a
ফাইল ছবি। ভ্লাদিমি পুতিন
সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়ার ওপর 'আস্থা' রাখার জন্য রুশ জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার পুতিন রুশ জনগণকে ধন্যবাদ জানান। খবর রয়টার্সের
রোববার সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে টেলিভাইজড বৈঠক করেন পুতিন। নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠককালে পুতিন বলেন, ‘আমি রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতার কথা বলতে চাই। প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের আস্থার জন্য ধন্যবাদ।’
রাশিয়ায় সংসদ নির্বাচনে পুতিনের ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া জয় পেয়েছে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দলটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ইউনাইটেড রাশিয়া ২০১৬ সালের সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভাল ফলাফল করতে পারেনি। কারণ, গত নির্বাচনে দলটি ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল।
এবারের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল একত্রে ‘ডোনবাস’ নামে পরিচিত। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধী গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যারা ভাবছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবপুষ্ট যে বিশ্বব্যবস্থা ছিল, তা আবার ফিরে আসবে— তারা ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার মতে এই যুদ্ধ এক সময় থেমে যাবে ঠিকই, তবে আগের সেই বিশ্বব্যবস্থা আর ফিরে আসবেনা।
রাশিয়ার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বন্দর নগর সেন্ট পিটার্সবার্গে শুরু হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পশ্চিমা অভিজাতরা ভাবছে (যুদ্ধের আগ পর্যন্ত) তাদের শাসিত ও প্রভাবপুষ্ট বিশ্ব ব্যবস্থা ছিল, তা চিরস্থায়ী এবং যুদ্ধ শেষ হলে তা ফের ফিরে আসবে; কিন্তু তারা আসলে এখনও অতীতের স্মৃতিতে ঝুলে আছে।’
‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কেউ যদি ভেবে থাকেন যে অশান্ত এই সময়ের শেষে সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, তাহলে তিনি ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন; এমন হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্ব যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—তা মৌলিক, গভীর ও অপরিবর্তনীয়।’
‘১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ও শীতল যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ঈশ্বরের বার্তাবাহক ভাবা শুরু করল; এমন এক বার্তাবাহক, যার কোনো বাধা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই— কেবল আছে স্বার্থ; আর সেসব স্বার্থ তারা উচ্চারণ করত ধর্মীয় শ্লোকের মতো।’
‘কিন্তু তাদের এই উত্থানের ভেতরেই সুপ্ত ছিল ভবিষ্যৎ পতনের সম্ভাবনা। কারণ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল একটি জাতির স্বার্থে পরিচালিত হতে পারে না। এমনকি, সেই দেশ যদি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়, তবুও নয়।’
‘গত কয়েক দশকে বিশ্ব জুড়েই শক্তির নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। এটা অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে।’ সূত্র: আরটি
সংগৃহীত ছবি
সুস্থতার জন্য সুষম খাবার খাওয়াটা জরুরি। অনেকে না বুঝে কম-বেশি খাবার খেয়ে শরীরকে রোগাক্রান্ত করে ফেলেন। সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ না করলে শরীর ভেঙে যায় এবং বাসা বাধে নানা রোগ ব্যাধি।
খাবার সঠিকভাবে না খেলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। সঠিক ঘুম হয় না। অবসাদ ক্লান্তি বাসা বাধে শরীরে। মেজাজ হয়ে উঠে খিটখিটে। এর প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে।
শরীরে রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধে সঠিক খাবার খাওয়াটা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আমরা যা-ই খাই তা যদি শোষিত হয়ে শরীরের ক্ষয় পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি সাধন করে তবেই তাকে খাদ্য বলে। ১০ ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধ করে। সে বিষয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
* রুটি, ময়দা, আটা, চাপাতির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন আছে যা কিনা প্লিহা ও থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুটি রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্য ‘বি’ ভিটামিনের গুরুত্বও আছে। ফলিক অ্যাসিড টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়, ভিটামিন বি-১২, লিভার, মাছ, ডিম, ছত্রাক ও শস্যজাতীয় খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায়।
* ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার যা কিনা লালশাক, পুঁইশাক টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়। গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে। মলাঢেলা মাছ, গোশত, দুধ, ডিম তো আছেই। ভিটামিন ‘এ’-তে বিটাক্যারোটিন থাকে যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে। অ্যান্টিবডি রেসপন্ডে সাহায্য করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ইত্যাদি।
* ঘি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া শাকসবজি, মাছ, চীনাবাদাম ও ডালের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমিউন কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
* চকলেট, আইসক্রিম, কোকো গুঁড়া করে তৈরি মন্ড, গোশত, ডিমের কুসুম, শিলমাছ, সুগন্ধী মসলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্তকণিকার সমতা রক্ষা করে যা ইমিউনিটি সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
* সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম শস্যজাতীয় খাবার, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে সেলেনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে যা শ্বেত রক্তকণিকা ও ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* ম্যাগনেসিয়াম- টাটকা শাকসবজি, চীনাবাদাম, সামুদ্রিক খাদ্য ও শস্যজাতীয় খাবারে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এগুলো ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
* ভিটামিন ‘ই’ উদ্ভিদজাতীয় খাবার, শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেলে পাওয়া যায়। শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রাণিজ খাদ্য, ডিম, ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ও দুধে থাকে। এগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি। এগুলো কেমিক্যাল মেসেঞ্জার নাম্বার বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ইন্টারফেরন যা ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* জিংক: সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, গোশত, সেরিয়াল, চিংড়ি, সামুদ্রিক খাদ্যে জিংক প্রচুর পরিমাণে রয়েছে-যা ফ্রি রেডিক্যালের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জঞ্জাল কোষকে (জীবাণু ধ্বংস করার পর যেগুলোর মৃত্যু ঘটে) মুক্ত করতে সাহায্য করে। জিংক আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। জিংক শরীরের বিভিন্ন এনজাইমের একটি অংশ এবং সব টিস্যুতেই এটি আছে।
* গ্রিন টি, শস্যজাতীয় খাদ্য, টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে মাংগানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
প্রতিদিন খেতে যা অভ্যাস করতে হবে: আঁশযুক্ত খাবার। টাটকা সবুজ শাকসবজি। কলা, লেবু, টমেটো ও শসা। পেঁয়াজ, রসুন, কালিজিরা। সামুদ্রিক মাছ। তথ্যসূত্র: যুগান্তর