a
ফাইল ছবি। ভ্লাদিমি পুতিন
সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়ার ওপর 'আস্থা' রাখার জন্য রুশ জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার পুতিন রুশ জনগণকে ধন্যবাদ জানান। খবর রয়টার্সের
রোববার সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে টেলিভাইজড বৈঠক করেন পুতিন। নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠককালে পুতিন বলেন, ‘আমি রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতার কথা বলতে চাই। প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের আস্থার জন্য ধন্যবাদ।’
রাশিয়ায় সংসদ নির্বাচনে পুতিনের ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া জয় পেয়েছে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দলটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ইউনাইটেড রাশিয়া ২০১৬ সালের সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভাল ফলাফল করতে পারেনি। কারণ, গত নির্বাচনে দলটি ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল।
এবারের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছবি সংগৃহীত: সুপ্রিম কোর্ট, ভারত
ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদরাসা বন্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্ব গঠিত একটি বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছে ওই রাজ্যের ১৬ হাজার মাদরাসার ১৭ লাখ শিক্ষার্থী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার বলেন, মাদরাসা বোর্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ লঙ্ঘন করছে বলে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তা সঠিক নয় বলে জানান।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, মাদরাসায় মানসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া হয় না, এমনটি বলা ভুল। আবার মাদরাসা সর্বজনীন ও বিস্তৃত নয় এমনটিও বলা যাবে না। এছাড়া মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার যে নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্ট দিয়েছেন, সেটি বৈষম্যমূলক রায় বলা হয়।
এদিকে, মাদরাসা বন্ধে কেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও উত্তর প্রদেশ সরকারকে জবাব দিতে নোটিশ পাঠিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে শুনানির জন্য জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই পর্যন্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে ও মাদরাসাগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে কোন সমস্যা নেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি: জোহরা বিবি
৮৫ বছরের বয়োবৃদ্ধা ১৫ সন্তানের জননী জোহরা বিবি ৩৬ বছর যাবৎ ভাত না খেয়েই বেঁচে আছেন। সাতক্ষীরা জেলা শহরতলী কুখরালী গ্রামের ওই বৃদ্ধা এখনো দিব্যি সুস্থ রয়েছেন। ভাত না খাওয়ার বিষয়ে জোহারা বিবি বলেন, ‘আমার আব্বা মান্দার মোড়ল ভারতের বশিরহাট থানার মেজ দারোগা ছিল।
সাকচুড়া আমাদের গ্রামের নাম। ছোট বেলায় আব্বা আমারে মোড়ল পরিবারে বিয়ে দেয়। আমার বয়স যখন তের বছর তখন আমার বড় ছেলের জন্ম হয়। বড় ছেলের বয়স এখন ৭১ বছর। আল্লাহ আমার ১৫ জন সন্তান দিয়েছে। আমার দুই জন ছেলে ও তিন জন মেয়ে মারা গেছে। আল্লাহর রহমতে ১০ জন সন্তান জীবিত আছে, সাত জন ছেলে ও তিন জন মেয়ে।’
জোহারা বিবি আরো বলেন, ‘আমার ছোট ছেলের জন্মের দুই তিন বছর পর আমার পেটে অনেক ব্যথা যন্ত্রণা হত। ছেলেরা বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পেট কাটতে হবে জানায়। কিন্তু আমি তো পেট কাটবো না। পেটের যন্ত্রণায় আমার খাওয়া কমে যায়। তখন আমি শাকসবজি, তরিতরকারি আর মুড়ি খেতাম। এর পর থেকে আমার পেটের যন্ত্রণা ধীরে ধীরে কমে যায়।’
‘এরপর থেকে আমি আর কখনো ভাত খায়নি। এখন সকালে বিস্কুট আর চা, দুপুরে মুড়ি ভিজিয়ে তরিতরকারি দিয়ে খায়, কখন কখন অল্প মাছ ও মাংস খাই, আর রাতে বিস্কুট আর চা খাই। আমি চশমা ছাড়া কোরআন শরিফ পড়তে পারি, তবে চশমা পড়লে ভাল হয়। শরিল (শরীর) আর আগের মত নেই, আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে, বয়স হচ্ছে তো’- বলেও উল্লেখ করেন জোহারা বিবি।
এ বিষয়ে জোহরা বিবির বড় ছেলে নুর ইসলাম মোড়ল জানান, মার ছোট বেলা থেকে পেটে একটু ব্যথা যন্ত্রণা ছিল। ১৯৮৩-৮৪ সালের দিকে পেটের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেলে আমরা মাকে ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তার জানায় টিউমার হয়েছে অপারেশন করতে হবে। কিন্তু মা অপারেশন করবে না। ডাক্তারের ওষুধ খায় আর মা ভাত খাওয়া বাদ দেয় এতে মার পেটের যন্ত্রণা ধীরে ধীরে কমে যায়।
নুর ইসলাম মোড়লে বলেন, ‘১৯৮৫ সালের পর থেকে মা আর ভাত খায়নি। মা ভাত না খাওয়ায় প্রথমে আমরা অনেক চিন্তিত ছিলাম কিন্তু মা সুস্থ থাকায় আমাদের চিন্তা দূর হয়। তারপর থেকে মা যা খেতে চায় তা খাওয়ানোর চেষ্টা করি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি মা সুস্থ থেকে বাকী জীবন পার করতে পারে।’