a
ফাইল ছবি
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার চাইলে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ। ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো একথা জানিয়েছেন।
আজ রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মিয়া সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ কোনো দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনা। তবে কোনো দেশের সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা চাইলে জাতিসংঘ সহায়তা দিয়ে থাকে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সেই সহযোগিতা দিতে পারি।
মিয়া সেপ্পো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নারীর প্রতি সংহিংসতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে। জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে দেশ দু’টির প্রতিনিধিত্ব কে করবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারকে আমরা স্বাগত জানাই। এর মধ্যে দিয়ে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে।
সংগৃহীত ছবি
তুরস্কের স্থলবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল উমিত ডুন্ডার রাওয়ালপিন্ডির গত সোমবার (৫ জুলাই) পাকিস্তানের চিফ অফ আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেনা সদর দপ্তরে (জিএইচকিউ) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুইটি দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করা হয়।
সফররত তুর্কি জেনারেলকে গার্ড অব অনার দিয়ে পাকিস্তানে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়াও পাকিস্তান তুরস্কের সাথে তার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ বলে উল্লেখ করে জেনারেল কামার বলেন, 'এই সম্পর্ক আমাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের পাশাপাশি ইতিহাসের সাথেও গভীরভাবে জড়িত।'
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠকে দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সহযোগিতার উপর বিশেষ জোর দিয়ে পারস্পরিক ও পেশাদার আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উভয় পক্ষই বিশেষত প্রশিক্ষণ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষেত্রে সামরিক সম্পর্কে আরও বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে। তুর্কি জেনারেল আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, তুর্কি জেনারেল প্রেসিডেন্ট ডক্টর আরিফ আলভীর সাথে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপরে প্রেসিডেন্ট তুর্কি স্থলবাহিনী কমান্ডার জেনারেল উমিত ডুন্ডারকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পুরষ্কার প্রদান করেছেন। পাকিস্তান-তুর্কি সম্পর্ক জোরদারে তার ভূমিকাকে স্বীকৃতি জানাতে আইওয়ান-ই-সদরে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট আলভী বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তুরস্কের সাথে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদারের জন্য পাকিস্তানের দৃঢ়তা পুনর্ব্যক্ত করেন। সফরকারী কমান্ডারের সাথে আলাপকালে তিনি দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুরস্কের সাথে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিদ্যমান স্তরের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয় দেশই অনুকরণীয় সম্পর্ক উপভোগ করেছে যা বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও বৃদ্ধি করা দরকার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সামরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
জেনারেল উমিত বলেন, অভিন্ন বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও ঐতিহাসিক যোগসূত্রের উপর ভিত্তি করে সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস থাকার কারণে পাকিস্তান ও তুরস্ক অবিচ্ছেদ্য। তিনি বলেন, তুরস্কের জনগণ পাকিস্তানিদের তাদের ভাই হিসেবে বিবেচনা করে এবং সব দিক বিশেষত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। তিনি প্রেসিডেন্টকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’ (সামরিক) পুরষ্কার প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি। আশরাফ গনি
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
রাজধানী কাবুলে তালেবান প্রবেশের খবরে শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও সাধরণ মানুষ ভয়ে শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাষ্ট্রপতি গনির একটি রেকর্ডেড ভাষণ প্রচার করা হয়। ওই ভাষণে তিনি তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেছিলেন।
এদিকে, আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাবুলের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দ্রুত তালেবানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সিএনএন-এর এক খবরে বলা হয়েছে, কয়েকজন জ্যৈষ্ঠ তালেবান নেতাকে যুক্ত করে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।