেনা সদরদফতরের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, এসব সেনা ইতোমধ্যে জার্মানির রামস্টেইন ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। ইসরায়েলিদের সাথে পরামর্শ করেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এদিকে আমেরিকা থেকে ইসরায়েলে ভ্রমনে দেশটির সাধারণ জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে।
গত বুধবার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছিল,ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু’র সাথে ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সূত্রে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদারদের হামলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জন। এর মধ্যে ৩১টি কোমলমতি শিশুও রয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ছয়শ’রও বেশি ফিলিস্তিনি।
বর্বর এই হামলার এই হামলার জন্য বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া মুক্তিকামী সংগঠন হামাস মুসলমানদের উপর হামলারস্বরুপ তেল আবিবে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: পার্স টুডে, আল জাজিরা
সংগৃহীত ছবি
শাটডাউনের ঘোষণা আসবে এমন খবর শুনেই রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকালে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে মানুষের ঢল নামে।
চলাচলে বাস বন্ধ থাকায় কয়েক ধাপে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছে সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এতো কিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছেনা মানুষের ঢলকে।
সকালে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা- মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড। সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটছে সাধারণ মানুষ। শাটডাউনের কথা শুনেই আগে আগে রাজধানী ছাড়ার চেষ্টা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন না পেয়ে অনেকেই আবার কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহনে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।