a
সংগৃহীত ছবি
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর সেদেশ থেকে ছেড়ে যাচ্ছেন সরকারি লোকজন ও মার্কিন বাহিনী। তাদের সহযোগিতা কারতে ও নিরাপত্তা দিতেই কাবুলের আকাশে একে একে চক্কর দিচ্ছে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে অভিযান অব্যাহত আছে, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কাবুলের আকাশে মার্কিন যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো কাবুল শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে।
জন কিরবি বলেন, যেকোনো হুমকি থেকে আমাদের লোকজন ও অভিযানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে নতুন সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটির তিনটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। তালেবান সরকারপ্রধান হচ্ছেন মোল্লা বারাদার তালেবানের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব ও শের মোহাম্মদ আব্বাস স্ট্যানেকজাই সরকারের জ্যেষ্ঠ পদে বসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হবে আজ শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর)। এরইমধ্যে মন্ত্রিসভার চার সদস্যের নামও ঘোষণা করেছে তালেবান। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ এবং মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কার মধ্যেই ক্ষমতা গ্রহণের তিন সপ্তাহের মাথায় অবশেষে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে গোষ্ঠীটি। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এখন চলছে তালেবান সরকার গঠনের সর্ব্বোচ্চ প্রস্তুতি।
সংগঠনটির সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনদজাদা হবেন দেশটির প্রধান নেতা। তার ডেপুটি থাকবেন তিনজন। তারা হলেন শীর্ষ নেতা মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার, প্রভাবশালী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজিুদ্দিন হাক্কানি এবং মৌলবী ইয়াকুব। এছাড়া আগেই ঘোষিত চার মন্ত্রী হলেন, অর্থমন্ত্রী গুল আগা, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাকির ও ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি।
গেল ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করে নেয়ার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় তালেবানের। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে, পানশিরে নিয়ন্ত্রণে নিতে তালেবান ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। আর কাজের অধিকারের দাবিতে হেরাতে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা।
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় গত ১ বছরে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর ব্যাংক হিসাব বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজারেরও অধিক, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি। গত মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২, যার মধ্যে ৭২ হাজার ৭৮০ জন বা ৭৭ শতাংশই বেড়েছে গত ১২ বছরে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। চলতি বছরের মার্চ শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২ জন। ফলে করোনার গত ১ বছরে দেশে নতুন কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন। এর মধ্যে চলতি মাসের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বেড়েছে ৩৮২ জন।
আর স্বাভাবিক সময়ে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছিল মাত্র ছয় হাজার ৩৪৯ জন। আর ২০২০ সালের পুরো সময়ে বেড়েছিল এক হাজার ৫১ জন। এর মানে করোনাকালেই কোটিপতি আমানতকারীর হিসাবের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২১ হাজার ৪৯২ জন। এ হিসাবে গত ১২ বছরে দেশে নতুন কোটিপতি বেড়েছে ৭২ হাজার ৭৮০ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, গত মার্চ শেষে দেশে মোট আমানত হিসাব দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭টি। এসব হিসাবের বিপরীতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন