a
সংগৃহীত ছবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যভিত্তিক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কাসেয়াকে টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা হানট্রেস ল্যাবস। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
হানট্রেস ল্যাবস জানিয়েছে, সাইবার হামলার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে বের করা হবে। রেভিল নামে রাশিয়ার একটি সংস্থা এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এই ঘটনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা ও অবকাঠামো বিষয়ক সংস্থা এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, হ্যাকারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেল থেকে এই সাইবার হামলা শুরু হয়। কাসেয়া জানিয়েছে, এ হামলার কারণে তাদের কর্পোরেট সার্ভার, ডেস্কটপ কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক ডিভাইস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আরও ক্ষতি ঠেকাতে নিজেদের কর্মীদের ভিএসএ সিস্টেম ব্যবহার করে সার্ভার বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই সাইবার হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ১০টিরও বেশি দেশের ১০ হাজারের মতো গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হানট্রেস ল্যাবসের সিনিয়র সিকিউরিটি রিসার্চার জন হ্যামন্ড রয়টার্সকে পাঠানো এক ই-মেইলে বলেন, এই হামলার কারণে আমাদের কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।
ফাইল ছবি
১৫ মার্চকে ইসলামোফোবিয়ার (ইসলামভীতি) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবস ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব ঐক্যমতের ভিত্তিতে গৃহীত হয়।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি পাকিস্তান থেকে উত্থাপন করা হয়েছিল। ওআইসির ৫৭টি সদস্য দেশ এবং চীন ও রাশিয়াসহ অন্য ৭টি দেশ প্রস্তাবটিতে সমর্থন করে। খবর ডনের।
জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানালেও ভারত, ফ্রান্স এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা প্রস্তাবটিতে আপত্তি জানিয়েছে। তারা বলেছে, যেখানে সারা বিশ্বে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে সেখানে এই প্রস্তাবে অন্য ধর্ম বাদ দিয়ে শুধু ইসলামকে আনা হয়েছে।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত টিএস ত্রিমুর্তি অভিযোগ করেছেন, এই প্রস্তাবে অন্য ধর্মের সঙ্গে হিন্দুফোবিয়ার বিষয়টি আনা হয়নি। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
ইউরোপে বিদ্যুৎগতিতে ছড়াতে থাকা ওমিক্রন আগামী বছরের শুরু থেকেই ফ্রান্সে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ কাসতেক্স। শুক্রবার তার এ সতর্কবার্তার কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে প্রবেশে কড়াকড়ি শুর হয়।
ইউরোপে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে; শুক্রবারও দেশটিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দেহে ভ্যারিয়েন্টটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে জার্মানি, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের সরকারও শুক্রবার নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে। ইউরোপে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৯০ লাখের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ। ফ্রান্স, নরওয়ে ও ডেনমার্কে দৈনিক শনাক্ত বাড়তে দেখে দেশগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ অ্যাখ্যা দিয়েছে জার্মানির জনস্বাস্থ্য সংস্থা।
শনিবার দেশটি আরো ৪২ হাজার মানুষের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানালেও এই সংখ্যা আগের দিনের ৫০ হাজারের তুলনায় কম।
কয়েকদিন আগে ইতালি, গ্রিস ও পর্তুগাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আগতদের ক্ষেত্রে শনাক্তকরণ পরীক্ষা নেগেটিভ ফল আসার প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে। যারা টিকার দুই ডোজ নিয়েছে, তাদেরও এ প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় ফ্রান্স টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যবধান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রেস্তোরাঁ ও দূরপাল্লার গণপরিবহনে প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকার সবগুলো ডোজ নেওয়ার প্রমাণপত্রও লাগবে। নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে ‘কঠোর লকডাউন’ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেছেন, ফ্রান্সের মতো নেদারল্যান্ডসেও জানুয়ারির মধ্যেই ওমিক্রন অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোকে হটিয়ে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। নভেম্বর থেকেই নেদারল্যান্ডসে বাস, রেস্তোরাঁ ও বেশির ভাগ দোকানপাট বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। বড়দিনের আগেই এ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও ইউরোপের সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে ঐ বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।