a
ফাইল ছবি
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ও দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ার পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকার কারণে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে আটকে পড়ে শত শত বাংলাদেশি। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
সে প্রেক্ষিতেই আজ ১৬০ বাংলাদেশি দেশি ফিরলো। বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ বুধবার (৫ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) ১৬০ বাংলাদেশিকে নিয়ে লিবিয়ার বেনগাজি বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে আইওএম এর চার্টার্ড করা বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট।
ফ্লাইটটি আজ বুধবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। আজকে ফেরত আসা যাত্রীদের ফ্লাইটে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণকারী একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃতদেহও দেশে আনা হয়েছে।
দেশে আসার সাথে সাথেই সরকার নির্ধারিত নিয়মঅনুযায়ী বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা সবাই নিজ ইচ্ছায় দেশে ফেরত এসেছেন।
তারা অনেকেই সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল, পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ছিল কিন্তু করোনার কারনে তা সম্ভন হয়ে উঠছিল না। তাছাড়া লিবিয়ার বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা চিন্তা করে তাঁরা দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশ সরকার অবহিত হলে সরকারের পক্ষ থেকে আইওএম এর সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া সকল বাংলাদেশিদের একে একে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় আটকে পড়াদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এটি নবম ফ্লাইট। এসব ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত মোট ১৩৭৯ জন অভিবাসীকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ফাইল ছবি
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া একটি যৌথ ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা কর্মসূচি শুরু করছে। এর আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরিতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন তিন দেশের প্রধান। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্যোগের ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
এ প্রসঙ্গে মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে আগামী দেড় বছরের মধ্যে পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন বহর তৈরি করার একটি যৌথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে তিন দেশ। এর বাস্তবায়ন করা হলে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন থাকা সপ্তম দেশে পরিণত হবো আমরা।
যৌথ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্যোগের ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক জ্বালানি পরিচালনায় আন্তর্জাতিক চুক্তির বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় পারমাণবিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করার জন্য আমাদের কী করতে হবে তার একটি গভীর পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে আমি স্পষ্ট বলতে চাই। অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন বা পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ হতে চাইছে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের বর্তমান কৌশলগত পরিবেশ ও এটি কীভাবে বিকশিত হতে পারে সে বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে। কারণ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থায়ীত্ব এবং সমৃদ্ধির ওপর।’
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী করিস জনসন বলেন, ভৌগোলিকভাবে আলাদা হওয়া সত্ত্বেও এই তিনটি দেশ অতীতেও ‘প্রাকৃতিক মিত্র’ ছিল।
অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ বাক্সের মধ্যে বসে এই টেলিভিশন থেকে ওই টেলিভিশনে গিয়ে নানান ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বুধবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এসময় তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ অনেকে বলছেন, এক বছরে আমরা সক্ষমতা বাড়াইনি। যারা এক দিনও কোনো রোগীর পাশে দাঁড়াননি, তারা রোগতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। তারা তখন কী করেছিলেন? তারা’এখন টক শো-তে লম্বা লম্বা কথা বলেন। আমাদের পাশে আসেন। আপনার প্রজ্ঞা, জ্ঞান কাজে লাগান। হাসপাতালগুলোতে আসুন, রোগীদের পাশে দাঁড়ান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সাংবাদিকদের বিরূপ সমালোচনা থেকে বিরত থেকে সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনা করতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারি শুরু থেকেই আমরা সাংবাদিকদের সহযোদ্ধা হিসেবে দেখেছি। তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে এই সময়েও কিছু কিছু মিডিয়া সমালোচনার মাধ্যমে আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত না করে, তাদের মনোবল না ভেঙে, সবার পাশে দাঁড়াতে পরামর্শ দেন।