a
ফাইল ছবি
রাশিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, গত একদিনে রুশ বাহিনী উচ্চমাত্রার ক্রুজ মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি কমান্ডের ওপর আক্রমণ করায় জেনারেলসহ ৫০ জনের বেশি সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
রোববার রুশ বাহিনী দোনেৎস্ক ও খারকিভে এই আক্রমণ চালায়। খবর আরটি রিপোর্টের।
মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনের দোনেপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের শিরোকায়া দাচা গ্রামের কাছে এ হামলা চালানো হয়। স্ট্রাইকটি ওই কম্পাউন্ডে আঘাত হানে, যেখানে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি ইউনিটের কমান্ডাররা বৈঠকে বসেছিলেন।
ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহরে গত ১০ দিনে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে সরবরাহ করা ১০টি হাউইটজার কামান এবং ২০টি সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়া। খবর বিবিসির।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পূর্ব দোনবাসের ক্রেমেনচুক এবং লাইসিচানস্কে অঞ্চলে অবস্থিত ওই তেল শোধনাগার ও জ্বালানি ডিপোতেও হামলা চালানো হয়। ওই তেল শোধনাগার ও জ্বালানি ডিপো থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে সরবরাহ করা হতো। সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লংমার্চে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কয়েকটি টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, কিছু মানুষের সহায়তায় আহত ইমরান খানকে একটি গাড়িতে তোলা হয়। ইমরান খানের পায়ে ব্যান্ডেজও দেখা গেছে।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঞ্জাব পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
গত ২৯ অক্টোবর ইসলামাবাদ অভিমুখে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান লং মার্চ শুরু করেন। লাহোর লিবার্টি চক থেকে এই লংমার্চ শুরু হয় । চলতি বছরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এটি দ্বিতীয় লং মার্চ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: ভাসানচর অঞ্চলের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াসে ভাসানচরকে একটি ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছে একটি কুচক্রী মহল। উক্ত বিষয়টি নিয়ে হাতিয়াবাসীর পক্ষে হাতিয়া দ্বীপ সমিতি, ঢাকার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাহেদুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আজ ৯ই এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন হাতিয়া দ্বীপ সমিতি এবং হাতিয়ার সকল সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠন গুলো।
হাতিয়া, নোয়াখালী জেলার অর্ন্তগত মেঘনার পলিবাহিত দ্বীপ। হিমালয় থেকে আসা লক্ষ টন পলি হাতিয়ার চারপাশে অনেকগুলো দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মত প্রাচীন দ্বীপ যা ফেনী নদীর মোহনায় অবস্হিত। বিভিন্ন স্যাটেলাইট ভিউ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হাতিয়ার আয়তন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মূলত হাতিয়ার সীমানা সেই প্রাচীনকাল থেকে ছিল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে শাহাবাজপুর, উত্তরে কালাইয়া নদী এবং পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেল যেটা ফেনী নদী থেকে এসে মেঘনার মোহনায় স্বর্ণদ্বীপের পূর্ব সীমানায় মিলিত হয়েছে।
১৯৬০-এর দশক হতে হাতিয়ার নদী ভাঙন সমস্যা তীব্রতর হয়ে ওঠে। ভাঙনে বিগত প্রায় ৬৮ বছরে হাতিয়ার বিশাল এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ‘সাহেবানীর চর' নামে হাতিয়ার পূর্ব পার্শ্বে একটি চর ভেঙে সম্পূর্ণরূপেই বিলীন হয়ে গেছে মেঘনায়। আজকের ভাসানচর মূলত ভেঙ্গে যাওয়া সাহেবানীর চর, রাধাখালি, চিত্রাখালি, বাথানখালি, মাইজচরা, চরভারতসেন, চৌরঙ্গী, মফিজয়া, সুখচর, নলচিরা, গোডাউন বাজার এর জেগে উঠা চর।
ভূমি রেকর্ড ও জরীপ অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে ২০১৬-২০১৭ সালের দিয়ারা জরীপে নবসৃষ্ট ভাসানচর অংশটি সঠিকভাবে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ভূমি রেকর্ড ও জরীপ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৬-২০১৭ সালে নবসৃষ্ট ভাসানচর অংশটির (ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা ও কেওডার চর) দিয়ারা জরীপ সম্পন্ন করা হয়। উক্ত দিয়ারা জরীপের রেকর্ড ১৮/০৪/২০১৮ তারিখে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত গেজেটে ভাসানচর অংশের ৬টি মৌজা নোয়াখালী জেলাধীন হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
২০১৮ সালে জনৈক সন্দ্বীপবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আইন ভিত্তিক সমাধানের জন্য রুল জারি করে। পরবর্তীতে সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে গত ০৯/০২/২০২১ সালে ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট নোটিশ জারি হয়েছে। ভাসানচর অংশের সর্বশেষ জরীপ অনুযায়ী বর্ণিত ৬টি মৌজা নিয়ে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের অধীন ভাসানচর থানা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গঠিত হয়, যা ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর দূরভিসন্দিমূলকভাবে গত ২৩/০৩/২০২৫ তারিখে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস চট্টগ্রাম, নোয়াখালী (হাতিয়া) ও চট্টগ্রাম (সন্দ্বীপ) অংশের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রেরণ করে এবং একই তারিখে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (রাজস্ব শাখা) আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির নিমিত্তে গঠিত কমিটির ১ম সভার কার্য বিববরণীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আদেশ জারি করেন, যা সুস্পষ্ট প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি।
সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়, চট্টগ্রাম এর ২৩ মার্চ ২০২৫ তারিখের ১৩০(২) নং স্মারকের প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতদৃষ্ট। ১৯২৯ সালের সঠিক সি.এস ম্যাপ, ১৯৫৪ সালের নোয়াখালী জেলা থেকে সন্দ্বীপ থানা পৃথকীকরণ আদেশ ও এর সুস্পষ্ট ভৌগলিক বিভাজন, ২০১৬-২০১৭ সালের ভাসানচরের দীয়ারা জরীপ ও ম্যাপ এবং হাতিয়া ও সন্দ্বীপ উপজেলার সর্বশেষ ম্যাপ পর্যালোচনা না করে শুধু অনুমান নির্ভর বিকৃত সি.এস ম্যাপ ও গুগল ম্যাপ এর উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দাখিল করায় আমরা হাতিয়াবাসী হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার অনুকূলে দিয়ারা জরীপ সম্পাদন করে চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশ ও হাতিয়া উপজেলাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভাসানচর থানা গঠন শান্তিপূর্ণ ও বিরোধ ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল অত্র অঞ্চলের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াসে ভাসানচরকে একটি ইস্যু হিসেবে সামনে এনেছে যা অনভিপ্রেত।
এরই প্রেক্ষিতে হাতিয়াবাসীর পক্ষে হাতিয়া দ্বীপ সমিতি, ঢাকার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাহেদুল আলম সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময়ে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির অন্যান্য কর্মকর্তারা, কার্যকরী সদস্যরা এবং হাতিয়ার সাংবাদিক আমাদের সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।