a
ফাইল ছবি
গোলাগুলি নেই, বোমবর্ষণও নেই। তারপরও আতঙ্ক কাটছে না। ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে এখনো আতঙ্কে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষত মিশ্র অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক ভয় কাজ করছে ইসরায়েলের মধ্যে। বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের দোকান থেকে রুটি পর্যন্ত কিনছেন না ইসরায়েলি নাগরিক। ইসরায়েলির দোকানে যাচ্ছেন না ফিলিস্তিনিরা। একের অপরের প্রতি নতুন করে বিশ্বাস গড়তে অনেক সময় লাগবে।
ইসরায়েলের মিশ্র অঞ্চলের বহু মানুষ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী সমাধান নয়। মূল সমস্যার সমাধান না হলে ফের লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে। সহিংসতার সম্ভাবনা এখনো উড়িয়ে দেয়া যায়না।
রাজধানী তেল আবিবের প্রান্তে বহু ফিলিস্তিনি থাকেন। সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, রাস্তায় নামলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। স্বাধীনভাবে চলাফেরা পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। জেরুজালেমের পূর্ব অংশের ছবিও একই রকম। সেখানেও বহু ফিলিস্তিনি বাস করেন। কিছুদিন আগে সেখান থেকে হাইফা শহরে গেছেন সামাহ।
সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, জেরুজালেমে নিজের কৌমের মধ্যে থাকার সুযোগ থাকলেও, হাইফাতে সেই সুযোগ নেই। হাইফার জনগণকে জাতিবিদ্বেষের শিকার হতে হয়।
অভিযোগ, পুলিশও বিদ্বেষপূর্ণ মনোবভাব দেখায়। রাস্তায় বের হলেই নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। বস্তুত, লড়াইয়ের সময় এই অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই গোষ্ঠীই একে অপরের উপর আক্রমণ করেছিল।
এদিকে, দুই দিন যুদ্ধবিরতির পর খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির মাউন্ট। ওই মন্দিরের পাশেই আল আকসা মসজিদ। পুলিশ দর্শনার্থীদের এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছে মন্দিরে। এই অঞ্চলটিতে গত সপ্তাহে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল এবং মসজিদ ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
মুসলমানদের কাছে এই অঞ্চলটি অনেক পবিত্র। তাই নতুন করে মসজিদ খুলে দেওয়ার ফলে সেখানে সামান্য উত্তেজনা হয়েছিল। তবে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি দুই অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
ফাইল ছবি: পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার এক টুইট বার্তায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপতি নিজেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেন, ‘আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছি। আল্লাহ সকল আক্রান্তদের প্রতি দয়া বর্ষণ করুক। আমি গেল করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি। তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে। যেটা আরও এক সপ্তাহ পর নিবো। দয়া করে সবাই সতর্ক থাকুন।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল।
চলতি মাসের শুরুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীও আক্রান্ত হলেন।
ফাইল ছবি: রবিনের পরিবার
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব) তানভীর আহমেদ রবিনের সন্ধান জানতে ডিবি পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা।শনিবার রাত ৪টার দিকে তার পরিবারের সদস্যদের রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিবি পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দেখা গেছে।
বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ সদস্য রয়েছেন। এদিকে শনিবার দিনগত রাত তিনটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন রবিনকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, তানভীর আহমেদ রবিন শনিবার রাত ১২টার দিকে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হন। এরপর মোটরসাইকেলে করে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে রওয়ানা হন। তখন আগে থেকে কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে অবস্থান করা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে ঘিরে ফেলে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে শুনেছি।
তিনি বলেন, সেখানে উপস্থিত অনেক লোক এ ঘটনা দেখেছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সেটি নিশ্চিত হয়েছি। কিন্তু ডিবি পুলিশ তা স্বীকার করছে না। তুলে নিয়ে স্বীকার না করার এই ব্যাপারটি মনুষ্যত্বহীন কাজ। অথচ এ কাজটি তারা ধারাবাহিকভাবে করছে।
এসময় রবিনকে অবিলম্বে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান রিজভী। অন্যথায় চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের এলাকা থেকে দলের ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করছে বিএনপি।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এই খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন।
এসময় মির্জা আব্বাস দাবি করেন, সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে যারা বের হয়েছে, তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর